(...[অধিকাংশ] ধর্মেরই জোর দাবি তাঁর ধর্মই সেরা! তাঁর ধর্মেই মুক্তি, অন্য ধর্মে নরকবাস! আহারে-আহারে, বেচারা মানব, বেচারা মানবের হয়েছে নাভিশ্বাস...।)
১. "...তুমি কথা না শুনে ভ্রষ্ট হয়ে অন্য দেবতাদের কাছে সেজদা কর ও তাদের খেদমত কর; তবে আজ আমি জ্ঞাত করছি, তোমরা একেবারে বিনষ্ট হবে...।"
(তৌরাত শরীফ: পঞ্চম খন্ড: দ্বিতীয় বিবরণ, ১৭/ ১৮)
২. "...তোমাদের আল্লাহ মাবুদের সেসব হুকুমে যদি কর্ণপাত কর, তবে দোয়া পাবে। আর যদি তোমাদের আল্লাহ মাবুদের হুকুমে কর্ণপাত না কর তাহলে ....অন্য দেবতাদের পশ্চাতে গমণ কর, তবে বদদোয়াপ্রাপ্ত হবে।"
(তৌরাত শরীফ: পঞ্চম খন্ড: দ্বিতীয় বিবরণ, ২৭/ ২৮)
---
পাক-কিতাবে লেখা আছে-
১. "শরীয়তের প্রত্যেকটা হুকুম
যে পালন করিয়া না চলে
তাহার উপর অভিশাপ থাকে।"
(ইঞ্জিল শরীফ, ৯ম খন্ড: গালাতীয়)
২. "...যেন আমার উপর ঈমান আনিবার ফলে তাহারা পাপের ক্ষমা পায়...।"
(ইঞ্জিল শরীফ, ৫ম খন্ড: প্রেরিত, ২৬:১৬-১৭-১৮)
---
১. "অন্য জাতিরা নিজেদের খোঁড়া গর্তে
তলিয়ে যাচ্ছে;
তাদের লুকানো জালে তাদেরই পা
জড়িয়ে গেছে।"
(জবুর শরীফ, ৯/ ১৫)
২. "...হ্যাঁ, তাঁর অভিষেক করা বান্দার প্রতি,
দাউদ ও তার বংশধরদের প্রতি
তিনি চিরকাল তাঁর অটল মহব্বত
দেখান।"
(জবুর শরীফ, ১৮/ ৫০)
---
১. "আর কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম চাইলে তা কখনও গ্রহণ করা হবে না ও সে হবে পরলোকে ক্ষতিগ্রস্তদের দলে।"
(কোরান শরীফ, ৩ সুরা আল-ই-ইমরান ৮৫)
২. "...তোমাদের মধ্যে যে-কেউ নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যাবে এবং অবিশ্বাসী হয়ে মারা যাবে, তাদের ইহকাল ও পরকালের কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে...।"
(কোরান শরীফ, ২ সুরা বাকারা: ২১৭)
---
১. শ্রীভগবানুবাচ:
"শ্রেয়ান স্বধর্মো বিগুণ: পরধর্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়: পরধর্মো ভয়াবহ:।"
(নিজ ধর্ম দোষযুক্ত হইলেও পর ধর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। নিজ ধর্মে মৃত্যুও উত্তম)
[শ্রীমদ্ভগবদগীতা, তৃতীয় অধ্যায়, ৩৫]
২. শ্রীভগবানুবাচ:
"শ্রেয়ান স্বধর্মো বিগুণ: পরধম্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ
স্বভাবনিয়তং কর্ম কুর্বন নাপ্নোতি কিল্বিষম।"
(স্বধর্ম দোষযুক্ত হইলেও পরধর্ম হইতে বড়। যে স্বধর্ম পালন করে তাহার কোন পাপ হয় না)
[শ্রীমদ্ভগবদগীতা, অষ্টাদশ অধ্যায়, ৪৭]
--- বৌদ্ধ ধর্ম:
১. "...এসো হে মগগো নত্থঞঞো দসসনসস বিসুদ্ধিয়া
এতং হি তুমহে পটিপজ্জথ মারসসেতং পমোহনং।"
(দর্শনবিশুদ্ধির নিমিত্ত এই অষ্টাঙ্গিক মার্গই একমাত্র পথ। তোমরা এই মার্গই অবলম্বন কর...।)
[ধম্মপদ, মগগবগগো ২]
২. "এতং খো সরণং খেমং এতং সরণমুত্তমং
এতং সরণমাগগমম সব্বদুকখা পমুচ্চতি।"
(এসবই শ্রেষ্ট আশ্রয়। কারণ এই জ্ঞান ও শরণ অবলম্বন করে যাবতীয় দুঃখ হতে মুক্তি সম্ভব।)
[ধম্মপদ, বুদ্ধবগগো, ১৪]
---
শিখ ধর্ম:
(গুরু গ্রন্থ সাহিবের প্রথম চরণে উল্লিখিত মূল মন্তর এবং তার নির্দিষ্ট রাগ:
গুরুমুখী: ੴ ਸਤਿ ਨਾਮੁ ਕਰਤਾ ਪੁਰਖੁ ਨਿਰਭਉ ਨਿਰਵੈਰੁ ਅਕਾਲ ਮੂਰਤਿ ਅਜੂਨੀ ਸੈਭੰ ਗੁਰ ਪ੍ਰਸਾਦਿ॥
রূপান্তর: ইক ওঙ্কার সৎ(ই)-নাম(উ) করতা পুরখ(উ) নিরভউ নিরভৈর(উ) অকাল(অ) মূরত(ই) অজূনী সইভন গুর(অ) প্রসাদ(ই).
