Search

Saturday, November 2, 2024

ডিয়ার, জামাতে আমির, সমীপেষু...!

লেখক: Farjana Mahbuba (https://www.facebook.com/Ms.SunshineInTheRain)
"আমীরে জামাত মেয়েদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যমুনা টিভিকে বলেছেন:
'আফগানিস্তানে একচুয়ালি কী হচ্ছে, এটা আপনিও চোখে দেখছেন না, আমিও দেখছিনা, শুধু মিডিয়ার মাধ্যমে খন্ডচিত্র আমাদের কাছে যেটুকু আসে তাই নিয়ে আমাদের ধারণা।'
মিডিয়া যে একটা চরম হিপোক্র্যাট এবং সে যে সিলেক্টিভ পিকচার দেখায় মানুষকে, এখাতে আমীরে জামাতের কথায় আমি ১০০% একমত।
এমনকি এমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এ ব্যাপারে একমত।
ট্রাম্পের যা পছন্দ হয় না, সবকিছুতে সে নির্দ্বিধায় বলে দেয় 'মিডিয়া ফটোশপ করছে'।
ট্রাম্পের সমর্থকদেরকে আপনি ট্রাম্পের কোনো অপ্রীতিকর কাজ/ভিডিও/ অডিও যত সলিড এভিডেন্সই দেখান, ওরা দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে নির্দ্বিধায় বলে দিবে, এগুলো মিডিয়ার বানানো।
কথা কিন্তু মিথ্যা না।
 
মিডিয়া যে কতটা ভয়ানক হিপোক্র্যাট হতে পারে, বিশেষ করে মুসলিমদের নিউজের ক্ষেত্রে তা আমরা দিব্যচোখে প্রতিদিন দেখি প্যালেস্টাইন ইস্যুতে। কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়।
মিডিয়া আপনাকে খন্ডচিত্র দেখাতে পারে, মিডিয়া আপনাকে মিথ্যাকে সত্য করে দেখাতে পারে; কিন্তু বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে যে আফগান কমিউনিটি, আফগানিস্তানের বাইরে এই যে আফগান এক্টিভিষ্টসরা, এরাও কী সবাই খন্ডচিত্র দেখাচ্ছে?
অথবা তালেবানরা যে ল' জারী করেছে, '৩১ জুলাই ২০২৪'- 'ক্বানুন আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার'।
 
যার আর্টিক্যাল ১৩-তে যে 'আহক্বামে হিজাব এ জান' [*]-এ মেয়েদেরকে কীভাবে তাদের একদম আগাগোড়া ঢেকে পর্দা করতে হবে। শুধু তাই-ই না, মাহরাম ছাড়া সে পাবলিক স্পেইসেই যেতে পারবে ন! এই ল'-এর কপি যদি আমীরে জামাত চান, আমি উনাকে পাঠাতে পারি।দুনিয়া জুড়ে মেয়েদের অবস্থা নিয়ে আগ্রহ থেকেই আমি আফগানিস্তানের সরকারী প্রজ্ঞাপন থেকেই এই আইনের কপি কালেকশান করেছি। ট্রাম্পও মিডিয়ার হিপোক্র্যাসিকে নিজের সুবিধার্থে খেলে।
আমীরে জামাতও মেয়েদের প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে সেইম খেলা খেললেন। এক বারের জন্যও ভুলেও তিনি বললেন না- যদি পাবলিক স্পেইস থেকে মেয়েদেরকে আসলেই (ধরে নিলাম উনি এই আইনের কপিকেও বিশ্বাস করেন না, তারপরও হাইপোথ্যাটিক্যালি) এমন কন্ডিশনাল করে দেয়া হয়, ঘর থেকে বের হতেই তার মাহরাম লাগে, তাহলে তা যে জামাত করবে না বা জামাত যে এতে নিন্দা জানায় এই কথাটা কিন্তু তিনি বলেন নাই!
 
কীভাবে বলবেন? জামাতের ভিতরে মেয়ে/ মহিলাদের মোবিলিটি লিমিট কতটুকু, তাতো আমরা খুব ভালো করেই জানি। সোশ্যাল মোবিলিটির অনুমতি মেয়েদেরকে ঠিক ততটুকুই জামাত দেয় যতটুকু দিলে সে মেয়েদের মধ্যে সংগঠনের মিটিঙে যেতে পারবে; মেয়েদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ করতে পারবে, বায়তুলমাল তুলতে পারবে।
আর ক্যারিয়ার?!
জামাতের ভিতরে মেয়েদের ক্যারিয়ারকে কীভাবে 'দ্বীনের জন্য কুরবান' করে দেয়া হয়, তার কাহিনী যদি টান দেই তাহলে মহাকাব্য হয়ে যাবে। নেত্রী থেকে কর্মী পর্যন্ত কত দেখলাম, বেহিসাবি। আমীরে জামাত নুসাইবা রাঃ এর উদাহরণ দিয়েছেন।
 
যুদ্ধে রাসুল (সা.)-কে নুসাইবা (রা.) রক্ষা করতে গিয়ে তীরের আঘাত শরীর পেতে নিয়েছিলেন। সেই তীরের আঘাত নেয়ার জন্য নুসাইবা (রা.) সেখানে রাসুল (সা.) এর ফিজিক্যাল প্রক্সিমিটিতে উপস্থিত ছিলেন।
হঠাৎ করে উড়তে-উড়তে ঠিক তীরের আঘাতের সময় এসে তীরের আঘাত তিনি শরীর পেতে নেননি, তা নেয়ার জন্য ওখানে উনার উপস্থিতি ছিলো, এ নিশ্চিত।
শুধু নুসাইবা (রা.) একলাই না, আরো মেয়ে সাহাবারা ছিলেন। রাসুল (সা.) অলমোষ্ট যত পাবলিক স্পেইসে ছিলেন, মেয়ে/ মহিলারাও একই পাবলিক স্পেইসে ছিলেন। তারা অদৃশ্য ছিলেন না।
 
জামাতের নেতাদের সঙ্গে কয়জনের ওয়াইফদেরকে নেতাদের সাথে মানুষ পাবলিক স্পেইসে দেখে?!
মিটিং-এর কথা নাহয় বাদ দিলাম। একদম সাধারণ যাপিত জীবনে, কোথাও, লাইক এনিহোয়ার এট অল, কোথাও দেখেছেন কেউ, জামাত লিডার মানুষের সাথে কথা বলছেন, বা কোথাও আছেন, উনার পাশে উনার ওয়াইফ আছেন? বা উনার মেয়ে আছেন? বা উনার আশেপাশে কোন মেয়ে আছেন কোথাও?
(একমাত্র হাসিনা খালেদার সাথে মিটিং এর ছবি ছাড়া!)
 
যুদ্ধে যেখানে মেয়েদের উপস্থিতি ছিলো রাসুল (সা.) এর সময়ে, যেখানে যুদ্ধে হারার সম্ভাবনা ছিলো, এবং হারলে তখনকার সেই সময়ে মেয়েদেরকে দাসী করে নিয়ে যাওয়া হত। নাকি জামাতের লোকজনের মনে হয় সেই দাসী হিসেবে বন্দী হওয়ার যে রিষ্ক, বাংলাদেশে জামাতে ইসলামীর নেতাদের সাথে তাদের ওয়াইফরা যদি পাবলিক স্পেইসে আসেন বা মহিলা জামাত/ ছাত্রী সংস্থার মেয়ে/মহিলারা পাবলিক স্পেইসে আসলে তার চেয়ে বেশী রিষ্ক?
 
ওহ, স্যরি, উনারা রিস্ক শব্দটা বলেন না, উনারা বলেন 'ফিতনার সম্ভাবনা'।
আমার প্রশ্ন, তারমানে আল্লাহ্‌র' রাসুল (সা.) এর সময়ে যে ফিতনার সম্ভাবনা ছিলো, যে ভয়ংকর অবস্থা ছিলো, জামাতের দৃষ্টিতে কি এখনকার অবস্থা তার চেয়েও ভয়ংকর?
আমি তাই আমীরে জামাতের সুরেই সুর মিলিয়ে বলতে চাই, মানব জীবনের সবচাইতে কঠিন কাজের নাম হচ্ছে যুদ্ধ, সেই ময়দানেও যখন মহিলারা অংশগ্রহণ করেছেন। তাহলে সম্মানিত আমীরে জামাত, কেনো আপনাদের মেয়ে-মহিলাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধের ময়দানে না দেখুক, অন্তত পাবলিক স্পেইসে কোন উপস্থিতিতেই কেনো দেখে না?
কই, আপনাদের এই যে লক্ষ-লক্ষ মেয়ে কর্মী, নেত্রী- তাদের পাবলিক মিটিং, পাবলিক উপস্থিতি এই সব কিছুই তো দেখি না আমরা। তারা কী ভূতের মত! অদৃশ্য? জ্বীন!
 
ঠিক আফগানিস্তানের এই যে নতুন আইন এসেছে 'আহক্বামে হিজাবে জান', এটাই কি আপনাদের দলের চর্চা না? পার্থক্য শুধু এখনো যেহেতু ক্ষমতা পাচ্ছেন না আপনারা, তাই নেক্বাব পরে মেয়েদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ আর মেয়েদের মধ্যে মিটিং-এ যাওয়া এলাউ করেন।
যে মুহুর্তে আপনারা ক্ষমতা পেয়ে যাবেন, সেই মুহুর্তে যখন দেখবেন এখন তো 'দাওয়াতী কাজের'(!) প্রয়োজন শেষ, তখন আমরা কীভাবে বুঝবো যে আপনারাও তালেবানদের মতই একই স্টাইলে মেয়েদেরকে ঘরে ঠেলে দিবেন না?
 
