এই প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে একটা খেলা হয়েছে, চেয়ার ছোড়াছুড়ি। আপাতদৃষ্টিতে সামান্য একটা ঘটনা, কহতব্য না। কিন্তু এই ছবিটার পেছনে লুকিয়ে আছে একেকজন চলমান দানব বানাবার বীজ। আমার ধারণা, এই দানবদের আটকাবার শক্তি কারো নাই, এদের নিজেরও নাই!
ছাত্রলীগের ২টা গ্রুপের বসাবসি নিয়ে এই কান্ড! এই খেলা শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে আসেন। পরে এদের নেতাদের নিয়ে হলহলা মুখে পায়রা উড়িয়েছেন! মিডিয়ার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু যেটা বলে পন্ড করেছেন সেটা হচ্ছে, '২০০১ সালে জোট সরকারের হত্যা, নির্যাতন...তখন পত্রিকাওয়ালারা কিছুই লিখত না'।
এটা বলার মানে হচ্ছে প্রকারান্তরে নিজ সন্তানকে বখে যেতে প্ররোচিত করা। অনেকটা এমন, অন্যদের সন্তানরা তো আমার সন্তানের চেয়ে অনেক দুষ্টু। ফলাফল পিত্তশূল- আমার সন্তানের শিক্ষায় গোড়াতেই গলদ থেকে যাবে। ধামড়া হয়ে এরা যে পিড়িং পিড়িং করে বাদ্য বাজাবে না এতে অবাক হওয়ার কিছু নাই!
ভয়াবহ বললেও কম বলা হবে। দলীয় সব জ্যেষ্ঠ, তাবড় তাবড় নেতা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শত শত সদস্য, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), এসএসএফ; এদের উপস্থিতিতে এরা বাদামের খোসার মত চেয়ার নিয়ে জাগলিং করেছে, ঘুসাঘুসি করেছে, কস্তাকস্তি করেছে- ত্রাস সৃষ্টি করতে পুরাপুরি সফল হয়েছে! সবাই দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিলেন।
এদের তেমন কোন শাস্তি হয়েছে বলে তো আমরা জানি না।
এই পিজিআর, এসএসএফদের বিষয়টা আমাকে ভাবচ্ছে! আমার ভাবনায় ধোঁয়া দিয়েছেন স্বয়ং সেনাপ্রধান, জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। 'শান্তির স্বপ্ন' বইয়ে, এই পিজিআর, এসএসএফদের নিয়ে তিনি লেখেন (বঙ্গভবন যাওয়ার প্রাক্কালে), "এমনকি ভিভিআইপি'র জীবনের উপর কোন হুমকি মনে করলে তারা (পিজিআর, এসএসএফ) যে কাউকে হত্যা করতে পারে। ...এরা সেনাবাহিনী কিংবা অন্য কোন বাহিনীর চেইন অব কমান্ডের আওতাধীন নয়। ...আমি জানতাম, হতে পারে এ যাত্রাই...কে জানে হয়তো আমার জীবনের শেষযাত্রা"।
তাই কী! এখানে তো দেখছি এসএসএফের লোকজনরা একেকটা পুতুল! এসএসএফ তাহলে পাপেট না, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে? জেনে ভাল লাগল!
ছবিসূত্র: অজ্ঞাত
(ছোড়াছুড়ির দৃশ্যটার ইউটিউবে ভিডিও ক্লিপিংসটা খুঁজে পাচ্ছি না। পেলে একটা কাজের কাজ হত। আহ, সে এক দেখার মত দৃশ্য বটে। দেখে জীবন সার্থক হয়)।
No comments:
Post a Comment