বাংলা: কেবলমাত্র এক সর্বব্যাপী সত্ত্বা আছে। সত্য হল এঁর নাম! সকল সৃষ্টিতে তিনি বিরাজমান; তাঁর ভয় নেই; তাঁর ঘৃণা নেই; তিনি নামহীন ও সর্বজনীন ও স্বকীয়, জ্ঞান ও শিক্ষার সন্ধান করলে তুমি এঁর সন্ধান পাবে।)
গুরু সাহিব থেকে:
১. গুরুই জ্ঞানের উৎস ও মুক্তি পথের সহায়ক।
২. সত্যের নিঃস্বার্থ সন্ধানে ব্যক্তিকে গুরুর সঙ্গে যুক্ত হতে হয়।
-গুরু নানক
(১.Parrinder, Geoffrey (১৯৭১)। World Religions: From Ancient History to the Present। United States: Hamlyn Publishing Group Limited। পৃষ্ঠা 254। আইএসবিএন 978-0-87196-129-7।
২.Dhillon, Bikram Singh (জানুয়ারি–জুন ১৯৯৯)। "Who is a Sikh? Definitions of Sikhism" (PDF)। Understanding Sikhism – The Research Journal। 1 (1): 33–36, 27। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৩।)
১. "...তুমি কথা না শুনে ভ্রষ্ট হয়ে অন্য দেবতাদের কাছে সেজদা কর ও তাদের খেদমত কর; তবে আজ আমি জ্ঞাত করছি, তোমরা একেবারে বিনষ্ট হবে...।"
(তৌরাত শরীফ: পঞ্চম খন্ড: দ্বিতীয় বিবরণ, ১৭/ ১৮)
২. "...তোমাদের আল্লাহ মাবুদের সেসব হুকুমে যদি কর্ণপাত কর, তবে দোয়া পাবে। আর যদি তোমাদের আল্লাহ মাবুদের হুকুমে কর্ণপাত না কর তাহলে ....অন্য দেবতাদের পশ্চাতে গমণ কর, তবে বদদোয়াপ্রাপ্ত হবে।"
(তৌরাত শরীফ: পঞ্চম খন্ড: দ্বিতীয় বিবরণ, ২৭/ ২৮)
---
পাক-কিতাবে লেখা আছে-
১. "শরীয়তের প্রত্যেকটা হুকুম
যে পালন করিয়া না চলে
তাহার উপর অভিশাপ থাকে।"
(ইঞ্জিল শরীফ, ৯ম খন্ড: গালাতীয়)
২. "...যেন আমার উপর ঈমান আনিবার ফলে তাহারা পাপের ক্ষমা পায়...।"
(ইঞ্জিল শরীফ, ৫ম খন্ড: প্রেরিত, ২৬:১৬-১৭-১৮)
---
১. "অন্য জাতিরা নিজেদের খোঁড়া গর্তে
তলিয়ে যাচ্ছে;
তাদের লুকানো জালে তাদেরই পা
জড়িয়ে গেছে।"
(জবুর শরীফ, ৯/ ১৫)
২. "...হ্যাঁ, তাঁর অভিষেক করা বান্দার প্রতি,
দাউদ ও তার বংশধরদের প্রতি
তিনি চিরকাল তাঁর অটল মহব্বত
দেখান।"
(জবুর শরীফ, ১৮/ ৫০)
---
১. "আর কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম চাইলে তা কখনও গ্রহণ করা হবে না ও সে হবে পরলোকে ক্ষতিগ্রস্তদের দলে।"
(কোরান শরীফ, ৩ সুরা আল-ই-ইমরান ৮৫)
২. "...তোমাদের মধ্যে যে-কেউ নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যাবে এবং অবিশ্বাসী হয়ে মারা যাবে, তাদের ইহকাল ও পরকালের কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে...।"
