লেজে হোমো এরশাদ ক্ষমতায় ছিলেন ৩১৫৯ দিন! এ এক ইতিহাস! তার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রের 'এডভাইসের' নামে কন্ঠ রোধ করা হয়েছিল। অসংখ্য আবর্জনা থেকে অল্প কয়েকটা এখানে তুলে দিলাম। নমুনা:
১৪ ফেব্রয়ারি, ১৯৮৩: আজ ঢাকা শহরে যে গুলি হত্যার ঘটনা ঘটেছে এই সম্বন্ধে কোন প্রকার খবর প্রকাশিত হবে না।
১৪ ফেব্রয়ারি, ১৯৮৩: আজ ঢাকা শহরে যে গুলি হত্যার ঘটনা ঘটেছে এই সম্বন্ধে কোন প্রকার খবর প্রকাশিত হবে না।
১৯ মে, ১৯৮৩: শিক্ষামন্ত্রীকে খুলনা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ছাত্ররা 'কালো পতাকা' দেখিয়েছে। এ খবর ছাপা যাবে না।
১৮ আগস্ট, ১৯৮৫: জে. এরশাদ মনপুরায় পোলিও আক্রান্ত যে শিশুটিকে কোলে নিয়েছেন তা ফলাও করে ছাপাতে হবে, ছবিসহ।
১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫: মীরপুর ডিফেন্স ষ্টাফ কলেজের একজন ক্যাডেট মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ খবর কোন পত্রিকায় ছাপা হবে না।
২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫: আগামীকাল শেখ হাসিনা যে সংবাদসম্মেলন ডেকেছেন ওখানে এমন একজন সাংবাদিক পাঠাতে হবে যে কঠিন-কঠিন প্রশ্ন করবে।
২১ অক্টোবর, ১৯৮৫: জে. এরশাদ জগন্নাথ হলে যাওয়ার সময় তার গাড়ির উপর যে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়েছে, এই বিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশিত হবে না।
২২ অক্টোবর, ১৯৮৫: জে. এরশাদ আগামীকাল প্রেস কনফারেন্সে বক্তৃতা করবেন। এমন একজন সাংবাদিক পাঠানো হবে যে কোন প্রকার বিব্রতকর প্রশ্ন করবে না।
৩ নভেম্বর, ১৯৮৫: মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় জে. এরশাদ যে কবিতা লিখেছেন তা ছাপাতে হবে।
২৪ জুলাই, ১৯৯০: যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সচিবালয়ের লিফটে আটকা পড়েছিলেন। পরে লিফটম্যানকে হেনেস্তা করায় সচিবালয়ের কর্মচারীরা তাকে ঘেরাও করে। এই খবর কোন পত্রিকায় আসতে পারবে না।
২৫ জুলাই, ১৯৯০: শান্তিবাহিনী রাঙ্গামাটির রেডিও রিলে স্টেশন কিছুটা সময়ের জন্য নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। এই সংবাদ প্রকাশ করা হবে না।
২৬ নভেম্বর, ১৯৯০: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপর হামলায় যে মাইক্রোবাসটি ব্যবহৃত হয়েছে তা যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাইক্রোবাস এই বিষয়ে ভুলেও কিছু লেখা যাবে না।
১৬ অক্টোবর, ১৯৯১: কোন মহিলার সঙ্গে জে. এরশাদের ছবি ছাপানো যাবে না।
২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২: মোহামেডান-আবাহনী খেলা চলার সময় গুলি করা হয়েছে এই বিষয়ে কেবল 'বাসস' যে খবর ঠিক করে দেবে হুবহু সেই খবরই পত্রপত্রিকায় যাবে।
১৮ আগস্ট, ১৯৮৫: জে. এরশাদ মনপুরায় পোলিও আক্রান্ত যে শিশুটিকে কোলে নিয়েছেন তা ফলাও করে ছাপাতে হবে, ছবিসহ।
