মুক্তিযোদ্ধা, নৌ-কমান্ডো ফজলুল হক ভূঁইয়াকে নিয়ে কিছু লেখা লিখেছিলাম। এই অসমসাহসী মানুষটা তীব্র অসহায়ত্বে দিনযাপন করেন [১]। চেষ্টা করা হয়েছিল বিভিন্ন সময়ে এই আগুন-মানুষটাকে শিশুদের কাছে পরিচিত করিয়ে দেয়ার । আমরা যে অপরাধগুলো করেছি আমাদের পরের প্রজন্ম যেন ঠিক সেই অপরাধগুলো না করে সেই ক্ষুদ্র চেষ্টা [২]।
এই মানুষটার একটা সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য জার্মানি থেকে হণ্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছিল। সাক্ষাৎকারটা নেয়া হবে জার্মানি থেকে ফোন
করে। আমি পড়লাম মহা ফ্যাসাদে। কারণ ফজলুল হক নামের এই মানুষটার সেল ফোন দূরের কথা একটা ঘড়িও নেই। ঠিক হলো আমার ফোনে জার্মানি থেকে ফোন করা হবে, ফজলুল হক আমার ফোনে সাক্ষাৎকারটা দেবেন।
সাক্ষাৎকারের যে সময় ঠিক করা হয়েছিল সেই সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু মানুষটার খোঁজ নেই। জার্মানি থেকে ফোনের পর ফোন আসছে। আমি অসহায় বোধ করছি কিন্তু উপায় কী, তাঁর তো ফোন নেই যে চট করে ফোন দিয়ে খোঁজ নেব। বাধ্য হয়ে তাঁর বাড়ীতে উপস্থিত হলাম। ওখানে গিয়ে দেখি আরেক কাহিনী! মানুষটা ঠিক সময়েই রওয়ানা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন কিন্তু কারা কারা যেন তাঁর বাড়ীতে ঢিল ছুঁড়েছে। আমার সামনেই একনাগাড়ে অশ্রাব্য, কুৎসিত ভাষায় তাঁকে কটু কথা বলছে। আমার সামনে ঘটনাটা ঘটায় মানুষটা ভারী বিব্রত হচ্ছেন।
সাক্ষাৎকারের সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। ওরা একগাদা টাকা খরচ করে স্টুডিও ভাড়া করেছেন। ফজলুল হক ভূঁইয়ার সমস্যার সবটুকু মনোযোগ দিয়ে শোনা হয় না। আসতে আসতে যেটুকু জানতে পারি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাসার পাশে মাদক ব্যবসা করা হচ্ছে, তিনি এর প্রতিবাদ করায় এরা তাঁর উপর ক্ষেপে আছে। আমি অল্প কথায় পরামর্শ দিয়েছিলাম, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টা জানাবার জন্য।
যাই হোক অনেক যন্ত্রণা করে তাঁর সাক্ষাৎকারটা অবশেষে নেয়া হয়েছিল। [৩]
সহায়ক সূত্র:
১. ফজলুল হক ভূঁইয়া, এক: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_18.html
২. ফজলুল হক ভূইয়া, দুই: http://www.ali-mahmed.com/2010/06/blog-post_4596.html
৩. সাক্ষাৎকার, ডয়চে ভেলে:
৪. redtimesbd.com: http://www.redtimesbd.com/details.php?cat=1&id=18826
৫. ট্যাংক-মানব: http://www.ali-mahmed.com/2010/03/blog-post_03.html
৬. দুলা মিয়া: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_08.html
৭. খেতাব...: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=24&date=2011-07-05
এই মানুষটার একটা সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য জার্মানি থেকে হণ্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছিল। সাক্ষাৎকারটা নেয়া হবে জার্মানি থেকে ফোন
করে। আমি পড়লাম মহা ফ্যাসাদে। কারণ ফজলুল হক নামের এই মানুষটার সেল ফোন দূরের কথা একটা ঘড়িও নেই। ঠিক হলো আমার ফোনে জার্মানি থেকে ফোন করা হবে, ফজলুল হক আমার ফোনে সাক্ষাৎকারটা দেবেন।
