আমি নিশ্চিত ছিলাম, ওয়ান ইলাভেনের পর আমাদের নেতারো বদলাবেন। অর্জিত শিক্ষাটা কাজে লাগাবেন।
তীব্র বেদনার সঙ্গে লক্ষ করলাম, ওই শিক্ষাটা বানের জলে ভেসে গেছে। কেউ কেউ সম্ভবত কখনই শিখতে চান না!
বেগম জিয়ার প্রতি আমার খুব একটা চাওয়ার ছিল না, কেন? এই একটা ছবিই অনেক কিছু বলে দেয়! তাঁর সহযোদ্ধা মতিউর রহমান নিজামী! এই মানুষটার দল নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই!
সেই রাজসিক (রানিসিক!) চেয়ার সেই রানিসিক (!) ভঙ্গি! আমি বিস্মিত হই, এই আধুনিক যুগে এখনও কেমন করে রাজা-রানীর খেলা প্রকাশ্যে চলে? চেয়ারপারসন পদে খালেদা জিয়াই কি একমাত্র প্রার্থী। হা ঈশ্বর, এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলে কোন পুরুষ (উইথ বলস) নাই? যে দাঁড়িয়ে বলতে পারে আমি চেয়ারপারসন পদে লড়তে চাই। হেরে গেলে সেটা অন্য কথা।
অন্য কোন নাম উত্থাপিত না-হওয়ায় তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন হয়েছেন। এরা বলে গণতন্ত্রের কথা! আফসোস, এদের কথায় আমরা একজন অন্যজনের মাথা ফাটাই, হাসতে হাসতে জীবন দেই!
...
শেখ হাসিনার কাছে যেটুকু আশা ছিল তার কিছুই পূরণ হয়নি। সবই সেই চিরাচরিত দৃশ্য, খুব একটা ফারাক নাই। তিনি ক্রসফায়ার নিয়ে অনেক আগুন বর্ষণ করতেন, যথারীতি তা চালু আছে। বিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণাটা করা হলো এর উত্তর কার কাছে চাইব?
আচ্ছা, প্রধানমন্ত্রী বৈদেশ যাওয়ার সময় এবং ফেরত আসার সময় এ দেশের সমস্ত ভি আই পিদের প্রায় হাতজোড় করে, এয়ারপোর্টে গিয়ে ধুম মাচানোর প্রয়োজনটা কী এটা বোধগম্য হয় না। তবুও ভাল অন্তত অর্থমন্ত্রী মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়াবার সাহস দেখাতে পেরেছেন। স্যালুট তাঁকে!
* ছবিঋণ: প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment