প্রশ্ন: জীবনের মানে কি?
উত্তর: প্যারালাল ওয়ার্ল্ড,প্যারাডক্স এই টাইপের কিছু কঠিন শব্দ প্রয়োগ করতে পারলে সম্ভবত আপনার কাছেও ভালো লাগতো, আমিও খানিকটা স্বস্তি পেতাম।
সত্যি কথাটা হচ্ছে, আমি জানি না। জানার চেষ্টা করি, ব্যর্থ হই! জীবনটা আমার কাছে মনে হয় চোখ ধাঁধানো একটা নিতল কুয়ার মতো। তীব্র আলোয় চোখ থাকার পরও তাকাতে পারছি না।
প্রশ্ন: আপনার লেখার স্টাইল…?
উত্তর: দেখুন, আমরা সবাই প্রকৃতির বিভিন্ন অংশ নিয়ে লিখি। একই জিনিস একেকজন একেকভাবে দেখি, লিখি!
আর আমার স্টাইল! হা হা হা! সহজ করে লেখা। এইসব লেখার আসলে আদৌ কোন গুরুত্ব নাই! লেখা হতে হবে কঠিন। আধামাধা বুঝব, আর বাকীটা বোঝার মনন নাই বলে হাল ছেড়ে দেব।
এই মন্তব্য বর্জিত ব্যক্তিগত একটা প্রসঙ্গ শেয়ার করি। আমি জানি অনেকে ভোঁতা দা নিয়ে রে রে করে তেড়ে আসবেন। সম্প্রতী শেষ করলাম, রুশোর ‘কনফেশনস’। আমার কাছে আহামরী কিছু মনে হয়নি। অন্তত না পড়লে হা হুতাশ করতে হবে এমন কিছু না!
রুশোর একটা মন্তব্য আছে এ রকম, ‘আমাকে বোঝা এতো সহজ না’। আসলেই যে মানুষটা মনে করেন, তাঁকে বোঝা এতো সহজ না, তাঁকে বোঝার মনন আমাদের কই? মহোদয় নিজেই নিজেকেই বোঝেন কি না এ নিয়ে আমার ঘোর সন্দেহ আছে।
প্রশ্ন: হিজাব, বোরকা নিয়ে আপনার মন্তব্য…?
উত্তর: দেখুন, এ প্রশ্নের উত্তর ভাল দিতে পারবেন মোল্লা-মৌলভীরা। যেহেতু আপনি আমাকে এ প্রশ্নটা করেছেন, আমার ব্যাখ্যাটা হচ্ছে: মূল বিষয়টা এসেছে পর্দা করা নিয়ে। কোরানের কোথাও এটা লেখা নাই মহিলাদের মুখ ঢেকে রাখতে হবে বরং খোলা রাখার কথা বলা আছে।
বেশ, মহিলারা গোটা শরীর হিজাব বোরকায় মুড়িয়ে ফেলছেন, হাতে দস্তানা পায়ে মোজা, চোখে কালো চশমা। ভাল-ভাল! কিন্ত তিনি তো আর অন্ধ না, তার বেলায় কী? আপনি জান বাঁচাতে পুলিশের কাছে গেলেন, পুলিশ থেকে আপনাকে বাঁচাবে কে? চোখ তো ঠিকই তার প্রয়োজনীয় উপাত্তগুলো মস্তিষ্কে পাঠাচ্ছে। এখন মস্তিষ্ক, এইসব উপাত্ত নিয়ে কি খেলা খেলবে, এটা তো আর আমাদের জানা নাই! ভদ্রমহিলা যে সুবেশী, সুঠাম পুরুষদের দেখতে পাচ্ছেন তার বেলায় কি হবে? হিজাব, বোরকা এভাবেই কি শুধু শরীরের পর্দা যথেষ্ঠ, শালীন পোশাক যথেষ্ঠ না?
আর শুধু শরীরের পর্দা কেন? একজন যে উম্মুক্ত জায়গায় কপকপ করে সাধ্যমতো খাবার খাচ্ছে- চারদিকে চেয়ে আছে না খাওয়া মানুষের দল, এখানে কি কোন পর্দার প্রয়োজন নাই? তাহলে রোজার শিক্ষা কোথায় গেল?
প্রশ্ন: রোজা রাখা…?
উত্তর: আমি মনে করি এই ধরনের প্রশ্ন ওপেন ফোরামে কাউকে না করাই সমীচীন। কারণ হচ্ছে, আমাদের সামাজিক পেক্ষাপটে, কেউ যদি রোজা না রাখে, সত্য বললে ওই মানুষটাকে বিব্রত হতে হবে। আর মিথ্যা বললে সৃষ্টিকর্তা বিব্রত হবেন। তাঁর থেকে মানুষকে প্রাধান্য দেয়া হলো বলে। একজন মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ভয় পায়নি অথচ তারই সৃষ্টি মানুষকে ভয় পেয়েছে!
*অন-লাইন সাক্ষাৎকার: ৪