রাসুল (সা.)-এর সময়ে মহিলারা ডাইরেক্ট পাবলিক স্পেইসে আল্লাহ'র রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করতে পারতেন যেখানে, বা আল্লাহ'র রাসুল (সা.)-কে প্রয়োজনে রাস্তায় থামিয়ে কথা বলতে পারতেন, মানুষের সামনে, পাবলিক স্পেইসে। আর আপনাদের দলের ভিতর?
জন্ম থেকেই তো দেখেছি! পর্দার আড়াল থেকেও মেয়ে/মহিলারা ভয়েস দিয়ে কথা বলতে পারেন না। কাগজে লিখে-লিখে পর্দার এই সাইড থেকে ছোট বাচ্চা দিয়ে ওই সাইডে পাঠায়! যেন ওরা বোবা! 
আপনাদের যে শূরার মিটিং হয়, আপনাদের মেইন পাওয়ার হাউজের মিটিং হলো পুরুষ রোকনদের শূরার মিটিং। যেখানে কোন মেয়ে বা মহিলার কোন ধরনের এক্সেস নাই।
তারপর আপনারা মহিলা জামাতের আলাদা দুধভাত শূরার মিটিং করেন। আলাদা-আলাদা!
সব আলাদা-আলাদা! যেনো মহিলাদের গলার আওয়াজটাও কেউ না শোনে। কই, আপনাদের যে এত হাজারে-হাজারে রুকন মহিলা জামাতের, অথবা ছাত্রী সংস্থার হাজারে-হাজারে নেত্রী, একজনও তো নেকাব পড়া ব্যতীত নাই! প্রত্যেকের চেহারা নেকাবে ঢাকা।
 
দলের ভেতর যা আপনারা এত কঠিনভাবে প্র্যাকটিস এবং মেইনটেইন করেন সেই আইডিয়লজিতেই তো দেশ চালাবেন ক্ষমতা পেলে, নাকি?
তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোন মেয়ে/ মহিলা যদি বাই-চান্স কোনোভাবে টপ ম্যানেজমেন্টে উঠেও যায়, আমি খুব সহজেই কল্পনা করতে পারছি:
বোর্ড মিটিং এর মাঝখানে একটা পর্দা ঝুলিয়ে দেবেন। পর্দার ওই সাইড থেকে ওই মহিলা কাগজে টুকরা-টুকরা করে নিজের মতামত লিখে দেবেন। হাত যেন দেখা না-যায়, তাই তিনি ওই কাগজের টুকরা একটা ঝুড়িতে বা কিছুতে দিয়ে সেই ঝুড়ি পর্দার নীচ দিয়ে ঠেলে দেবেন।
আপনি বলেছেন কাউকে কোনো কিছুতেই বাধ্য করা হবে না।আপনাদের দলের ভিতরেই কিন্তু নেকাব না-পরলে রোকন হতে পারে না বা নেকাব না-পরলে ছাত্রী সংস্থার সদস্যা হতে পারে না। এটা কোথাও কিন্তু আপনারা লিখে রাখেন নাই যে, 'নেকাব পড়া বাধ্যতামূলক'; কিন্তু ঠিকই নেকাব না-পরলে দলে সার্ভাইভ-ই করতে পারে না কেউ।
আপনার কথা যদি আমি বিশ্বাস করি; আপনি সত্য বলেছেন। কাউকে বাধ্য করা হবে না। কিন্তু সরকারী চাকরীতে, বেসরকারি পাওয়ার বেঞ্চে, উচ্চতর প্রশাসনিক পদ থেকে শুরু করে মেয়েদের মাদ্রাসার গেটের মেয়ে দারোয়ানের পদ পর্যন্ত- সব জায়গায় যখন অঘোষিতভাবে মানা হবে, নেকাব না-পরলে চাকরির এপ্লিকেশানই কনসিডার করা হবে না, তখন আসলেই কাউকে বাধ্য করার কী দরকার?
আপনাদের নিয়মগুলো 'ম্যাজিক ল্যাম্পের' মত। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। আপনারা বলবেন 'কুন্‌', সাথে সাথে 'ফায়াকুন্‌' হয়ে যাবে!
ম্যাজিক!"
 
*
এটা ১১৪ পৃষ্ঠার! সমস্যা মনে করলে ইংরাজিতে আর্টিকেল ১৩
  


-Farjana Mahbuba

Monday, October 28, 2024

প্রকৃতির প্রতিশোধ, ফিরে আসে বার বার!


এই খবরটা আপাতত দৃষ্টিতে খুবই সাধারণ মনে হবে। কারণ এটা তো এখন হরহামেশা হচ্ছে। আওয়ামীলীগের লোকজনকে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হচ্ছে। এমনিতে অনেক মামলা বা মামলার মেরিট নিয়ে আমরা বিরক্ত []!

কিন্তু, এই যে ডা. আবু সাইদকে আজ আমরা এই অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি অনেকে বলেন আন্দোলনের সময় ডা. সাঈদ আহতদের চিকিৎসা দেননি! কেবল এমন না, তিনি আপ্রাণ চেষ্টাও করেছেন আহতরা যেন অন্যত্রও চিকিৎসা নিতে না-পারে। এ সত্য।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডা. সাঈদের নিজের মেডিকেল কলেজ আছে বিধায় তিনি এখানকার মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কঠিন ভাষায় নিবৃতও করেছেন যে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে কেউ কোন প্রকার সম্পৃক্ত হলে তাকে এই মেডিকেল কলেজে পড়তে দেওয়া হবে না।

যাই হোক, এটা হালের কথা। এই সবই ডা. সাঈদের বর্তমান কর্মকান্ড। কালে-কালে তিনি মহিরুহ হয়ে উঠেছেন। একজন আবাসিক চিকিৎসক থেকে হয়েছিলেন সিভিল সার্জন। এরপর একটা মেডিকেল কলেজে গড়ে তুলেছেন। হাজার-হাজার ভাবী চিকিৎসকের মা-বাপ। চিকিৎসক সমিতির নেতা, ভূতপূর্ব রাজনৈতিক দলের পান্ডা। কিন্তু আমি ২০২৪ সালের কথা বলছি না, বলছি ২০০৪ সালের  কথা। তখন ডা. সাঈদ এই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই একজন চিকিৎসক ছিলেন, আরএমও বা আবাসিক চিকিৎসক।

বাচ্চাটার নাম হাইড করে দেওয়া হলো।
২০০৪ সালের ছোট্ট, ৬ বছরের একটা ধর্ষিতা বাচ্চার রিপোর্ট এটা। এই ডা. আবু সাঈদ নোংরা কিছু কাগজের (যেটাকে আমরা টাকা হিসাবে চিনি) বিনিময়ে  অবলীলায় লিখে দেন, 'হাইমেন ইনট্যাক্ট', 'ইনজুরি এবসেন্ট', ব্লা-ব্লা। কেবল এই একটা ভূয়া রিপোর্টের কারণে কোর্টে বাচ্চাটার বাবার মামলা ডিসমিস হয়ে যায়!

ওই ছোট্ট বাচ্চাটার বাবার চোখের জল মিশে গেল নর্দমায়-তিতাস নদীতে। এই কান্না চোখে দেখা যায় না, অসহ্য একটা দৃশ্য ছিল []। কিন্তু অক্ষমতা ব্যতীত তখন করার কিছুই ছিল না। আদালত কাগজ -ডকুমেন্ট খোঁজে। সেই কাগজই হয়ে গিয়েছিল কলাপাতা- আদালতে মামলা খারিজ!

ওই বাবাটা একটা বাচ্চার মত কাঁদতে-কাঁদতে বলছিলেন, 'আমি আল্লার কাছে বিচার দিলাম-আমি আল্লার কাছে বিচার দিলাম'। তখন যে কী অসহায়ই না লাগছিল। আমি যেন এক নগ্ন মানুষ! ২০ বছর পূর্বে এখনকার মত এতটা পচে যাইনি বলেই হয়তো তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছা করছিল!

এই ডা. সাইদদের মত কিছু পশুর কারণে আইন চলে এঁকেবেঁকে। তো, এই করে করে ডা. সাঈদ তার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। কী ক্ষমতার দবদবা! কিন্তু একটু চোখ বন্ধ করলে আমার কেবল মনে হতো যেন একটা বাচ্চার সতীত্বের উপর দাঁড়িয়ে আছে গোটা মেডিকেল কলেজটা!

অনেকে বলবেন আজ এটা লেখার কী মানে? আহা, প্রকৃতির শোধ বলে কথা, ফিরে আসে বারবার। চোখ ভরে দেখি কেবল! প্রকৃতি, সে তো আর আমাদের মত অধৈর্য না! এরিমধ্যে চলে গেছে ২০ বছর কিন্তু তাতে তার কী আসে যায়। তার অপেক্ষা করতে কোন ক্লান্তি নেই। ডা. সাঈদ নামের মানুষ-গাছটাকে বড় হয়ে একটা মহিরুহ হতে দিয়েছে, তারপর ...। 
    

সহায়ক সূত্র:

১. কফিনে পেরেক...: https://www.ali-mahmed.com/2024/10/blog-post.html
২. আমার ছায়া...: https://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_24.html

 

Tuesday, October 22, 2024

কফিনে পেরেক ঠোকা!

আইনজীবী জেড আই খান পান্না সফল হননি, হলে সর্বনাশ হয়ে যেত! তিনি খুন করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ভিকটিম বেঁচে গেছে! নইলে আবারও সর্বনাশ হয়ে যেত।

আইনজীবী পান্নার বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টার মামলা' হয়েছে। ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামের একজনকে গুলি এবং মারধর শুরু করেন ১৮০ জন দুষ্কৃতিকারী। অবশ্য এরমধ্যে কে গুলি করেছেন আর কে মারধরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি! ক্রমশ জানা যাবে। তদন্তসাপেক্ষে পরে এটাও হয়তো প্রমাণিত হবে যে ১৮০ জন একসঙ্গে গুলি করেননি! করলে তো আর আহাদুল বেঁচে থাকতেন না। ১৮০টা গুলি খাওয়ার পর এই জগতে কে বেঁচেছে!

তো এই ১৮০ জন আসামীর মধ্যে  জেড আই খান পান্না আছেন ৯৪ নম্বরে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কারণ এই ভদ্রলোকের আছে অকল্পনীয় সংগ্রামী এক জীবন। তিনি যে ৭১ সালে লড়েছেন কেবল তাই না তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করে জেলও খেটেছেন। কর্নেল তাহেরের সঙ্গে জেলে ছিলেন []। এমন একজন মানুষ কোন-একটা হত্যা চেষ্টায় সরাসরি গুলি করেননি এটা আমি মানতে পারছি না।  তাঁকে ১ নং আসামী দেওয়াটাই সমীচীন ছিল।

মামলাটি করেছেন আহাদুল ইসলামের বাবা মো. বাকের। এই বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হায়দার বলেন:

"আহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন, আমরা মামলা নিয়েছি। মামলাটি তদন্ত করে দেখা হবে যে এর সত্যতা রয়েছে কি না।" (ডেইলি স্টার, অক্টোবর ২০, ২০২৪)
ওসি সাহেব ভাল বলেছেন। আগে, অতীতকালে  ওসিরা যেমন করে বলতেন তিনি ঠিক তেমনই বলেছেন! তবে ওসি স্যারের কাছে ছোট্ট একটা বিষয় জানার ছিল। আমাদের পুলিশ স্যাররা কবে থেকে এমন দয়ালু হয়ে গেলেন! কেউ গেলেই দুম করে যে-কোনও মামলা নিয়ে নেন! এখন আমি যদি এই ওসি সাহেবের বিরুদ্ধে একটা মামলা দিতে যাই তাহলেও কী তিনি চট করে মামলাটা নিয়ে নেবেন?

আরেকটা কথা। মামলা বাদীও কিন্তু মারাত্মক চৌকশ একজন মানুষ! এই মামলায় এক দুই জন না, ১৮০ জনকে আসামি করেছেন! এবং জেড আই খান পান্না, বিজিবির বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এই সমস্ত নাম ঠিক-ঠিক মনে করে মামলাটা করেছেন। এ এক বিস্ময়, মহা বিস্ময়!

হাসিনাতন্ত্রের সামনে দেশের ক্রান্তিলগ্নে জেড আই খান পান্না নামের এই মানুষটা দাঁড়িয়ে ছিলেন সিনা টান করে।

যাই হোক, এখন জানলাম বাদী পান্না সাহেবের নাম 'ভুলে-ভালে' দিয়েছেন বলে প্রত্যাহার করতে চাচ্ছেন। তাতে এখন আর কিছু যায় আসে না! আমাদের মত আমজনতার লাউ-কদুর পার্থক্য না-জানার কারণ নেই, নিয়মিত বাজারে যেতে হয় যে।

এভাবে আসলে কফিনে পেরেক ঠোকা হয়েই যায়। এই সব করে-করে পুলিশকে আবারও শেখানো হচ্ছে কেমন করে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে কায়দা মত নাম ঢুকিয়ে দিতে হয়। বিচারক মহোদয়দেরও ভাল করে শেখানো হচ্ছে কাকে জামিন দেওয়া যাবে, কাকে দেওয়া যাবে না। কোন মামলার মেরিট আছে কোন মামলার নাই!

ভাল, ভাল তো! 'পরিবর্তনের হাওয়া' উড়িয় যায় দমকা হাওয়ায়। বিচারক মানিককে দেওয়া হয় ৫৪ ধারার মামলা [], সাকিবকে দেওয়া হয় হত্যা মামলা। কী আজব!

ধরে নিলাম, মানিক, সাকিবদের মত পাজিদেরকে শায়েস্তা করা প্রয়োজন, তাই বলে এই সমস্ত মামলা! মানিকের বিরুদ্ধে অর্থ লোপাট, ১৪ লাখ টাকা সরকারী বাড়ি ভাড়া না-দেওয়া, মানি লন্ডারিং, টক-শোতে রাজাকারের বাচ্চা বলা এমন কত মামলাই তো দেওয়া সম্ভব। আর কিছু না-পেলে বিনা অনুমতিতে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেছেন যেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তেমনি সাকিবকে ধরার আর কী কোন উপায় নেই? জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকা। শুনেছিলাম কুমিরের খামার চালাতো। তা কুমিরকে ঠিক মত খেতে দেয় কিনা, নাকি কুমিরকে মুড়ি খাইয়ে দিন পার করাচ্ছে। বা সাকিব আমেরিকায় বাড়ি কিনেছে। ভাল কথা, অতি উত্তম! তা বাংলাদেশ ব্যাংক কী টাকা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে? এই অনুমতিপত্র আমরা দেখতে চাই।

আফসোস, বড়ই আফসোস! শত বছরে এমন একটা সুযোগ আসে। শেখ হাসিনা যেভাবে জাঁকিয়ে বসেছিল আমার তো মনে হয় না কেউ এই কথাটা বিশ্বাস করত স্বাভাবিক মৃত্যু ব্যতীত তাকে এভাবে হটিয়ে দেওয়া সম্ভব। অন্তত আগস্টের ৫ তারিখের পূর্বে। অথচ আমরা কী অবলীলায়ই না এই অসাধারণ সুযোগ হাতছাড়া করার জন্য মুখিয়ে আছি।

আমরা আসলে ঠিক কী যে চাচ্ছি উপরওয়ালাও জানেন কিনা কে জানে! আওয়ামীলীগ ওরফে হাসিনা দীর্ঘ  সময় ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। কোথাও-না-কোথাও, কেউ-না-কেউ, কোন-না-কোন প্রকারে ক্ষমতার বলয়ের স্পর্শে এসেছে। এখন সবাইকে হরেদরে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করলে তো ভারী মুশকিল! হাসিনার সময়ে যে-সমস্ত গাছ জন্ম নিয়েছে সব কেটে ফেলার পূর্বে এত কুড়ালের ব্যবস্থা করা যেমন প্রয়োজন তেমনি কেটে ফেলা গাছ রাখার জায়গাও...। 

আহারে-আহারে, এই সমস্ত বাচ্চাদের বলিদান কী অবলীলায়ই না উবে যাচ্ছে! এই বাচ্চাটার একটা হাত নেই:

চিকিৎসাধীন থাকার সময় এই বাচ্চাটার কথা শুনছিলাম। চোখের পলক না-ফেলে এ কী অবলীলায়ই না বলছিল:
এক হাত গেছে তো তো কী হয়েছে দেশ চাইলে আরেক হাত দিবো।

এমন কতশত গল্প! এই ছেলেটার কথা একটু চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো। সেই সময়টার কথা। যখন ডাক্তার তাকে অবচেতন করার ওষুধ না-দিয়ে পায়ের হাড়ে ড্রিল করছিল: 


* অন্তবর্তীকালীন সরকার এখন জানাচ্ছেন এই মামলার পেছনে তাঁদের কারও হাত নেই। জেনে ভাল লাগছে। ভাল লাগার শেষ থাকবে না এই মামলায় যাদের হাত আছে তাদের খুঁজে বের করলে। যে ওসি সাহেব মামলাটা নিয়েছেন তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান, এখুনি...।

সহায়ক সূত্র:

১. কর্ণেল তাহেরের নিধনপর্ব: https://www.ali-mahmed.com/2013/05/blog-post_15.html
২. দেখা, ফিরে দেখা, ছাত্র আন্দোলন...: https://www.ali-mahmed.com/2024/07/blog-post_17.html
 

Sunday, September 15, 2024

আহারে প্রাণ!

লেখক: আসিফ বিন আনওয়ার (https://www.facebook.com/asif.anwar.7)
 
"একটা একতলা বন্ধ ঘর। সামনে লেখা ‘মরচুয়ারি’। তার পাশেই আরেকটা বিচ্ছিন্ন একতলা ছোট ঘরের সামনে মানুষ ঠেলাঠেলি করছে। মরচুয়ারি’র অফিস। তিন-চারজন আনসার সদস্য ভিড় সামলাচ্ছে। কোনরকমে ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখি একটা সরু টেবিল সামনে নিয়ে একটা বেঞ্চে দু’-তিনজন কর্মচারী বসে আছেন।

Wednesday, September 4, 2024

গণভবন হোক গণমানুষের!

