Search

Saturday, January 23, 2010

এ গ্রহের চুতিয়া নাম্বার ওয়ান এন্ড নাম্বার টু

প্রথম আলোর কল্যাণে আমরা জানলাম এ গ্রহের সবচেয়ে 'সুখী এক বেকার'-এর গল্প! এই লেখার সূত্র কী? এর কোন বালাই নেই- পত্রিকাটি এই কাহিনী কোত্থেকে অনুবাদ করেছে এটা আমরা জানি না কারণ প্রথম আলোর এই চল নেই! কৃতজ্ঞতা স্বীকার বলতে কোন শব্দ এদের অভিধানে নাই। চৌর্যবৃত্তি আর কাহাকে বলে!

এরা যা লিখেছে:
"ঘটনার সূত্রপাত ২০০৩ সালে। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টারে বউ-বাচ্চা নিয়ে ভালোই দিন কাটাচ্ছিলেন বাগানের মালী ডন কেইন। ...চাকরিটা ছেড়ে দিলেন।
...কেইন দম্পতি হঠাৎ করে উপলব্ধি করলেন, চাকরি করলে যে টাকা পাওয়া যায় তার থেকে এখন ভাতার পরিমাণ ঢের বেশি। ডন কেইন সিদ্ধান্ত নিলেন, জীবনে আর চাকরি-বাকরি করবেন না।
...সন্তানসম্ভবা স্ত্রী। ১৪ ছেলেমেয়ে বিশাল সংসার।
...বেকার অবস্থাতেই সরকারের বিভিন্ন ভাতা মিলিয়ে তার মাসিক আয় ৩৬ হাজার ৮৪৭ পাইন্ড। যেখানে যুক্তরাজ্যের গড় বেতন ২১ হাজার ৩২০ পাউন্ড।"

প্রথম আলো এর শিরোনাম দিয়েছে, সুখী এক বেকার। এটা যেখান থেকে (সহজ ভাষায় বলি, চুরি করা) নেয়া সেখানে এমন শিরোনাম ছিল কিনা এটা জানার উপায় আমাদের নেই! আসলে এটার শিরোনাম হওয়া উচিৎ ছিল 'চুতিয়া এক বেকার'। চুতিয়া শব্দে আপত্তি থাকলে 'অকর্মণ্য এক বেকার'।

আমার তো মনে হয়, এটা নিয়ে টস হওয়া প্রয়োজন ডন কেইনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে নাকি ফায়ারিং স্কোয়াডে? এ এই গ্রহের জন্য খতরনাক- এই শ্লা কিছুই না করে কেবল দিনপাত এবং বীর্যপাত করেই যাচ্ছে! প্রথম আলো আবার একে শাবাসিও দিচ্ছে, ঘটা করে আবার শিরোনামও দিচ্ছে, সুখী এক বেকার। আমাদের আলোর প্রদর্শক- বদলে দিতে দিতে এরা কি আমাদের ভাবনাও বদলে দিচ্ছে নাকি? কি শেখাতে চাইছে আমাদেরকে?

ডন কেইন হচ্ছে এ গ্রহের চুতিয়া নাম্বার ওয়ান এবং নাম্বার টু কে, এটা বলার আর অবকাশ কই? দৌড়ে প্রথম হওয়ার জন্য আলোর দিশারী মুখিয়ে থাকলে আমার আর কী-ই বা করার আছে!

No comments: