পত্রিকাওয়ালাদের সঙ্গে আমার
বিশেষ সখ্যতা নেই বরং ‘অমায়িক লাগালাগি’ আছে। তো, একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা আমার একটা লেখা ছাপাবার সুবাদে এক কপি সৌজন্য কপিও পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভাগ্যিস, লেখাটা লিখেছিলাম নইলে দেখার সুযোগ হতো না।
ওই পত্রিকা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে নিয়ে প্রচ্ছদ করেছিল, ‘বড় ভাল লোক ছিলেন’। তিনি কেবল ভাল লোকই ছিলেন না অসম্ভব দয়ালুও ছিলেন।
তিনি তাহেরপুত্র বিপ্লবকে বড় দয়া করেছিলেন। বিপ্লবের বাবা তাহেরও লোক ভাল। তাহেরের সন্তান বিপ্লবও ভাল। বিপ্লব একটু ‘দুষ্টামি-মুষ্টামি’ করত। দুষ্টামি-মুষ্টামি’ করতে গিয়ে ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষীপুর জজকোর্টের সাবেক পিপি এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে খেলার সাথীদের নিয়ে অপহরণ করে কেটে কুচি কুচি করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
শোনো কথা-কী অন্যায্য কথা! এই কারণে আদালত তাহেরপুত্র বিপ্লবকে ফাঁসির আদেশ দেন। ভাগ্যিস, আমাদের দয়াবান রাষ্ট্রপতি ছিলেন নইলে বিপ্লবের ফাঁসি হলে সে বাঁচত বুঝি? ২০১১ সালে রাষ্ট্রপতি ফাঁসির আদেশ রদ করে ক্ষমা করে দেন। পরের বছর রাষ্ট্রপতি আরও দুইটি হত্যাকান্ডের সাজা যাবজ্জীন থেকে ১০ বছর করে দেন।
পরে আরও আটটি অপরাধমূলক মামলায় রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকার বাহাদুর বিপ্লবকে বেকসুর খালাস করে দেন। বেচারা বিপ্লব, কেবল অন্য একটি মামলার কারণে যাবজ্জীবনের সাজা ভোগ করতে হচ্ছে বলে এখনও কারাগারে আটকে আছে।
আহারে, ছেলেটার প্রতি কী অন্যায়-অবিচারই না করা হচ্ছে। আরশের একটা পায়া না-কেঁপে উপায় কী! এখন ছেলেটার একটা বিবাহ করিয়ে দেওয়াটা বড় জরুরি হয়ে পড়েছে!
* ওয়াল্লা, এটা যে সত্যি হবে এটা কল্পনাও করিনি!
ওই পত্রিকা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে নিয়ে প্রচ্ছদ করেছিল, ‘বড় ভাল লোক ছিলেন’। তিনি কেবল ভাল লোকই ছিলেন না অসম্ভব দয়ালুও ছিলেন।
তিনি তাহেরপুত্র বিপ্লবকে বড় দয়া করেছিলেন। বিপ্লবের বাবা তাহেরও লোক ভাল। তাহেরের সন্তান বিপ্লবও ভাল। বিপ্লব একটু ‘দুষ্টামি-মুষ্টামি’ করত। দুষ্টামি-মুষ্টামি’ করতে গিয়ে ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষীপুর জজকোর্টের সাবেক পিপি এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে খেলার সাথীদের নিয়ে অপহরণ করে কেটে কুচি কুচি করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
শোনো কথা-কী অন্যায্য কথা! এই কারণে আদালত তাহেরপুত্র বিপ্লবকে ফাঁসির আদেশ দেন। ভাগ্যিস, আমাদের দয়াবান রাষ্ট্রপতি ছিলেন নইলে বিপ্লবের ফাঁসি হলে সে বাঁচত বুঝি? ২০১১ সালে রাষ্ট্রপতি ফাঁসির আদেশ রদ করে ক্ষমা করে দেন। পরের বছর রাষ্ট্রপতি আরও দুইটি হত্যাকান্ডের সাজা যাবজ্জীন থেকে ১০ বছর করে দেন।
পরে আরও আটটি অপরাধমূলক মামলায় রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকার বাহাদুর বিপ্লবকে বেকসুর খালাস করে দেন। বেচারা বিপ্লব, কেবল অন্য একটি মামলার কারণে যাবজ্জীবনের সাজা ভোগ করতে হচ্ছে বলে এখনও কারাগারে আটকে আছে।
আহারে, ছেলেটার প্রতি কী অন্যায়-অবিচারই না করা হচ্ছে। আরশের একটা পায়া না-কেঁপে উপায় কী! এখন ছেলেটার একটা বিবাহ করিয়ে দেওয়াটা বড় জরুরি হয়ে পড়েছে!
* ওয়াল্লা, এটা যে সত্যি হবে এটা কল্পনাও করিনি!
No comments:
Post a Comment