লেখক: Ridwan Anam (https://www.facebook.com/ridwan.anam)
 
"জুলাই-অগাস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের স্মৃতি চির অম্লান রাখতে একটা আন্তর্জাতিক মানের জাদুঘর গড়ে তোলা অবশ্যই প্রয়োজন। এবং সে জাদুঘর যদি শেখ হাসিনার ১৬ বছরের ভয়াবহ অপশাসনের কেন্দ্রবিন্দু, দুর্ভেদ্য গণভবনে হয়, তার চেয়ে সুন্দর পোয়েটিক জাস্টিস আর হয় না।

Wednesday, July 17, 2024

দেখা, ফিরে দেখা: ছাত্র আন্দোলন- এ এক অভূতপূর্ব বিস্ময়!

আবু সাঈদের শহীদ হওয়ার ভিডিও ক্লিপটা আমি এখানে দিতে চাই না। কেবল কৌশিক সরকারের এই স্কেচ এখানে শেয়ার করছি। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আমার মত মানুষের বলাটা খানিকটা জটিলতায় ফেলে দেয়। কারণ, আমি যা দেখেছি, লক্ষ-লক্ষ মানুষ লাইভে যা দেখেছে এর পরও এ নিয়ে বিতর্ক থাকলে আমার এই চোখ আমার না...!

Friday, July 12, 2024

এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি!

সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ধামড়া-ধামড়া বুদ্ধিমান মানুষদেরকে স্রেফ হাফ-প্যান্টপরা খোকা বানিয়ে দিচ্ছে। আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি কোন খোকা না-আবার 'ইয়েখানা' থেকে পকেটে করে খানিকটা ইয়ে নিয়ে এসে আমাদেরকে বলে বসে: দেখবা, এক খাবলা নিয়া আসলাম।

Wednesday, July 3, 2024

বিহঙ্গ হয়েছে অন্ধ, বন্ধ করেছে পাখা

লেখক: Najmul Albab Opu
"চল্লিশ পেরুলে বয়েস পরস্পরের আলাপের বিষয় হয় ওষুধের তালিকা। কোন কবি বলেছিলেন এই কথা? কোন কবিতায় আছে এই কথা? নাকি কোন গদ্যে?
কথাটা মিথ্যে নয়। নির্দিষ্ট বয়েস পেরুলে পরে বন্ধুদের আলাপেও ঢুকে পড়ে সাম্প্রতিক স্বাস্থ্যবার্তা। আমরা সিনেমা নিয়া কথা বলি। তত্ত্ব বা তথ্য থাকে না সেখানে। নিজেদের মধ্যে কার হৃদয়ে ছুরি চিকিৎসা হলো তার গল্প করতে করতে মান্নাদা বলে, সিনেমাটা খারাপ না। দেখতে পারিস।

Saturday, June 1, 2024

দেবরাজ ইন্দ্র, সতী অহল্যা এবং একজন মাতুব্বর!

আরজ আলী মাতুব্বরের এই বইটি অনেক আগে পড়েছিলাম। ওখানে দেবরাজ ইন্দ্রকে নিয়ে একটা প্রসঙ্গ আছে। এটা এখানেই আমি প্রথম জানতে পাই! কোন-এক কারণে যখন বইটা আবারও পড়ছি তখন একটা ছোট্ট খটকা লেগেছে তিনি যে এটার উল্লেখ করলেন এর সূত্র কি? অন্য প্রসঙ্গে দিলেও তিনি এটায় কোন প্রকার রেফারেন্স দেননি! দেয়াটা অবশ্য প্রয়োজন ছিল।

Wednesday, May 15, 2024

অমানুষ এবং এক বস্তা...!

লেখক: ওয়ালিদ ইসলাম, Oalid Islam (লেখকের লিখিত অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)
ওয়ালিদ ইসলাম
"
আমি যেহেতু খুব আশাবাদী একজন মানুষ তাই নিজেকে কখনো ভিক্টিম ভাবি না বা ভিক্টিম সাজতে নিতান্তই অপছন্দ করি। কিন্তু গত ১০ জানুয়ারি আমার লৈঙ্গিক পরিচয় প্রকাশ করার পর থেকে যে বিষয়গুলোর মুখোমুখি হয়েছি তার সামান্য চিত্র একটু তুলে ধরি: 

Saturday, April 27, 2024

HENRIK IBSEN-এর ROSMERSHOLM!

হেনরিক ইবসেনের 'রোজমারশোম'-এ অতি অল্প চরিত্র:

1. JOHANNES ROSMER, owner of Rosmersholm, a retired minister.

2. REBECCA WEST, companion of the late Mrs. Rosmer and still living at Rosmersholm.

3. RECTOR KROLL, ROSMER's brother-in-law.

4. ULRIC BRENDEL.

5. PETER MORTENSGÅRD.

6. MRS. HELSETH, housekeeper at Rosmersholm.

Thursday, April 25, 2024

ফেরা...

লেখক: Badsha Khaled Apu https://www.facebook.com/khaled.h.apu (লেখকের লিখিত অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)

"'ইউ-এস বাংলার' চেয়ে বিমানের টিকেট ছয় হাজার টাকা বেশী দিয়ে কেনার পর যখন ফ্লাইট পাঁচ ঘন্টা ডিলে হয় এবং চোখের সামনে দিয়ে 'ইউ-এস বাংলার' যাত্রীরা ঢং-ঢাং করতে করতে চলে যায় (তারা স্বাভাবিক ভাবেই যাচ্ছিল, আমার কাছে ঢং ঢাং লাগছিল আর কি!) তখন মেজাজ যতটুকু খারাপ হবার কথা, আমার মেজাজ ঠিক ততটুকুই খারাপ হয়েছে।

Wednesday, April 3, 2024

ডিয়ার মামুনুর রশীদ, আপনার 'মননের দুর্ভিক্ষ'!

মামুনুর রশীদ 'রুচির দুর্ভিক্ষ' নিয়ে যে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা চালু ভাষায় 'ভাইরাল' হয়ে গেছে। এই যে ভাইরাল জিনিসটা বাজারে চালু হলো এটাও এক প্রকারের রুচির দুর্ভিক্ষ!

Sunday, March 24, 2024

একজন 'মহা-লেখক' এবং আমার শপথ!

এ সত্য, আমার সমস্ত জীবনে অন-লাইন মিডিয়ার মিলিয়ন-মিলিয়ন শব্দের মধ্যে প্রিন্ট মিডিয়ায় লক্ষ-লক্ষ শব্দ ছাপা হয়েছে কিন্তু এখনও আমি নিজেকে লেখক বলে দাবী করি না। কারণ যে জিনিস আমার না তা আমি দাবী করব কেমন করে! কে লেখক কে লেখক না এটা ঠিক করেন পাঠক। পাঠককে খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নাই কারণ একজন পরিণত পাঠক তাঁর গ্রে-মেটার ফ্লাওয়ার ভাসে রেখে কোন লেখকের লেখা পাঠ করতে বসেন না। এরা একেকটা ক্ষুরধার ব্রেন...!

Tuesday, December 12, 2023

বেলা বয়ে যায়-পাঠ রয়ে যায়!

মেঘে মেঘে বেলা বয়ে যায়- বুকের গভীর থেকে বেদনা পাক খেয়ে উঠে, আহারে-আহারে, জাগতিক সব বেদনা এক পাশে সরিয়ে কেবল তিনটা কাজ করলাম না কেন?! পড়া-পড়া আর পড়া, এই...! দেখো দিকি কান্ড, হাজার-লক্ষ বই এখনও পড়ার বাকী- কিছুই তো পড়ার সুযোগ হল না। মানুষের জন্য ৩০০-৪০০ বছর কচ্ছপের আয়ু পাওয়াটা ভয়াবহ এক ব্যাপার কিন্তু বই পড়া কেবল এই একটা কারণে সেই ভয়াবহ ব্যাপারটাই এক তুলতুলে আরাম হয়ে যায়!

Thursday, August 17, 2023

পছন্দের ১০টি বই!

ছবিস্বত্ব: লেখক

লেখক, হিমাংশু কর (https://www.facebook.com/himangsu.kar)

"ইউরোপ আর এশিয়ার মাঝামাঝি রয়েছে বিশাল এক ঘাসি জমি। এই অঞ্চলটাকে বলা হয় স্তেপ। শুধুমাত্র নদীর পাড়গুলো ছাড়া এই বিশাল অঞ্চলে বড় কোন গাছ নেই।

Wednesday, June 7, 2023

ইলন মাস্কের গুইট-গুইট!

আমি পূর্বের এক লেখায় লিখেছিলাম, ইলন মাস্ক এই গ্রহের কেউ না। মানুষটা কিছুতেই হাল ছেড়ে দেন না! এটা এখনও বলি, তবে...! আমি আমার মোটা বুদ্ধিতে জ্ঞান বলতে বুঝি একটা সরল রেখা। একজন শিখতে থাকবে, শিখতেই থাকবে, থামাথামি নাই- নাথিং গনা স্টপ। যখন ভাবে শেখা শেষ তখন সেই সরল রেখা আর সরল থাকে না বৃত্ত হয়ে পড়ে। তখন কেবল একটাই কাজ বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া। কেউ এই গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষটাও কলুর বলদের মত ঘুরপাক খায়।

Friday, February 3, 2023

Saturday, October 22, 2022

একজন মাহমুদুল হাসান সোহাগ এবং ...!

