"...ভারতের বিদ্যুত সচিব পি উমা শংকর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুত সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। উমা শংকর বলেন, 'রামপালে (সুন্দরবনের কাছে) কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করলে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না ...বাংলাদেশের বিদ্যুত সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অংশে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারত বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করতে বাংলাদেশের ট্রানজিটের ক্ষেত্রে যে কর সুবিধা চেয়েছে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে বিবেচনাধীন আছে বলে সচিব জানান।" (ইত্তেফাক, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)
Suicidal deal with Indian company must be scrapped:
"Language does not always express the truth. It also hides the truth and even glorifies falsehood. For example, Bangladesh and India have recently taken up a joint venture to set up a $1.5 billion 1, 320MW coal-fired power plant at Rampal near the Bangladesh part of Sundarban while the joint venture has been named as Bangladesh-India Friendship Power Company..." (NEW AGE, 10.03.13)
"... সরকারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তারা বলেন, 'বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহন ও নানা চুক্তির পর জনমত জরিপ করা একটি প্রহসন’।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির যৌথ উদ্যোগে রামপাল এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপনের (ইআইএ) বিষয়ে জনমত পর্যালোচনা সভায় এসব অভিযোগ করা হয়।
...রামপাল এলাকার বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, 'হাজার বছর চেষ্টা করেও একটি সুন্দরবন হবে না। তাই এ এলাকায় বিদ্যুত কেন্দ্র না করে অন্য স্থানে করা উচিত'।
...জ্বালানি সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, 'এই প্লান্টটি আমাদের জন্য জরুরি, তাই পরিবেশের বিষয়গুলো আপোষযোগ্য'।" (bdnews24.com, 12.04.13)
এই যে প্রজাতন্ত্রের বেতনভুক্ত কর্মচারী বললেন, '...তাই পরিবেশের বিষয়গুলো আপোষযোগ্য', আচ্ছা আপনি পরিবেশের কী বোঝেন? না, আমি স্কুলে পড়া 'পরিবেশ পরিচিতি' বইটার কথা বলছি না...।
এলাকাবাসী মুজাহিদুল ইসলাম যে বললেন, 'হাজার বছর চেষ্টা করেও একটি সুন্দরবন হবে না।" এটা আমরা বুঝি কিন্তু আমাদের বেতনভুক্ত কর্মচারীরা বুঝল না! এটাও একটা কারণ হতে পারে- আমরা এই দেশেই থাকব কিন্তু এরা এই দেশে থাকবে না...।
আর উমা শংকর, আপনি যে বললেন, 'রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করলে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না...'।
ও দাদা, আপনারা আর কত চালবাজি করবেন আমাদের সঙ্গে, হা? আমাদের অপারেশনের ক্ষত তো এখনও শুকায়নি! আমরা কী ভুলে গেছি এই বিদ্যুতের নাম করে বছরদেড়েক পূর্বে [১] আমাদেরকে কী ঘোলই না খাইয়েছিলেন! তিতাস নদীকে স্রেফ দু-ভাগ করে ফেলেছিলেন। বিনিময়ে বিদ্যুতের নাম করে আমাদেরকে কী দিয়েছিলেন, আ বিগ জিরো!
তা এই নদীতে বাঁধ দিয়ে আরেকটা রাস্তা কেন করতে গেলেন? এটা করা হয়েছে আপনাদের ১২০ চাকার ট্রেইলরগুলো চালাবার জন্য। আগরতলায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রপাতির জন্য।
আমাদেরকে বলা হয়েছিল, ভারতের আগরতলার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এখান থেকে আমরা ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব। চরম বিদ্যুৎসংকটে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া চাট্টিখানি কথা না। ভারতের ওই ওই বিদ্যুত প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল পালাটানা। বাংলাদেশ হয়ে পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালসামান এখান দিয়ে পরিবহণ হওয়ায় বাংলাদেশ ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আশা করেছিল। এই নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়েও আলোচনাও হয়েছিল। ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রীরও এতে আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ভারতের পত্রিকাটি থেকে যেটা জানা গেল, বানরের পিঠা ভাগাভাগির মত এরা নিজেরাই সব নিয়ে নিয়েছিল।
তাহলে বাংলাদেশের জন্য কী ছিল? ছিল, লাড্ডু ওয়াট। ছিল টিকটিকির ডিম...!
*"...ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানীকৃত এই কয়লা বোঝাই বড় বড়জাহাজ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে পশুর নদীতে চলাচল করবে ৫৯ দিন আর অগভীর অংশে কয়লা আনার জন্য ছোট লাইটারেজ জাহাজ চলাচল করবে বছরে ২৩৬ দিন। এর অর্থ হচ্ছে বিদ্যুতকেন্দ্রটি তাত্ত্বিকভাবে নিরাপদ স্থানে হলেও এই কেন্দ্র সচল রাখতে সার্বিককার্যক্রম চলবে সুন্দরবনের বুকের উপর দিয়েই।..." [২]
দাদারা আমাদেরকে বলেছেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে; এটা জেনে নিশ্চিন্ত হচ্ছি। এরা হয়তো পানির জাহাজে কয়লা না-নিয়ে হাওয়াই জাহাজ বা আমাদের টাকায় কেনা হেলিকপ্টারে করে কয়লা আনা-নেওয়া করবেন। জয় হো, দাদা গো।
**"কিন্তু আরো ভয়ংকর ব্যাপার হলো , একদিকে বলা হয়েছে এই বিষাক্ত ছাই পরিবেশে নির্গত হলে ব্যাপক দূষণ হবে(পৃষ্ঠা ২৮৭) অন্যদিকে এই ছাই দিয়েই প্রকল্পের মোট ১৮৩৪ একর জমির মধ্যে ১৪১৪ একর জমি ভরাট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে! (পৃষ্ঠা ২৬৩) এই বর্জ্য ছাই এর বিষাক্ত ভারী ধাতু নিশ্চিত ভাবেই বৃষ্টির পানি সাথে মিশে, চুইয়ে প্রকল্প এলাকার মাটি ও মাটির নীচের পানির স্তর দূষিত করবে যার প্রভাব শুধু প্রকল্প এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।..."[৩]
সহায়ক সূত্র:
১. তিতাস, এবং বানরের পিঠা ভাগাভাগি: http://www.ali-mahmed.com/2011/12/blog-post_23.html
২. চলুন রচনা করি সুন্দরবনের এপিটাফ: http://tinyurl.com/bu35lds
৩. কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব নিরুপন: http://tinyurl.com/c6hfefw
Suicidal deal with Indian company must be scrapped:
"Language does not always express the truth. It also hides the truth and even glorifies falsehood. For example, Bangladesh and India have recently taken up a joint venture to set up a $1.5 billion 1, 320MW coal-fired power plant at Rampal near the Bangladesh part of Sundarban while the joint venture has been named as Bangladesh-India Friendship Power Company..." (NEW AGE, 10.03.13)
"... সরকারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তারা বলেন, 'বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহন ও নানা চুক্তির পর জনমত জরিপ করা একটি প্রহসন’।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির যৌথ উদ্যোগে রামপাল এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপনের (ইআইএ) বিষয়ে জনমত পর্যালোচনা সভায় এসব অভিযোগ করা হয়।
...রামপাল এলাকার বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, 'হাজার বছর চেষ্টা করেও একটি সুন্দরবন হবে না। তাই এ এলাকায় বিদ্যুত কেন্দ্র না করে অন্য স্থানে করা উচিত'।
...জ্বালানি সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, 'এই প্লান্টটি আমাদের জন্য জরুরি, তাই পরিবেশের বিষয়গুলো আপোষযোগ্য'।" (bdnews24.com, 12.04.13)
এই যে প্রজাতন্ত্রের বেতনভুক্ত কর্মচারী বললেন, '...তাই পরিবেশের বিষয়গুলো আপোষযোগ্য', আচ্ছা আপনি পরিবেশের কী বোঝেন? না, আমি স্কুলে পড়া 'পরিবেশ পরিচিতি' বইটার কথা বলছি না...।
এলাকাবাসী মুজাহিদুল ইসলাম যে বললেন, 'হাজার বছর চেষ্টা করেও একটি সুন্দরবন হবে না।" এটা আমরা বুঝি কিন্তু আমাদের বেতনভুক্ত কর্মচারীরা বুঝল না! এটাও একটা কারণ হতে পারে- আমরা এই দেশেই থাকব কিন্তু এরা এই দেশে থাকবে না...।
আর উমা শংকর, আপনি যে বললেন, 'রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করলে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না...'।
ও দাদা, আপনারা আর কত চালবাজি করবেন আমাদের সঙ্গে, হা? আমাদের অপারেশনের ক্ষত তো এখনও শুকায়নি! আমরা কী ভুলে গেছি এই বিদ্যুতের নাম করে বছরদেড়েক পূর্বে [১] আমাদেরকে কী ঘোলই না খাইয়েছিলেন! তিতাস নদীকে স্রেফ দু-ভাগ করে ফেলেছিলেন। বিনিময়ে বিদ্যুতের নাম করে আমাদেরকে কী দিয়েছিলেন, আ বিগ জিরো!
তা এই নদীতে বাঁধ দিয়ে আরেকটা রাস্তা কেন করতে গেলেন? এটা করা হয়েছে আপনাদের ১২০ চাকার ট্রেইলরগুলো চালাবার জন্য। আগরতলায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রপাতির জন্য।
আমাদেরকে বলা হয়েছিল, ভারতের আগরতলার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এখান থেকে আমরা ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব। চরম বিদ্যুৎসংকটে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া চাট্টিখানি কথা না। ভারতের ওই ওই বিদ্যুত প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল পালাটানা। বাংলাদেশ হয়ে পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালসামান এখান দিয়ে পরিবহণ হওয়ায় বাংলাদেশ ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আশা করেছিল। এই নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়েও আলোচনাও হয়েছিল। ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রীরও এতে আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ভারতের পত্রিকাটি থেকে যেটা জানা গেল, বানরের পিঠা ভাগাভাগির মত এরা নিজেরাই সব নিয়ে নিয়েছিল।
তাহলে বাংলাদেশের জন্য কী ছিল? ছিল, লাড্ডু ওয়াট। ছিল টিকটিকির ডিম...!
*"...ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানীকৃত এই কয়লা বোঝাই বড় বড়জাহাজ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে পশুর নদীতে চলাচল করবে ৫৯ দিন আর অগভীর অংশে কয়লা আনার জন্য ছোট লাইটারেজ জাহাজ চলাচল করবে বছরে ২৩৬ দিন। এর অর্থ হচ্ছে বিদ্যুতকেন্দ্রটি তাত্ত্বিকভাবে নিরাপদ স্থানে হলেও এই কেন্দ্র সচল রাখতে সার্বিককার্যক্রম চলবে সুন্দরবনের বুকের উপর দিয়েই।..." [২]
দাদারা আমাদেরকে বলেছেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে; এটা জেনে নিশ্চিন্ত হচ্ছি। এরা হয়তো পানির জাহাজে কয়লা না-নিয়ে হাওয়াই জাহাজ বা আমাদের টাকায় কেনা হেলিকপ্টারে করে কয়লা আনা-নেওয়া করবেন। জয় হো, দাদা গো।
**"কিন্তু আরো ভয়ংকর ব্যাপার হলো , একদিকে বলা হয়েছে এই বিষাক্ত ছাই পরিবেশে নির্গত হলে ব্যাপক দূষণ হবে(পৃষ্ঠা ২৮৭) অন্যদিকে এই ছাই দিয়েই প্রকল্পের মোট ১৮৩৪ একর জমির মধ্যে ১৪১৪ একর জমি ভরাট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে! (পৃষ্ঠা ২৬৩) এই বর্জ্য ছাই এর বিষাক্ত ভারী ধাতু নিশ্চিত ভাবেই বৃষ্টির পানি সাথে মিশে, চুইয়ে প্রকল্প এলাকার মাটি ও মাটির নীচের পানির স্তর দূষিত করবে যার প্রভাব শুধু প্রকল্প এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।..."[৩]
সহায়ক সূত্র:
১. তিতাস, এবং বানরের পিঠা ভাগাভাগি: http://www.ali-mahmed.com/2011/12/blog-post_23.html
২. চলুন রচনা করি সুন্দরবনের এপিটাফ: http://tinyurl.com/bu35lds
৩. কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব নিরুপন: http://tinyurl.com/c6hfefw
No comments:
Post a Comment