সাক্ষাৎকারের যে সময় ঠিক করা হয়েছিল সেই সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু মানুষটার খোঁজ নেই। জার্মানি থেকে ফোনের পর ফোন আসছে। আমি অসহায় বোধ করছি কিন্তু উপায় কী, তাঁর তো ফোন নেই যে চট করে ফোন দিয়ে খোঁজ নেব। বাধ্য হয়ে তাঁর বাড়ীতে উপস্থিত হলাম। ওখানে গিয়ে দেখি আরেক কাহিনী! মানুষটা ঠিক সময়েই রওয়ানা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন কিন্তু কারা কারা যেন তাঁর বাড়ীতে ঢিল ছুঁড়েছে। আমার সামনেই একনাগাড়ে অশ্রাব্য, কুৎসিত ভাষায় তাঁকে কটু কথা বলছে। আমার সামনে ঘটনাটা ঘটায় মানুষটা ভারী বিব্রত হচ্ছেন।
সাক্ষাৎকারের সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। ওরা একগাদা টাকা খরচ করে স্টুডিও ভাড়া করেছেন। ফজলুল হক ভূঁইয়ার সমস্যার সবটুকু মনোযোগ দিয়ে শোনা হয় না। আসতে আসতে যেটুকু জানতে পারি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাসার পাশে মাদক ব্যবসা করা হচ্ছে, তিনি এর প্রতিবাদ করায় এরা তাঁর উপর ক্ষেপে আছে। আমি অল্প কথায় পরামর্শ দিয়েছিলাম, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টা জানাবার জন্য।
যাই হোক অনেক যন্ত্রণা করে তাঁর সাক্ষাৎকারটা অবশেষে নেয়া হয়েছিল। [৩]
গতকাল দেখলাম একটা ফাইল নিয়ে তিনি ঘুরছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁকে হুমকি দিচ্ছে এটা তিনি জনপ্রতিনিধিদের অনেককেই জানিয়েছেন কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি!
কোন জাতীয় দৈনিকে যে এই খবরটা আসবে না, এই নিয়ে আমার কোনও সংশয় ছিল না কারণ এটা জুলাই মাস, ডিসেম্বর না। ডিসেম্বরের এখনও অনেক দেরী। আমরা আবার বিশেষ বিশেষ মাস ব্যতীত মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক লেখা লিখে আরাম পাই না। বিশেষ সময় ব্যতীত আমাদের কান্নাকাটিটাও আবার তেমন জমে না!
সূত্র: আমাদের কুমিল্লা ৬ জুলাই, ২০১১ |
নৌ-কমান্ডো ফজলুল হক ভূঁইয়ার মত মানুষকে, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে কেন আমরা নিরাপত্তা দিতে পারছি না? কমান্ডো, যে মানুষটা বুকে মাইন বেঁধে বড়ো বড়ো জাহাজ উড়িয়ে দিয়েছেন সেই মানুষটাকে কেন ভিক্ষুকের মত নিজের নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে?
...
পোস্টের এখানেই সমাপ্তি। এবার ভিন্ন প্রসঙ্গ:
আমাদের দেশটা আসলেই বড়ো বিচিত্র! এম এ জব্বার [৫], দুলা মিয়ার [৬] মত বীররা একটাও খেতাব পান না অথচ একজনই দুইটা খেতাব পেয়ে ফেলেন [৭]! সব হয়ে যায় এলোমেলো! মদবিক্রেতার উপর দায়িত্ব বর্তায় মাদক নির্মূল করার! একজন পাঁড় মাতাল থাকেন মাদকবিরোধী মিছিলের অগ্রভাগে। ব্যানারসহ সেই মদ্যপের ছবি যখন পত্রিকাওয়ালা ঘটা করে ছাপায় তখন আমরা বিমল আনন্দ বোধ করি, পুলকিত হই! ফল যা হওয়ার তাই হয়। যদভবিষ্য...!
চারদিকে এদেরই যশঃকীর্তন- যশঃখ্যাপন- যশোগান! বাকী সবার কাক নিয়ে গেল কান...
সহায়ক সূত্র:
১. ফজলুল হক ভূঁইয়া, এক: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_18.html
২. ফজলুল হক ভূইয়া, দুই: http://www.ali-mahmed.com/2010/06/blog-post_4596.html
৩. সাক্ষাৎকার, ডয়চে ভেলে:
৪. redtimesbd.com: http://www.redtimesbd.com/details.php?cat=1&id=18826
৫. ট্যাংক-মানব: http://www.ali-mahmed.com/2010/03/blog-post_03.html
৬. দুলা মিয়া: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_08.html
৭. খেতাব...: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=24&date=2011-07-05
2 comments:
Boro boro khota bolen,pnar alakar upazila chairman Borgan-e to akjon drunker
সত্য নাকি আলি ভাই? আপনিও কি একটা মাতালকে ভোট দিয়েছিলেন?
Post a Comment