কিন্তু বিষয়টা যখন আইয়ুবের চোখে পড়ল তিনি শববাহী গাড়িটাকে দাঁড় করালেন, স্যালুট করলেন, আগে যেতে অনুরোধ করলেন।
একজন মৃত মানুষের প্রতি সম্মান, শেষ সম্মান! এই সম্মান না-জানালে ওই মৃত মানুষের কিছুই যায় আসে না কিন্তু জীবিত মানুষগুলো নগ্ন হয়ে পড়ে!
জানি না এখনো নিয়মটা চালু আছে কিনা (এটা একজন ডাক্তারের মুখ থেকে শোনা) মেডিকেল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের যখন ব্যবচ্ছেদ শেখানো হয় তখন মেয়েদেরকে হাতের অলংকার খুলে যেতে নির্দেশ দিতেন অধ্যাপকরা। কারণ ওই, মৃতদেহের প্রতি সম্মান।
ছবিটা একজন শিল্পপতির। অপহরণ করার পর, দীর্ঘ সময় তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে তার শরীরের হাড় উদ্ধার করা হয়। এবং ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়।
এই ছবিতে আমাদের দেশের নামকরা পরফেছর(!) সাহেবদের (যাদের নাম শুনে মেডিকেলের ছাত্ররা ছড় ছড় করে ইয়ে ত্যাগ করে) দেখা যাচ্ছ। তেনারা (পড়বেন, ইনারা) হাড়ের পেছনে কতটুকু মাংস লেগে আছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
তা বেশ! কিন্তু দেখুন দিকি, কোথায় স্যারদের পা আর কোথায় হাড়! ইয়ে, এটা কিসের হাড় যেন ভুলে গেছি! যাগগে, এটা তো আর আমার-আপনার বাবার মৃতদেহের হাড় না। সমস্যা কি...।
এই স্যাররাই বড় বড় ইশকুল খুলে আমাদেরকে শেখান কিন্তু এদের শেখাবার ইশকুলটা কোথায়?
No comments:
Post a Comment