এ গ্রহের বাবা এখন আমেরিকা! আফসোস মা নাই। গর্দভ না গর্বাচেভ নামের এক প্রাণী টাকা খেয়ে (!), না পেরোস্ত্রাইকার সুগার কোটেড ট্যাবলেট খাইয়ে এ গ্রহের মাকে হত্যা করেছিল! আমরা মাতৃহারা হলাম!
এখন মা-বাবা দুইই আমেরিকা! আমরা সবাই তাদের সন্তান কিন্তু তার প্রিয় সন্তানরা হচ্ছে সাদ্দাম, লাদেন, হামাস, বাংলা ভাই, ফার্সি ভাই। এমনিতে এরা বেয়াড়া না, কিন্তু বাবার কাজ শেষ হলেই এরা বড্ডো বেয়াড়া হিসাবে প্রতিপন্ন হন!
আমরা যেমন বাবার কাছ থেকে আঙ্গুল ধরে ধরে শিখি, তেমনি গণতন্ত্র বলুন আর মানবতা এসব আমাদেরকে শেখান আমাদের গ্রহবাবা! আপনারা কি জানেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী কয়েদী কোন দেশে? আমাদের গ্রহবাবার দেশ, আমেরিকায়! এ এফ পির তথ্যমতে, সেখানে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ১৩৬ জন মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে ১ জন কয়েদী!
আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রচুর কথা বলি কিন্তু এতে আমাদের গ্রহবাবার অবদানের আলোচনা হয় খুব কম, বড়ো অপ্রতুল! ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষে গ্রহবাবাদের অবদানের কথা, কীভাবে তারা আমাদের জনসংখ্যা কমাতে সাহায্য করেছিলেন। এখানে আমরা হেনরী কিসিঞ্জারের ১৯৭৪-এ লেখা রিপোর্টটি উল্লেখ করতে পারি: “আমেরিকার এখন তৃতীয় বিশ্বের জনসংখ্যা হ্রাসের দিকে লক্ষ দেয়া উচিৎ”।
জুতাবাবা ওরফে বুশ, আমাদের জঙ্গল সাহেব তো আরেক কাঠি সরেস। আমার তো মনে হয়, তৃতীয়বারের নিয়ম থাকলে এই জঙ্গল সাহেবের কল্যণে আদৌ কি এ গ্রহে কোন মানুষ নামের প্রাণী বেঁচে থাকত?
বেশ কিছুদিন আগে এই জঙ্গল সাহেবের গলায় কুকি টাইপের বিস্কুট আটকে মরমর অবস্থা- আহা, তাহলে কতো নিরীহ প্রাণ বেঁচে যেত! জঙ্গল সাহেব মটর সাইকেল একসিডেন্ট করলেন, কিন্তু রাখে আল্লা মারে কে!
ইনি আবার আমাদের এরশাদ সাহেবের মতো কবি! একটা কবিতা লিখেছিলেন: “প্রিয়তমা লরা .. গোলাপের রং লাল- ভায়োলেট ফুল নীল...” হা বিতং করে কবিতাটা লেখা!
এখন এসেছেন ওবামা, সাদা বাড়ীতে কাল অতিথি- সাথে ব্লাকবেরী রাখতে পেরেছেন বলেই কী আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি বদলে যাবে?
তো, আমেরিকার খুব প্রিয় একটা অস্ত্র হচ্ছে ডব্লিউ. এম. ডি (উইপন অভ ম্যাস ডেসট্রাকশন)। পুরোপুরি প্রমাণ না মিললেও ধারণা করা হয় এইডসের জীবানু মানবসৃষ্ট আবিষ্কার এবং কথিত আছে, আমেরিকার গবেষণাগারে! প্রমাণ হিসাবে ১৯৬৯ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা চিঠির উদ্ধৃতি দেয়া যায়। চিঠিতে ১ কোটি ডলার তহবিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
ড. ডোনাল্ড ম্যাকআর্থার ওই তহবিল এ জন্য চেয়েছিলেন, এক কোষের ক্ষুদ্র জীবানু সৃষ্টি করা হবে, এটা অতি দ্রুত মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে অনায়াসে! এইডসের কাজও তাই!
আসলে এ গ্রহে যতো সব অন্যায়-অনাচার হয় বিভিন্ন দেশে, আমাদের গ্রহবাবার কোন না কোন স্নেহের হাত থাকে, থাকবেই!
জয় গ্রহবাবা, গ্রহবাবার জয় হোক!
No comments:
Post a Comment