 লেখক: আনসারি তৌফিক

" রকমারি প্রতিষ্ঠাতা, বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী, এসএসসি ও এইচএসসি-তে ঢাকা বোর্ডে স্ট্যান্ড করা ছাত্র, মাহমুদুল হাসান সোহাগ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন নাস্তিক ছিলেন। তারপর নাস্তিক থেকে এখন আস্তিক হয়েছেন। ব্যক্তি-মানুষের স্বাধীন চিন্তা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দৃষ্টান্ত হিসেবে খুবই চমৎকার ব্যাপার এটি। কে আস্তিক হবে, নাস্তিক হবে, সেটি তার তার ব্যক্তি বিবেচনা।

Sunday, October 2, 2022

এক Attention Seeker পিনাকি ভট্টা...

পিনাকিকে নিয়ে লেখা ক্রমশ শব্দের অপচয় মনে হচ্ছে কারণ মনোযোগ আকর্ষণ করতে গিয়ে কেউ নাঙ্গাপাঙ্গা হলে তো সমস্যা। তাই তাকে নিয়ে লেখা 'হুজ্জতে সমস্যা'! পূর্বের এক লেখায় [] শিক্ষককে নিয়ে লিখতে গিয়ে কাপড়ের সঙ্গে পিনাকীর চামড়াও খসে পড়ার কারণে  'হলুদাভ পদার্থ' উম্মুক্ত হয়ে পড়েছিল। ওয়াক...!

Friday, September 30, 2022

সাম্বা-ধিক!

 

লেখক: Anupam Shaikat Shanto (https://www.facebook.com/anupam.shanto)

 "আমাদের হরেক রকম টিভি চ্যানেল আমাদের সাফ জয়ী কন্যাদের লাইন দিয়ে ডাকছে। সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। সেখানে এই বাচ্চামেয়েদের হরেক কিসিমের প্রশ্ন করছে। সবচেয়ে বেশি কিম্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে সানজিদা। তার কিছু নমুনা:

Saturday, September 10, 2022

এক ব্ল্যাকহোল-কৃষ্ণগহ্বরের বিদায় এবং একালের দাস-সেকালের দাস!

বৃটেনের রানি মারা গেছেন। মারা যাওয়ার সময় লুট করে নিয়ে যাওয়া কোহিনুর তার মাথায় ছিল কিনা সেটা জানা যায়নি। জানা গেলে ভাল হত। কারণ কোন জাঁকালো অনুষ্ঠানে রাজমুকুটে সগর্বে এটা পরা হয়। বিদায়অনুষ্ঠানেও চোরের মার গলায় চুরির জিনিস থাকাটাই সমীচীন!  

Thursday, September 8, 2022

'ল্যাকক': ৫

ইমদাদুল হক মিলন নামের মানুষটা ভাল লেখক কিনা জানি না কিন্তু মন্দ একজন ঢুলি এটা বিলক্ষণ জানি! সেই টাইপ ঢুলি যারা ঢোল বাজিয়ে ঢোল ফাটিয়ে ফেলে। ঢোল বাজাবার নমুনা। তিনি যে পত্রিকায় চাকরি করতেন সেই পত্রিকায়ই লিখলেন [১]:
"...'ভালবাসার সুখ দুঃখ'...বইটি নিয়ে ক্রেজ সৃষ্টি হলো। এমনও দিন গেছে, আমাকে পুলিশ দিয়ে পাহারায় রাখতে হয়েছে। ...হাজার হাজার পাঠক লাইন দিয়ে বইটি কিনত। ...এমনকি ওই বইয়ের জন্য মেলায় মারামারি পর্যন্ত হয়েছে।...।" 

Monday, September 5, 2022

'ল্যাকক': ৪

আমি আমার সমস্ত জীবনে হাজার-হাজার বই পড়েছি যা অনেকের কাছে ঈর্ষনীয়। জ্ঞান অর্জন-টর্জন বুঝি না ক্ষিধা লাগলে যেমন খাবারের প্রয়োজন তেমনি অন্য-এক ক্ষিধার জন্য বই! কিন্তু এক বেদনা পাক খেয়ে উঠে এখনও এই গ্রহের লক্ষ-কোটি বই পড়া হয়নি অথচ মেঘে-মেঘে বেলা বয়ে যায়, মাঠে-মাঠে খেলা শেষ হয়ে যায়। সময় নাই রে, পাগলা- সময় নাই! কেবল এই একটা জায়গায় এসে মনে হয় কচ্ছপের মত দীর্ঘ বছর বাঁচলে মন্দ হত না।

Saturday, September 3, 2022

'ল্যাকক': ১

কারও-কারও ধারণা আমি এই-ওই ভাষা জানি। ভুল! আমি বাংলা ভাষাটাই ভাল জানি না! কেবল যে ভাষায় আমার মা কথা বলতেন সেই ভাষায় গুছিয়ে খানিকটা বলতে-লিখতে পারি।
আহা, তাই বলে লে-খক মমতা ব্যানার্জির ছড়া-কবিতার মর্ম অল্পও হলেও বুঝব না এমনটা নয়। আহ, মধু-মধু! কী অসাধারণ শব্দের ছন্দ! যেন একেকটা শব্দশেল! শব্দবোমা!! একের-পর-এক শব্দের বুনন, ভাবায়...! মননে ছন্দের-পর-ছন্দ পাক খেয়ে ওঠে। গোল হয়ে লাড্ডুর মত ঘুরপাক খায়...। এই যেমন 'আজব ছড়া' (মহা) গ্রন্হের ৩১ নম্বর পৃষ্ঠার :

Thursday, September 1, 2022

'ল্যাকক': ৩

'ল্যাকক' হওয়া [] বড় কষ্ট, জীবন নষ্ট! আহারে, কী যন্ত্রণাই না সইতে হয় হালের ল্যাককদের!

Saturday, August 27, 2022

লালন বেচারা মরে বেঁচে গেছেন!

লেখক: Rohit Hasan Kislu
"লালন ফকিরের নামে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা হয়েছে। তার অপরাধ গুরুতর! তিনি নাকি বন্যপ্রাণীর অধিকার হরণ করে একটা গান লিখেছেন! এখন এই গান শুনে সাধারণ মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে বন্যপ্রাণীর অধিকার হরণ করতে পারে! তাই এই ক্ষতিপূরণ মামলা!

Tuesday, August 23, 2022

একালের দাস!

লেখক: Muquit Mohammad

" ১.
রাষ্ট্রের উর্দি-পেটোয়াদের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে ধর্মঘট বন্ধ করে চা-বাগান শ্রমিকদের কাজে ফেরত যেতে বাধ্য করা হলো। এবং আর কখনো যেন এমন বেয়াদবি না-করে সেটার 'শিক্ষা' হিসেবে আগের দিন ঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ টাকার উপহার সম্বলিত পঁচিশ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণাও বাতিল করে দেয়া হলো।

Sunday, August 21, 2022

চা বাগান এবং 'চা বাগানের বিচিত্র জীবন'!

চা-বাগানে গেছি ম্যানেজার সাহেবের আমন্ত্রণে। সাহেব কাকে বলে সেদিন দেখলাম। ম্যানেজার সাহেব তার সেলফোনটা খোঁজ করামাত্র বাংলোর কাজের লোক সেলফোনটা নিয়ে এসেছে পিরিচে করে! নত চোখে, বড় তমিজের সঙ্গে। আর বাংলো? বারান্দাটা হচ্ছে ছোটখাটো ফুটবল খেলার মাঠ। আমার সঙ্গে ফৌজি একজন ছিলেন তিনি আবার গলফ খেলার জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। আমার মত আনাড়ির শেখার জন্য বারান্দায় খেলতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছিল না। ডাইনিং টেবিলে ত্রিশ-বত্রিশ জন অনায়াসে খেতে পারবেন। তাও আবার দুইটা!

Thursday, August 11, 2022

ফাস্টিং!

"'দুই দিন ধরে কিচ্ছু খাই নাই, স্যার। কয়টা টেকা দেন'!

Wednesday, August 10, 2022

সন্দেশ!

লেখক: Sharif Hossen (লেখকের লিখিত অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)
"ওভারব্রিজ থেকে অনেকটা দূরে এক বৃদ্ধ বসেছিলেন। আমি ট্রেনের সময়ের খানিকটা আগে বিরামপুর স্টেশনের ওভারব্রিজটার উপরে এসে কেবল সিগারেট ঠোঁটে নিয়ে দিয়াশলাইর জন্য পকেটে হাত দিতে যাবো, ওমনি... বলা নেই কওয়া নেই, লোকটি ফস করে দিয়াশলাই জ্বালিয়ে হাত বাড়িয়ে আগুনটা এগিয়ে দিতে দিতে বললেন, 'নারিকেলবাড়িয়া যাতিছেন?'

