Search

Thursday, December 2, 2010

প্রথম আলো, ল্যাজটা কায়দা করে লুকিয়ে রাখতে হয়

ব্যক্তি বিশেষকে এটা বলা চলে, আপনাকে নগ্ন দেখতে ভাল লাগে না। লিখতে কষ্ট হয়, তবুও বয়স্ক কাউকে নিয়ে লিখতেই হয়, 'একজন বয়স্ক মানুষকে অন্তত নগ্ন দেখতে ভাল লাগে না' [১]
কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠানের বেলায় এই বক্তব্যটা ঠিক মিশ খায় না। অবশ্য এটাও ঠিক, প্রতিষ্ঠানটা কে চালাচ্ছেন এটাও দেখার বিষয়। প্রতিষ্ঠান ছাই- একজন মতিউর রহমান কি চান এটাই আলোচ্য বিষয়। নইলে মতিউর রহমানের এই ধৃষ্টতা হতো না এটা বলার!
এটিএন বাংলায় মতিউর রহমান সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। বেশ-বেশ! এটা আবার তিনি তার পত্রিকায় ঘটা করে ক্রোড় পত্র হিসাবে ছাপিয়েছেনও! মুন্নী সাহা অনুষ্ঠানটা শুরু করেছেন যেসব কথা বলে এটা তার গুরু মতিউর রহমানেরই শিক্ষার ফসল। যথা গুরুর তথা ছাত্র, কেবল বেচারা আনিসুল হককে নির্লজ্জ বলা কেন? সমস্যা কি এই পত্রিকার সর্বত্র আনিসুল হককে দেখলে, দাঁতসহ!
তবুও আমি মুন্নী সাহাকে টুপি খুলে সম্মান জানাই মতিউর রহমানকে কিছু তিক্ততার সম্মুখীন, বাস্তবতায় দাঁড় করাবার জন্য!

তো, এই সাক্ষাৎকারে মতিউর রহমানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, "...মানুষের ডাকনাম আপনি ছেঁটে দিচ্ছেন- এ প্রসঙ্গে আপনার মত কি"?
মতিউর রহমান বলছেন, "একটি ডাকনাম মা-বাবা দেন তাঁর পরিবারের ভেতর ব্যবহার করার জন্য। সেই ডাকনামটি বাইরে সবার মধ্যে প্রচার করা আমাদের কাছে পছন্দনীয় নয়।...আমরা মনে করি, এই ডাকনাম ছেঁটে ফেলার মাধ্যমে একটি মানদন্ড নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে...।" (প্রথম আলো, ২১ নভেম্বর, ২০১০)
মতিউর রহমান কায়দা করে আমাদের-আমরা শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন, বাস্তবে হবে আমি। মতিউর রহমানের এই বক্তব্য আমার কাছে স্রেফ ধৃষ্টতা মনে হচ্ছে। কারও নাম নিয়ে জাগলিং করার অধিকার মতিউর রহমান নামের মানুষটাকে কে দিয়েছে? গোটা দেশের লোকজনকে আপনি আপনার পত্রিকার কর্মচারী ভাবছেন বুঝি? নাকি গোটা দেশের লোকজন আপনাকে তাদের নামের আকিকা দেয়ার সোল এজেন্সি দিয়েছে? আপনার পত্রিকার সার্কুলেশনই কি ফাজলামির দোকান খুলতে প্ররোচিত করে, নাকি? এরা এখনই হাঁটেন পা ফাঁক করে, পত্রিকার সার্কুলেশন ৩০/ ৩৫ লাখ হলে তখন কি করবেন? পাঠককে বাথরুমে পত্রিকা পড়া নিষিদ্ধ করে দেবেন নাকি নেংটি পড়ে পত্রিকা পড়তে বাধ্য করবেন?

যাগ গে, মতিউর রহমানকে একপাশে সরিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কথা বলা যাক। করপোরেট নামের যে ধারালো ছুঁরি দিয়ে দেশটাকে ফালা ফালা করা হয় সেই করপোরেট ছুঁরি লুকানো থাকে মতিউর রহমান, ইউনূস সাহেবদের কোমরে। এঁদের ভঙ্গিটা যে প্রায় অবিকল এতে অবাক হওয়ার কিছু নাই- এই নিয়ে যে লেখাটা লেখা হয়েছিল, 'রতনে রতন চেনে' [২]
ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে যে কঠিন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা অন্যান্য পত্রিকায় মিডিয়ায় আসলেও প্রথম আলোয় একটি শব্দও ছাপা হয়নি। কেন? এটা মতিউর রহমান ভাল বলতে পারবেন। কাক কাকের মাংস খায় না- একজন ছুঁরিবাজ আরেকজন ছুঁরিবাজের ছুঁরির ঝনঝনানি শুনতে চান না।

ইউনূস সাহেবের প্রতি যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে এর পেছনে কতটুকু সত্যতা আছে সেটা পরের বিষয় কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কঠিন এই অভিযোগটা এসেছে যা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় জোর আলোচিত হচ্ছে। তা প্রথম আলোতে না-আসার পেছনে যে যুক্তিই থাকুক আমার কাছে কেবল মনে হচ্ছে, এদের ধারণা পাঠকের মাথায় কেবল সাবানের ফেনা। আসলে সাবানের ফেনা এদের মাথায় কারণ এরা তো নিজের ল্যাজটা কেমন করে লুকিয়ে রাখতে হয় এটাই এখনও ভাল করে রপ্ত করেনি।

(প্রথম আলোকে নিয়ে লেখা [৩], এখন আমার কাছে মনে হয় স্রেফ শব্দের অপচয়! আফসোস, জেনেশুনে হয়েছি একজন অপচয়কারী...!)

সহায়ক লিংক:
১. বয়স্ক মানুষদের নগ্নতা: http://www.ali-mahmed.com/2010/11/blog-post_09.html
২. ইউনূস সাহেব...: http://www.ali-mahmed.com/2010/11/blog-post_28.html
৩. প্রথম আলো: http://tinyurl.com/3yadh4k

No comments: