এই সৌন্দর্য দেখে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়লে সেই মানুষটাকে খুব একটা দোষ দেওয়া চলে না! কী এক অপরূপ, কী অপার্থিব সৌন্দর্য! এই সৌন্দর্যে কারো মাথা এলোমেলো হয়ে পড়াটা বা এটা দেখে কেউ ঝাঁপ দিলে আটকাবার চেষ্টা করাটা সমীচীন হবে না।
আমি কবি হলে ঝেড়ে ফেলতাম আস্ত এক
কবিতা বা লেখক হলে এই পেঁজা-পেঁজা ফেনার মতই ফেনিয়ে লিখে ফেলতাম হয়তো জীবনের
শ্রেষ্ঠ লেখাটা।
আমি পূর্বের এক লেখায় লিখেছিলাম,
ভাগ্যিস, আমাদের একপেট আবর্জনা চামড়া দিয়ে মুড়িয়ে রাখে প্রকৃতি আর কাপড় দিয়ে খানিকটা আমরা। নইলে যে বিকট
সর্বনাশ হয়ে যেত। কুলিবাগানের জারিনা আর ‘বলিউডবাগানের’
কারিনার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য থাকত না।
প্রথম-প্রথম আমি বুঝেই উঠতে
পারতাম না এই অপার সৌন্দর্যের উৎস কী? কেন এটার দেখা অন্যত্র মেলে না? পানির ক্ষীণ
স্রোত যে কেবল এখানেই এমন তো না- আমাদের দেশে তীব্র স্রোতের পানির অভাব কী! তাহলে?
আমাদেরকে এই অপার সৌন্দর্য উপহার
দেওয়ার জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা প্রয়োজন আমাগো দাদা, ভারতের। ভারতের
ত্রিপুরার রাজ্যে যে সমস্ত কারখানা আছে ওই সব কারখানার সমস্ত রাসায়নিক বর্জ্য
দাদারা সবটা ঢেলে দেন বাংলাদেশে। এই বিপুল ফেনার উৎস সেই সমস্ত রাসায়নিক বর্জ্য।
রাসায়নিক বর্জ্যে কি কি উপকার হয়
এটা আমাদের ঢাকাবাসী পরিবেশবিশেষজ্ঞ স্যাররা ভাল বলতে পারবেন। বেচারারা বুড়িগঙ্গা
নিয়ে কস্তাকস্তি করেই কুলাতে পারেন না। আর এ যে দাদাদের দাদাগিরি...।
আহা, এটা যে দাদাদের দান। দাদা
বলে কথা, এই দান আমাদের না-নিয়ে উপায় কী!
No comments:
Post a Comment