Tuesday, August 9, 2022

'ল্যাকক': ২

বিভিন্ন পদের 'ল্যাকক' দেখি আর মুগ্ধ হই! ল্যাকক হওয়ার তরিকার শেষ নেই- আহারে, আহারে। এক জীবনে কত কিছু করতে হয়। অসম্ভব জনপ্রিয় লেখককেও সাক্ষাৎকারে বলতে হয়, আমি নিজের আনন্দের জন্য লিখি। তা বেশ তো, দেওয়ালে পা তুলে দিয়ে পায়ের সঙ্গে যুক্ত রেখে পেট ভাসিয়ে নিজের লেখা নিজে পড়লে হয়। তা না, বইমেলায় শত-শত ছোকরা-ছুকরিকে বাদ্যসহ নাচানাচি করাতে হয়। কী কষ্ট-কী কষ্ট! কষ্ট করে লেখো আবার ইয়েদের মত ইয়েটা মেলে দাও।

Thursday, August 4, 2022

বিদ্যুৎ জ্বালানি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য নিয়ে কিছু কথা।

লেখক: Arifuzzaman Tuhin (লেখকের অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)

"গত ২৫ জুলাই সমকাল রিপোর্টটিতে বলেছে, বিদ্যুৎ না কিনেই সরকারের খরচ ৯০ হাজার কোটি টাকা। গত নয় বছরে রেন্টাল ও আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ৯০ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। সমকালের বক্তব্য, এই ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে সরকার কোনো বিদ্যুৎ কেনেনি।

Saturday, July 23, 2022

জাপানের লোডশেডিং।

লেখক: Ashir Ahmed (লেখকের লিখিত অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)
"জাপানে কি লোডশেডিং হয়? হয় না মানে! প্রতি মিনিটে মিনিটে হয়, আমার সবজান্তা বন্ধুর ঝটপট উত্তর। আমি ভাবলাম, ৩৩ বছর জাপানে আছি, মাত্র ৩ বার কারেন্ট যাবার কাহিনি দেখেছি। এসব সে কি বলে!

আমি নিশ্চিত সে অন্য কিছু বোঝাতে চায়। সে বললো, আগে দেখ লোডশেডিং এর মানে বুঝস কিনা। আমি ফেসবুকে সমস্ত বন্ধুদের জিজ্ঞাস করলাম। লোডশেডিং এর মানে কি, এটার বাংলা কি? কত সুন্দর-সুন্দর উত্তর।

Sunday, July 17, 2022

হাসিবোমা!

Moin Akter নাকি ২০১১ সালে মারা গেছেন। কে বলে মইন আক্তাররা মারা যান এরা কেবল পারফর্ম করা বন্ধ করে দেন! কেন? তাঁর খুশি! ২০১১, ২০২১, ২০৩১...এঁদের মৃত্যু নেই। মৃত্যু এদের গা ছুঁয়ে বলার সাহস পায় না, পাগল রে, তোকে ছুঁয়ে দিলাম।

Wednesday, July 13, 2022

James Webb Space Telescope!

আমার মত এক-চামুচ (চা’র চামচ) ঘিলুর লোকজনেরা কোন-এক বিশালত্ব বোঝাতে গিয়ে দু-দিকে দু-হাত ছড়িয়ে দেই। অকল্পনীয় বিশালতা বোঝাতে গিয়ে সেই ছড়ানো হাত আরেকটু পেছনে নিয়ে যাই। এই আমাদের দৌড়!

Monday, July 11, 2022

অদেখা স্বর্গ...!

লেখক: Symon Abdullah (লেখকের লিখিত অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)
"কাশ্মির বেড়ানোর প্ল্যান ছিলো ২০১৯ এ। ইন্ডিগো এয়ারের টিকেট কাটা ছিলো, শ্রীনগরে একরাতের জন্য হোটেলও বুক করেছিলাম। মোটামুটি ছক আঁকা ছিলো কোথায় বেড়াবো, কি করবো। সে সময়েই খবর এলো ৩৭০ ধারা রদের। সব ফ্লাইট ক্যান্সেল, কাশ্মির সবার জন্য নিষিদ্ধ! সেবার আর কাশ্মির যাওয়া হয়নি। ঘুরে এসেছিলাম শিমলা, মানালি। এরপর এলো করোনাকাল। ২ বছর সমস্ত ঘোরাঘুরি বন্ধ।

Wednesday, July 6, 2022

Ray Ban এবং একজন টম ক্রুজ!

লেখক: Syed Nazmus Sakib (লেখকের লিখিত অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)
"সূর্যের রশ্মি বা Ray কে যেন বিমানের পাইলটদের চোখে যাওয়ার আগেই আটকে ফেলা যায়, বা Ban করা যায়- সেই ধারণা থেকেই একটি সানগ্লাস কোম্পানি চালু হয় ১৯৩৭ সালে। নামটা ছিল কাজের মতই, শর্ট এন্ড সিম্পল, Ray Ban. কোম্পানির দুজন মালিক ছিলেন Bausch and Lomb. প্রথমে প্লাস্টিকের তৈরি আর সবুজ লেন্স থাকলেও, পরের বছরেই মেটালের সানগ্লাস তৈরি হয়।

Sunday, July 3, 2022

একজন জুতাবাবা এবং একজন 'দানব-পিনাকী'!

শপথ আমার লেখালেখির, শপথ আমার সন্তানের- 'জুতাবাবা' এই কথাটা লিখতে আমার বড় কষ্ট হচ্ছে, বড় কষ্ট! কিন্তু কেউ যখন তার বাপকে জুতা মারে, জুতা মেরে উল্লাস করে তখন সেই বাপকে 'জুতাবাবা' বলাটাই সমীচীন।

Monday, June 20, 2022

হাফ-কুকড ট্রুথ!

চমৎকার পর্যবেক্ষণ এবং অসাধারণ এই লেখাটি লিখেছেন লেখক। (এখানে লেখকের লিখিত অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)

Hasnath A Kalam (Suhan)

"ইন্টারনেটের হাফ-কুকড ট্রুথের জমানায় অনেক জিনিস ভাইরাল হয়, যা মূলত: পুরো সত্য জানলে অন্য অর্থ দাঁড়ায়। যেমন একটা হচ্ছে, বাবা দিবসে হুমায়ুন আহমেদের নামে। 'পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই'। শুরুর দিকে কয়েক বছর বেদবাক্যের মতো এই উক্তি ওঁর নামে চালানো হয়েছে।

Wednesday, June 15, 2022

আ মরি বাংলা ভাষা, আ মরি মায়ের ভাষা!

ভিসি স্যারের হড়বড় করে বলা সব কথা আমি বুঝিনি। মূল কথা যেটা বোঝা গেল তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র‌্যাংকিং নিয়ে তিনি কাতর না।

Saturday, June 11, 2022

সাহেব আসিলেন, বিনা পয়সায় ট্রেনে চড়িলেন, ৬ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট ৬ সেকেন্ডে দেখিলেন!

২০১৬ সালে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইনের খরচ ধরা হয়েছিল ৬৫০০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের তারিখ দেওয়া ছিল ২০২০ সালের জুন মাস। এখন ২০২২ সালের জুন মাস। অনায়াসে ২ বছর চলে গেছে কিন্তু এই কাজ এখনও চলমান। কবে নাগাদ শেষ হবে এটা আমরা প্রজাতন্ত্রের ট্যাক্সপেয়িরা জানি না বটে কিন্তু প্রজাতন্ত্রের বেতনভুক্ত কর্মচারিরা বিলক্ষণ জানবেন এমনটা আশা করাটা দোষের না। তবে অতীব আশার বিষয় হচ্ছে, আমাদের জীবদ্দশায় এর শেষ দেখে যেতে পারলেই আমরা খুশি!

Saturday, May 21, 2022

রে নচ্ছার, রে পাজি, রে...!

 


ঘটনাটা ভারতের দিল্লির। দিল্লির প্রতি আমার অন্য রকম মুগ্ধতা আছে। ওখানকার পুরনো স্থাপনা এক পাশে সরিয়ে রাখলেও উঠে আসে ক্যারিশম্যাটিক কেজরিওয়ালের কথা। এই আলোচনা অন্য কোন দিন।

Tuesday, May 17, 2022

অভিনন্দন বাংলাদেশ: এখন এটম বোমার অধিকারী!

বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক অস্ত্র এটম বোমার অধিকারী। যারা পদ্মা সেতু নিয়ে লাফাচ্ছেন তারা এ সম্বন্ধে 'বে-খবর'! আমি পাশ্ববর্তী দেশগুলোর আতংক উপভোগ করছি। এরা এখন বুঝবে কত ধানে, না-না-না কত চালে কত ধান হয়! আমি আমাদের দেশের সরকারকে জোর অনুরোধ করব এঁরা অন্তত এখন যেন মাথা ঠান্ডা রাখেন কারণ ক্ষমতার একটা উত্তাপ আছে তাও আবার এটম বোমার মত একটা বড় পোটলা। পাশ্ববর্তী দেশগুলোর ভুলটুল যেন এখন ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা হয়। বড় ভাই সুলভ...।

Sunday, May 15, 2022

মিশরের সভ্যতা বনাম আমাদের অসভ্যতা!

হালে ৩০০০ বছর পুরনো মিশরের মমির গলার স্বর কেমন হতে পারে এর একটা নমুনা দাঁড় করিয়েছেন বিজ্ঞানিরা:

 

Wednesday, May 11, 2022

সূর্যের চেয়ে বালির...!

আমাদের দেশে সরি বলার চল কম আর রাজনীতিবিদদের বেলায় তো একেবারেই নৈব নৈব চ! 'আমার দেশ' বলতে বলতে এঁদের অভ্যাস খারাপ হয়ে যায় তখন সব কিছুই আমার রাস্তা, আমার ব্রিজ, আমার কালভার্ট ইত্যাদি। সেদিক দিয়ে আমি রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই কারণ তিনি বিব্রত হয়ে প্রকারান্তরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। নিজের জন্য না তাঁর স্বজনদের অপরাধের জন্য। কারণ তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না:

Monday, April 25, 2022

আহা জীবন!

লেখক: Shawkat Ali

"১০০ মিলিয়ন শুক্রাণুর মধ্যে একটিমাত্র শুক্রাণু মানব ভ্রুণ জন্ম দিয়ে থাকে।

সাধারণত নয় মাস একজন মা শিশুকে গর্ভে ধারণ করেন। একটি ভ্রূণ থেকে পূর্ণাঙ্গ মানবশিশু হয়ে গর্ভে বেড়ে ওঠা একটি বিস্ময়কর ব্যাপার।

Wednesday, April 6, 2022

পায়ে লাগু...!

কিছু-কিছু মানুষ দেখে মনে হয়, আহা...। পায়ে লাগু। আ মিন পা ধরে সালাম করি। 

যেমন ধরা যাক, এই ভিডিওটি। এই ১৩ বছরের বাচ্চাটাটা... ভুল বললাম, আগুনের গোলাটা যে প্রকারে আগুন ধরিয়ে দিল এই আগুন চোখে দেখাও এক অমায়িক সুখ! দেখো দিকি কান্ড কেমন করে আবার বুক ঠুকে বলছে, আমি চামার:

Tuesday, March 8, 2022

আবার আসিব ফিরে...।

বেচারা শরীর! লাইনচ্যুত হল। একটা অস্ত্রাঘাত যার চালু নাম অপারেশনের প্রয়োজন হল। এখন কেউ যদি রসিকতা করেও বলে, 'কী মাঝি, ডরাইছ'? আমি সপাটে বলব, হ, ডরাইছি।

একজন জ্ঞানি মানুষ নাকি মৃতের জন্য শোক করেন না। একজন জ্ঞানি মানুষের কাছে মৃত্যু নাকি কেবল খোলস ত্যাগ করা। হবে হয়তো! আমি জ্ঞানি নই বলেই এ নিয়ম আমার বেলায় খাটে না। তাই আমি আমার মৃত মার জন্য হাহাকার করি, আপাতত জীবিত নিজের জন্য ভয় পাই।

Wednesday, February 2, 2022

একজন ওসি প্রদীপ হয়ে উঠার পেছনের মহান কুশীলবগণ...!

আসলে একজন ওসি প্রদীপ কেউ না, কিছু না []। ইমাজিন, একটা বিদেশী মিডিয়ার সঙ্গে নাকি ওসি প্রদীপের কানেকশন []! শবরি কলা মাখানো ফাঁসির দড়ির সাধ্য নেই যে নাগাল পাবে মিডিয়ার মায় আমাদের []। ওসি প্রদীপকে নিয়ে অসাধারণ এই লেখাটি লিখেছেন, Zia Hassan :
"বাংলাদেশ থেকে অনেকে সাংবাদিক এখন  উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে যাচ্ছেন। আমি আশা করবো তাদের কেউ একটি পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণা করবেন, কিভাবে ৪ই জানুয়ারি ২০১৯ এ টেকনাফ থানায় দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পরে, ১৫০ জনের উপরে নাগরিককে  হত্যার রিপোর্ট বাংলাদেশের মিডিয়া এড়িয়ে গেছে! সুশীল সমাজের মাঝে  কোন সংবেদনশীলতা তৈরি করেনি  এবং ফাইনালি বাংলাদেশের এলিট শ্রেণির নাগরিক মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা হত্যার পরে ওসি প্রদীপের ম্যাসাকার  আলোচনায় এসেছে। 

Saturday, January 1, 2022

...পিকচার টেলস আ স্টোরি!

প্রত্যেক ছবির পেছনে একটা গল্প থাকে। আমার একটা লেখা ছিল, 'ছবির পেছনে গল্প' []। অসম্ভব স্রোতের মাঝে নৌকায় করে ছবি উঠাবার চেষ্টা করছিলাম। তাও কী ক্যামেরা- ক্যামেরা নামের কলন্ক! ৩.২ মেগা-পিক্সেলের এন-৭৩ টাইপের মোবাইল ফোন (কিন্তু এটা দিয়েই কিছু ছবি উঠিয়েছি, ভয়ংকর সুন্দর [])। সঙ্গে মিডিয়ার কিছু লোকজন ছিলেন। ওদের সঙ্গে আবার কামানসম ক্যামেরা। এরা সব বাদ দিয়ে আমার ছবি নিয়ে কখন কস্তাকস্তি করছিলেন টেরটিও পাইনি।

Wednesday, December 29, 2021

মেটামরফোসিস

পাকিস্তানের এই নাগরিক যিনি ১৯৭১-কে খুব কাছ থেকে দেখেছেন কারণ তখন তিনি পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। এই মানুষটার বক্তব্য পরিষ্কার। তিনি হাতে ধরে-ধরে পাকিস্তানের ভুল, ভয়াবহ অন্যায়গুলো আমাদের চোখের সামনে নিয়ে এসেছেন। এখন পর্যন্ত পাকিস্তান তার ভুল, ভয়াবহ অন্যায়গুলোর জন্য ক্ষমা চায়নি বা এই দেশের যে বিপুল আর্থিক ক্ষতি করেছে সেই আলাপেও যাওয়ার আগ্রহ দেখায়নি।

Wednesday, December 8, 2021

পৃথিবীকে পাল্টে ফেলি...!

অতীতের অভিজ্ঞতা ধার করে বলি, গু শব্দে সূক্ষরূচির পাঠকের গা গুলালে গু-এর জায়গায় সু পড়বেন। ওরে, দেখো দিকি কান্ড, গুন্টার গ্রাস নোবেলকে এক বস্তা গু বললে সমস্যা হয় না বা মার্কেজের 'নো ওয়ান রাইট টু কর্ণেল'-এ কর্ণেলকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, খাবা কি? কর্ণেলের উত্তর, গু।
 
যাই হোক, অসাধারণ এই লেখাটি লিখেছেন, Mohammad Abul Kalam Azad (https://www.facebook.com/mohammad.a.azad.7)
"আমরা যতবার হাগি, একটু করে পৃথিবীকে পাল্টে ফেলি। হাসেন যত ইচ্ছা, কিন্তু ঘটনা সিরিয়াস। হাগা বিষয়টাতে আমাদের অনেক ধরণের অবস্থান আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে বিব্রত হওয়া। মানুষ নিজের হাগু নিয়ে বিব্রত। অনেকে তো তার প্রেমিকা যে হাগে এ বিষয়টাতেও বিব্রত, অন্তত প্রেমের প্রথমদিকে। অধিকাংশ স্বর্গেই মানুষ হাগে না।

Monday, November 29, 2021

ছায়াছবি বনাম 'জীবনছবি'!

এটা দেখার পর আমার মাথায় সব কেমন জট পাকিয়ে গিয়েছিল। পঙ্গু একজন মানুষকে যে-ভঙ্গিতে লাথি মেরে হুইল-চেয়ার থেকে ফেলে দিল ইসরাইলের এই পাশবিকতার তুলনা চলে কীসের সঙ্গে? হায়রে, অক্ষমতা! আমার লেখালেখির শপথ, নিজেকে গুয়ে পড়ে-থাকা পোকার চেয়েও নিকৃষ্ট মনে হচ্ছিল! নিজের কষ্ট ছাড়িয়ে যাচ্ছিল এই গ্রহের কষ্টে- ভাগ্যিস এই দায় আমার না, এই গ্রহের! অপরূপ সুন্দর এই গ্রহটা যেন নগ্ন-উবু হয়ে পেট পরিষ্কার করছে। আহারে-আহারে, এই গ্রহের সন্তান হয়ে আমার জন্য এ যে কী লজ্জার...‍!

Friday, July 2, 2021

অন্য ভুবনে ভাল থেকো হে, 'বুড়ো শেরপা'!

আমার কয়েক হাজার লেখালেখির মধ্যে ডাক্তারের কালো-কালো হাত নিয়ে যে-সমস্ত লেখা লিখেছি তার সংখ্যা জিরো পয়েন্ট ব্লা-ব্লা হবে কি না সন্দেহ। অন্য পেশার লোকজনকে নিয়ে লেখলে সমস্যা নাই কিন্তু ডাক্তারকে লিখলে ডাক্তার স্যাররা ভারী 'নাগ' করেন। নাক দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। পারলে সাদা-সাদা দাঁত দিয়ে চিবিয়ে ফেলেন। বড় চিত্র-বিচিত্র! এমনিতে আমার খুব ভাল বন্ধুদের অনেকেই আবার ডাক্তার। 

Sunday, April 25, 2021

আহারে জীবন...!