(কোরান শরীফ, ২ সুরা বাকারা: ২১৭)
---
১. শ্রীভগবানুবাচ:
"শ্রেয়ান স্বধর্মো বিগুণ: পরধর্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়: পরধর্মো ভয়াবহ:।"
(নিজ ধর্ম দোষযুক্ত হইলেও পর ধর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। নিজ ধর্মে মৃত্যুও উত্তম)
[শ্রীমদ্ভগবদগীতা, তৃতীয় অধ্যায়, ৩৫]
২. শ্রীভগবানুবাচ:
"শ্রেয়ান স্বধর্মো বিগুণ: পরধম্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ
স্বভাবনিয়তং কর্ম কুর্বন নাপ্নোতি কিল্বিষম।"
(স্বধর্ম দোষযুক্ত হইলেও পরধর্ম হইতে বড়। যে স্বধর্ম পালন করে তাহার কোন পাপ হয় না)
[শ্রীমদ্ভগবদগীতা, অষ্টাদশ অধ্যায়, ৪৭]
--- বৌদ্ধ ধর্ম:
১. "...এসো হে মগগো নত্থঞঞো দসসনসস বিসুদ্ধিয়া
এতং হি তুমহে পটিপজ্জথ মারসসেতং পমোহনং।"
(দর্শনবিশুদ্ধির নিমিত্ত এই অষ্টাঙ্গিক মার্গই একমাত্র পথ। তোমরা এই মার্গই অবলম্বন কর...।)
[ধম্মপদ, মগগবগগো ২]
২. "এতং খো সরণং খেমং এতং সরণমুত্তমং
এতং সরণমাগগমম সব্বদুকখা পমুচ্চতি।"
(এসবই শ্রেষ্ট আশ্রয়। কারণ এই জ্ঞান ও শরণ অবলম্বন করে যাবতীয় দুঃখ হতে মুক্তি সম্ভব।)
[ধম্মপদ, বুদ্ধবগগো, ১৪]
---
শিখ ধর্ম:
(গুরু গ্রন্থ সাহিবের প্রথম চরণে উল্লিখিত মূল মন্তর এবং তার নির্দিষ্ট রাগ:
গুরুমুখী: ੴ ਸਤਿ ਨਾਮੁ ਕਰਤਾ ਪੁਰਖੁ ਨਿਰਭਉ ਨਿਰਵੈਰੁ ਅਕਾਲ ਮੂਰਤਿ ਅਜੂਨੀ ਸੈਭੰ ਗੁਰ ਪ੍ਰਸਾਦਿ॥
রূপান্তর: ইক ওঙ্কার সৎ(ই)-নাম(উ) করতা পুরখ(উ) নিরভউ নিরভৈর(উ) অকাল(অ) মূরত(ই) অজূনী সইভন গুর(অ) প্রসাদ(ই).
বাংলা: কেবলমাত্র এক সর্বব্যাপী সত্ত্বা আছে। সত্য হল এঁর নাম! সকল সৃষ্টিতে তিনি বিরাজমান; তাঁর ভয় নেই; তাঁর ঘৃণা নেই; তিনি নামহীন ও সর্বজনীন ও স্বকীয়, জ্ঞান ও শিক্ষার সন্ধান করলে তুমি এঁর সন্ধান পাবে।)
গুরু সাহিব থেকে:
১. গুরুই জ্ঞানের উৎস ও মুক্তি পথের সহায়ক।
২. সত্যের নিঃস্বার্থ সন্ধানে ব্যক্তিকে গুরুর সঙ্গে যুক্ত হতে হয়।
-গুরু নানক
(১.Parrinder, Geoffrey (১৯৭১)। World Religions: From Ancient History to the Present। United States: Hamlyn Publishing Group Limited। পৃষ্ঠা 254। আইএসবিএন 978-0-87196-129-7।
২.Dhillon, Bikram Singh (জানুয়ারি–জুন ১৯৯৯)। "Who is a Sikh? Definitions of Sikhism" (PDF)। Understanding Sikhism – The Research Journal। 1 (1): 33–36, 27। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৩।)
No comments:
Post a Comment