Search

Monday, July 20, 2009

কাম ব্যাক পিটার, কাম ব্যাক পল

একজন এক্স-শাসক।

এই দুর্ধর্ষ শাসক অক্লান্ত পরিশ্রমী ছিলেন। একজন অন্য রকম যোদ্ধা। 
শরীরের একটা অংশ বহুল ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। বিশেষ একটা যুদ্ধ করতে করতে তিনি শরীরের বিশেষ ওই অর্গান বা শরীরের অতি আবশ্যক-প্রয়োজনীয় অংশকে প্রায় নষ্ট করে ফেলেছিলেন। 

খুব দ্রুত সেই বিশেষ অর্গান রিপ্লেসমেন্টের প্রয়োজন হলো। সমস্যা হলো, এটা এমন একটা অর্গান যা তাঁর প্রিয়পাত্ররাও দান করতে রাজী হলেন না।

ভাগ্যক্রমে একটা পাওয়া গেল, তাও যা তা অবস্থা! এক ভদ্রমহিলা ক্রদ্ধ হয়ে তার স্বামীর ওই অর্গান এক কোপে কেটে গ্যাস বেলুনে উড়িয়ে দিয়েছিলেন (এটা আমেরিকার ঘটনা) ভদ্রমহিলার স্বামী ওটা আর খুঁজে পাননি। 

কী ভাগ্য ওই গ্যাস বেলুনটা শাসকের দেশে এসে অর্গানসহ গাছে ঝুলতে থাকে। এক ডাক্তার মোটা অংকের টাকা কবুল করে, ঝুঁকি নিয়ে শাসকের সফল অপারেশন করলেন কিন্তু এ-ও জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটার মেয়াদ আমি লিখে দিয়েছি, মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই আপনি এটা রিপ্লেস করে নতুন একটা অর্গান লাগাবেন। 

শাসক মহা খুশী। তার ভালবাসা-বাসির মানুষরাও আনন্দে আটখান। তারা জনে জনে বলে বেড়াতে লাগলেন, তাঁকে (শাসককে) যতোটা বুড়া মনে হয় আসলে তিনি ততোটা বুড়া নন। 
কিন্তু হা কপাল! ভ্রাম্যমান আদালতের এক ত্যাঁদোড় অফিসার মেয়াদ না থাকার কারণে অর্গানটা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন। অবশ্য জরিমানা করা হয়েছিল কিনা এটা জানা যায়নি! কিন্তু নিশ্চয়ই এটা পরবর্তীতে জায়গামত আবার শাসকের কাছে চলে এসেছিল।
 

লাভ কী! এই দেশে মেয়াদউত্তীর্ণ বলে কিছু নাই। কবিতায় পিটার, পল যেমন ফিরে ফিরে আসে, ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা জিনিস রন্ধনশালায়ও শোভাবর্ধন করে তেমনি কিছু মানুষও ক্ষমতায় ফিরে আসেন, বারবার!

1 comment: