একটা গ্রহের সবই থাকে। এই গ্রহেরও যেমন আছে গ্রহপিতা, আমেরিকা [০]। এই গ্রহের প্রত্যেক সন্তানের পশ্চাদদেশে আমেরিকার স্নেহের হাত নাই, এমনটা আউট অভ কোশ্চেন! এই গ্রহের গ্রহপিতা আমেরিকা কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের এই গ্রহমাতা বা গ্রহের মা নাই! গর্দভ নাকি গর্বাচেভ নামের এক প্রাণী টাকা খেয়ে (!), না যেন পেরোস্ত্রাইকার সুগার কোটেড ট্যাবলেট খাইয়ে এ গ্রহের মাকে হত্যা করেছিল! মা-মা-মাগো, আমরা মাতৃহারা হলাম! ইয়াতিম হলাম!
অবশ্য এতেও কোন দ্বিমত নেই, গ্রহপিতা অমেরিকার সঙ্গে হাত মেলাবার পর নিজের হাতের আঙ্গুল গুণে না-দেখাটা বোকামির শেষ!
এই গ্রহের যথারীতি অধিপতিও আছে, গ্রহঅধিপতি। ইসরাইল। এই গ্রহের অধিপতিকে যারা অস্বীকার করেন এদের নাস্তিকের সমতুল্য বলা যায়, কি যায় না এটা নিয়ে একটা থিসিস করা যেতে পারে। এই যে গ্রহবাবা আমেরিকা তারও বাবা কিন্তু ইসরাইল। একবার ভুলে গ্রহ অধিপতিকে গ্রহপিতা লিখে ফেলেছিলাম [১]!
ইসরাইল আবারও গাজা অভিমুখি ত্রাণবাহী জাহাজে গুলি চালিয়েছে, এই কান্ডটা এরা আগেও বহুবার করেছে! Perdana global peace foundation -এর একটি জাহাজ। যার চিফ-Adviser হচ্ছেন Datuk Mukhriz Tun Mahathir ।
মিসরের জল-ভূমিতে দাঁড়িয়ে ইসরাইলিরা গুলি চালিয়েছে এই ত্রাণবাহী জাহাজে, ভাবা যায় [২]! ওখানে যা ঘটেছিল তার খানিকটা এখানে উঠে এসেছে:
"...The Israelis then headed to the back of the aid vessel and released a second warning shot into the air.
Derek Graham: “This is a violation (of international law). We are on a peaceful mission and unarmed.”
Israeli army: “Turn around. We will fire again”.
Derek Graham: “You are firing towards unarmed civilians”.
Israeli army: “We didn’t fire towards unarmed civilians”.
Derek Graham: “Looks like firing towards us.”
Israeli army: “We didn’t fire towards you. That is only a warning shot”.
Following that conversation, the Israeli army fired two more shots and threatened: “Next time, we will land on your ship”.
Then the Egyptian navy was heard telling the Israelis on the radio: “Stop firing. They are in the Egyptian waters”.
Upon realising the presence of Egyptian naval forces, the Israelis departed."
আহা, ইসরাইল কেন গুলি চালাবে না? অধিপতি-ঈশ্বর বলে কথা! অধিপতি-ঈশ্বরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন করা যায় বুঝি! সে তো করে শিশুরা! আমরা কি শিশু, শিশু না।
এই জুইশদের এক হওয়া নিয়ে স্বয়ং আইনস্টাইন যা বলেছেন তা আঁচ করার জন্য যথেষ্ঠ [৩]! আইনস্টাইন বলেছিলেন:
"There are no German Jews, There are no Russian Jews, There are no American Jews ...There are in fact only Jews."
এরা কেমন দানব হয়ে উঠেছে এর একটা উদাহরণ হতে পারে এটা। ১১০ ফিলিস্তানিকে একটা ভবনে আটকে রেখে বোমা মেরে প্রায় সবাইকে মেরে ফেলে, ওখানে অন্তত ৩০জন শিশু, নারি ছিলেন। এই কাজের জন্য এই গ্রহের কেউই এদের গোপন কেশ দূরের কথা বগলের কেশও স্পর্শ করতে পারেনি! গ্রহঅধিপতি বলে কথা!
বাতিল পুতুলের মত ছোট-ছোট শিশু পড়ে থাকে। বাবার জান্তব চিৎকার কী চমৎকারই না-শোনায় গ্রহঅধিপতির কানে!
এই ইসরাইলি বা ইহুদিদের ক্ষমতা কতটুকু এটা আঁচ করা মুশকিল। জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদায়কে নিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন, "পরোক্ষভাবে ইহুদিরাই বিশ্বকে শাসন করছে। আমেরিকা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে আর আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রণ করে জুইশ কমিউনিটি। বিশ্বের অস্ত্র, মিডিয়া, ব্যাংক থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই জুইশ কমিউনিটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পুরোপুরি। গত ৫০ বছরেও বেশি সময় ধরে প্যালেস্টাইনের উপর তারা যে অন্যায় করেছে তা Clash of Civilisation-এর মোড়কে বৈধ করে নিয়েছে পশ্চিমি সমাজ। বুশের প্রকাশ্যে সমর্থন ছিল ইহুদিদের প্রতি। আর কন্ডোলিনা রাইস তার প্রথম ইসরাইল সফরের পর বলেন, 'নিজের বাড়িতে ফিরে আসা"।"
অথচ এদের শিশুগুলো কী লক্ষী! এরা যে মিসাইলের গায়ে মজার মজার কথা লিখে, চোখের নিমিষে ওই মিসাইলগুলো ছটফটে শিশুদের নিমিষেই বাতিল পুতুলে রূপান্তরিত করে।[৪]
আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি, কারণ এ ব্যতীত আমাদের কী-ই বা করার আছে! জুইশ কমিউনিটি থেকে এসেছেন স্ট্যানলি কুবরিক, রোমান পোলানস্কি, উডি অ্যালান, এলিজাবেথ টেইলর, ডাস্টিন হফম্যান, হ্যারিসন ফোর্ড, ডগলাস, বব ডিলান, ডেভিড কপারফিল্ড, আসিমভ, আইনস্টাইন, হুডিনি, কাফকা- এই তালিকা অনেক লম্বা [৫]। (কেবল এই অংশটুকু মোহাম্মদ মাহামুদুজ্জামানের লেখা থেকে নেয়া)
এরা অসাধারণ লোকজন। চমৎকারসব মুভি বানিয়ে, অভিনয় করে, ফিকশন লিখে আমাদেরকে কাঁদান, আমরা কাঁদি।
মিডিয়ায়ও এদের দাপটের শেষ নাই। টাইম ওয়ার্নার-ওয়ার্নার ব্রাদার্স, এদের সহযোগি প্রতিষ্ঠান AOL, HBO, সিনেমেক্স, পলিগ্রাম এদের নাম কে না জানে? ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মূল প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইহুদি, চিফ এক্সিকিউটিভ বা সি,ও জেরাল্ড লেভিন ছিলেন ইহুদি। টেড টার্নারের সি, এন, এন হাল ছেড়ে দেয় ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কাছে। ছড়ি ঘোরাত ওয়ার্নার ব্রাদার্স। এরা কেমন করে লোকজনকে প্রভাবিত করে এর একটা উদাহরণ দেয়াটা সমীচীন হবে।
নাইন ইলাভেন। টুইন টাওয়ার ধ্বংশ হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ফুটেজ দেখানো হচ্ছিল। একটা ফুটেজ সাধারণ মানুষকে হতভম্ব করেছিল সেটা হচ্ছে, এই ধ্বংশের পর প্যালাস্টাইনরা আকাশে শূণ্যে গুলি ছুঁড়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। এই দৃশ্য দেখে যে-কোন সচেতন মানুষ আহত হবেন এতে সন্দেহ কী!
কিছুদিন পর সিএনএন খুবই অবহেলার সংগে টেলপে লিখে জানায়, ফুটেজটি ছিল পুরনো এবং এটা ভুলবশত দেখানো হয়েছে।
ইসরাইলকে নিয়ে এক লেখায় আমি লিখেছিলাম:
"এদের ধারণা মুসলমান মানেই টেররিস্ট- এরা নিজেরা সব ধোয়া তুলসি পাতা! ক-দিন পূর্বে, ইসরাইলে নির্বাচনের পূর্বে ইসরাইলি কর্তৃক যে শোডাউন করা হয়েছে, সেসব ছবি আমরা দেখেছি আধুনিক মিডিয়ার কল্যাণে।
এর পর কেবল একটা কথাই বলা চলে এবং আমি নিশ্চিত, পুতুপুতু টাইপের একটা বালকের হাতেও যদি ক্ষমতাটা দেয়া হয় সে কালবিলম্ব না-করে ইসরাইল নামের দেশটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলবে।" ...
সহায়ক সূত্র:
০. Perdana global peace foundation: http://www.theborneopost.com/?p=130563
১. ইসরাইল: http://www.ali-mahmed.com/2010/06/blog-post_15.html
২. জয় হোক গ্রহবাবার: http://www.ali-mahmed.com/2009/02/blog-post_05.html
৩. জুইশ...: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_10.html
৪. জুইশ শিশুদের দানব হওয়া...: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_7757.html
৫. সবই জুইশ!: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_7757.html
No comments:
Post a Comment