১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫: মীরপুর ডিফেন্স ষ্টাফ কলেজের একজন ক্যাডেট মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ খবর কোন পত্রিকায় ছাপা হবে না।
২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫: আগামীকাল শেখ হাসিনা যে সংবাদসম্মেলন ডেকেছেন ওখানে এমন একজন সাংবাদিক পাঠাতে হবে যে কঠিন-কঠিন প্রশ্ন করবে।
২১ অক্টোবর, ১৯৮৫: জে. এরশাদ জগন্নাথ হলে যাওয়ার সময় তার গাড়ির উপর যে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়েছে, এই বিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশিত হবে না।
২২ অক্টোবর, ১৯৮৫: জে. এরশাদ আগামীকাল প্রেস কনফারেন্সে বক্তৃতা করবেন। এমন একজন সাংবাদিক পাঠানো হবে যে কোন প্রকার বিব্রতকর প্রশ্ন করবে না।
৩ নভেম্বর, ১৯৮৫: মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় জে. এরশাদ যে কবিতা লিখেছেন তা ছাপাতে হবে।
২৪ জুলাই, ১৯৯০: যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সচিবালয়ের লিফটে আটকা পড়েছিলেন। পরে লিফটম্যানকে হেনেস্তা করায় সচিবালয়ের কর্মচারীরা তাকে ঘেরাও করে। এই খবর কোন পত্রিকায় আসতে পারবে না।
২৫ জুলাই, ১৯৯০: শান্তিবাহিনী রাঙ্গামাটির রেডিও রিলে স্টেশন কিছুটা সময়ের জন্য নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। এই সংবাদ প্রকাশ করা হবে না।
২৬ নভেম্বর, ১৯৯০: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপর হামলায় যে মাইক্রোবাসটি ব্যবহৃত হয়েছে তা যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাইক্রোবাস এই বিষয়ে ভুলেও কিছু লেখা যাবে না।
১৬ অক্টোবর, ১৯৯১: কোন মহিলার সঙ্গে জে. এরশাদের ছবি ছাপানো যাবে না।
২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২: মোহামেডান-আবাহনী খেলা চলার সময় গুলি করা হয়েছে এই বিষয়ে কেবল 'বাসস' যে খবর ঠিক করে দেবে হুবহু সেই খবরই পত্রপত্রিকায় যাবে।
*সূত্র: ভোরের কাগজ, বিচিন্তা। ১৯৯২।
5 comments:
খলতা,ভন্ডামো, ভাড়ামো,নারীলিপ্সা,চরিত্রহীনতা,অভিনয়,দুর্নীতিতে এরশাদ তুলনাহীন,সে গোপাল ভাড়ঁ ও ক্যাসানোভা ও জল্লাদের এক তিক্ত মিশ্রণ।এমন কোন অপরাধ নেই যা সে করে নি,এমন কোন পদ্ম নেই যাকে সে দুষিত করে নি।ধর্ম থেকে কবিতা পর্যন্ত সব কিছু সে নষ্ট করেছে।(হুমায়ুন আজাদ, বইঃ আমরা কি এই বাঙলাদেশ দেখতে চেয়েছিলাম)
আসলেই! এই মানুষটা একটা 'কু-প্রতিভা'। এমন কোন দিক নাই যেটা এ কলুষিত করে নাই। এমন কী তার বাচ্চা হওয়া নিয়ে নাটকেও...@মুরাদুল ইসলাম
তারপরও বলতে বাধ্য হচ্ছি এই দুই মহিলার সময় থেকে এরশাদের সময় ভালো ছিল।
এটা শুনতে ভাল লাগে না, বলতেও। কিন্তু নমুনা দেখে মনে হয়: সবই 'একই পোনার ঝাঁক'! ... @Anonymous
বাংলাদেশের মত একটা দেশে একটা লুইচ্ছা কিভাবে ৯ বছর ক্ষমতায় ঠিকলো , তা অবাক করা বিষয় ।
Post a Comment