লেখক: Shawkat Ali
"আমাদের সৌরজগতের মত অনেকগুলো সৌর জগৎ মিলে একটি গ্যালাক্সি তৈরি হয়। প্রতিটা সৌরজগতেই আছে নক্ষত্র। যাকে আবর্তন করে ঘুরছে পৃথিবীর মতো অসংখ্য গ্রহ। যদি আমাদের গ্যালাক্সি অর্থাৎ মিল্কিওয়ের কথাই বলি, এই মিল্কিওয়ের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব ২ লক্ষ আলোকবর্ষ! মানে, আলোর বেগে গেলেও দুই লক্ষ বছর লাগবে শুধু মিল্কিওয়ের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে! আমাদের গ্যালাক্সিসহ ৫৫ টি গ্যালাক্সি একত্র হয়ে তৈরি করে লোকাল গ্রুপ।

Monday, November 23, 2020

দারাজ, চালবাজ এক প্রতিষ্ঠান।

এমনিতে দারাজ আমার খুব পছন্দের একটা প্রতিষ্ঠান কারণ আমার মত বেকুব টাইপের লোকজন যারা বোকার মত মূল স্রোতের উল্টোদিকে সাঁতরায় মানে গ্রাম-গ্রাম মফঃস্বল টাইপের জায়গায় থাকে তাদের জন্য এই অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি ভারী কাজের। শহরে যারা চট করে একটা জিনিস হাতের নাগালে পেয়ে যান সেটা আমাদের জন্য বড় একটা সমস্যা।

Wednesday, November 11, 2020

ভূমিপুত্র!

আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রাচীন জাতি হচ্ছে ম্রো-রা! এবং এঁরা বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি। আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর পূর্বে ম্রোরা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। ব্রিটিশ আমল থেকে আমরা যারা এই দেশে বাস করে আদিমানুষের তকমা লাগিয়ে রাখি এদের বাস তারও অনেক পূর্বের!

Monday, November 2, 2020

সভ্য, সভ্যতা!

কালে-কালে আমরা নাকি সভ্য হয়েছি। এই সমস্ত কেতাবি কথা বাদ দিয়ে আমি আমার কথা বলি। কীসের সভ্য, কীসের সভ্যতা!? আমি জানি না এই সব গালভরা কথার আদৌ কোন মানে রাখে কিনা! কেবল মোটাদাগের কথাটা জানি, আমরা কেবল গু-ভরা ভান্ড যেটা প্রকৃতি চামড়া দিয়ে মুড়িয়ে রাখে সেটার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উৎস যে দুইটা মুখ সামনে এবং পেছনে ওগুলো ঢেকে রাখা শিখেছি। ব্যস...। নাঙ্গাপাঙ্গা থেকে গাছের বাকল, লতাপাতা এরপর ক্রমশ বিভিন্ন চকচকে পোশাক নামের আচ্ছাদন!

Wednesday, October 28, 2020

DW: ভাল লাগা-মন্দ লাগা এবং খালেদ মুহিউদ্দিনের জানতে চাওয়া...।

আমাদের দেশের মিডিয়া খুব আগ্রহ নিয়ে এই সমস্ত প্রতিবেদনগুলো করে- যেমন সাকিব আমেরিকায় ঘাস কাটছে। অতি উত্তম। সাকিব ঘাস কাটতে পারে এই নিয়ে আমরা বঙ্গাল উল্লসিত। কারণ আমরা জানতাম না যে সাকিব ঘাস কাটতে জানে এবং আগে জানলে অন্যদের কথা জানি না আমার বাগানের ঘাসটা কাটিয়ে নিতাম। অবশ্যই ঘন্টা হিসাবে পে করতাম।

Saturday, October 24, 2020

একালের প্রজন্ম

লেখক: সানজিদা সেতু

"এরা এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বড়জোর ১৮ বছর বয়স। গ্রুপ খুলে পরিকল্পনা করছে তাদেরই ব্যাচমেটকে ৪৬৫ জন মিলে ধর্ষণ করার! শতাব্দী রায় কি করেছে? মেয়েটা অটোপ্রোমোশানের মতো অযৌক্তিক একটা আদেশের বিরুদ্ধে রিট করেছে। সে পরীক্ষা দিতে চায়।

Tuesday, October 20, 2020

He (he or she or...)!

There is no joy in 'His' mind. But what a huge power 'He' has! What is not - immortality, infinite time, infinite power. But even after him there is no joy in His mind. It just seems to fit in the shell of the capsule. No problem, you have to decide 100 years-thousands of years-millions of years. You will go to a 'temporary sleep' in his language - that sleep will be broken in time. But this is to lose oneself to oneself. No one has to explain but how to keep an eye on yourself?

Monday, October 19, 2020

ও ডাক্তার, আমাদের ডাক্তার!

আমার হাবিজাবি কাজের একটা অংশ হলো স্টেশনে একটা চক্কর লাগানো। বিচিত্র-সব অভিজ্ঞতার পাশাপাশি মানুষের সীমাহীন কষ্ট কাছ থেকে দেখার বিরল এক সুযোগ। অসহায় মানুষের এক ভরসাস্থল হচ্ছে এই স্টেশনগুলো। কারণ এখানে শুয়ে-বসে থাকলে তেমন সমস্যা নেই। রাতে ঘুমালেও সচরাচর কেউ কিছু বলে না। তবে এর ব্যত্যয়ও আছে। সেটা পরে বলছি।

Sunday, October 11, 2020

ধর্ষণ!

আমি আমার লেখালেখির জীবনে সম্ভবত লক্ষ-লক্ষ শব্দ লিখেছি কিন্তু আজকের পূর্বে ধর্ষণ শব্দটা পারতপক্ষে লিখতে চাইনি। লিখতে ইচ্ছা হয়নি। লিখেছি হয়তো এভাবে চরম শারীরিক নির্যাতন বা অন্য কোন প্রকার শব্দ-বাক্য। আমি সব সময় আমার পাঠককে আমার চেয়ে বুদ্ধিমান মনে করে এসেছি। তাই ধর্ষণ লিখে বা পাতার-পর-পাতা ধর্ষণের বর্ণনা দিয়ে এঁদের বুদ্ধিকে খাটো করার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনি।

Monday, September 28, 2020

claim that: this religion is the best.

Most of the religions strongly claim that this religion is the best. (Liberty only lies in this religion, Hell lies in another religion.)

Judaism:
1. "You depraved yourselves before another Gods and serve them but you know that you will perish."
(Torah Sharif : volume 5: second description 16/17)
2. "If you obey the commands of the Lord, you will be blessed. And if you don't obey the commands of your God and follow other Gods, you will be cursed."
(Torah Sharif: volume 5: second description, 27/28)

Tuesday, September 15, 2020

একজন তথাগত রায় বনাম একটা চলমান দানব!

তথাগত রায় (Tathagata Roy)। ওনাকে দাদা বলতে পারলে আরাম পেতাম কিন্তু তিনি কেবল রায় 'ভংশের' লোকই না উনার পদ-পদবী, 'ল্যাকাপড়া' দবদবার এন্টেনা এতোই উপরে যে আমি এর নাগাল পাব না। চাঁদ কী আর নাগাল পাওয়া যায়, রে পাগল!

Monday, September 14, 2020

একজন ওসি প্রদীপ, একজন স্যার এবং একটি বিদেশী দূতাবাস!

এই সত্য গল্পটা এই বঙ্গালদেশের বঙ্গবুদ্ধিজীবীরা পেছনে চশমা লাগিয়ে (পেছনে চশমা লাগাবার স্থানটা নিয়ে আমি কারও সঙ্গে বিতর্কে যাব না কারণ আদতে চোখও একটা গর্তই...) যতটা সহজ-রঙিন দেখবেন বিষয়টা আসলে এতোটা রঙিন না।

Thursday, September 10, 2020

ইউনিলিভার পিউরইটের আপত্তিকর বিজ্ঞাপন!

'পিউরইট' নামের একটি ব্রান্ডের ফিল্টার যা পানি বিশুদ্ধ করে, এটি ইউনিলিভার নামের বহুজাতিক কোম্পানি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বাংলাদেশেও বাজারজাত করে থাকে। এরা দাবী করে থাকে এদের পানি অমায়িক বিশুদ্ধ।

Tuesday, September 8, 2020

ভাইয়া, তুম ক্যায়সে হো?

ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি মহোদয় ঢাকা আগমণ উপলক্ষে যে-এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন আমার দূর্ভাগ্য এটা আগে দেখার সুযোগ হয়নি। কেন হয়নি? সে এক কাহন, তবে সৌভাগ্য আজই এটা দেখার সুযোগ হল।

Sunday, August 30, 2020

এক অগ্নিপুরুষ- একাত্তরের গেরিলা: হাবিবুল আলম, বীর প্রতীক।

লেখক: Golam Mortoza (লেখকের অনুমতিক্রমে হুবহু প্রকাশিত।)
 

"
১৯৭১ সালের ২৯ আগষ্ট পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে গ্রেপ্তার হন ঢাকা কাঁপানো ২ নম্বর সেক্টরের অন্যতম গেরিলা বদিউল আলম বদি, বীর বিক্রম। তারপর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন গেরিলা আবদুস সামাদ। সামাদের স্বীকারোক্তিতে গ্রেপ্তার হন আলতাফ মাহমুদসহ গেরিলা দলের অনেকে। বদির গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে অনেকে অনেক রকমের গল্প বলার চেষ্টা করেন। প্রকৃত ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রখ্যাত গেরিলা হাবিবুল আলম বীর প্রতীক। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলাম ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে।

Saturday, August 29, 2020

উহাদের দেশের জনগণ খুব 'খ্রাপ', বড়ই বেতমিজ!

ইউকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন মহোদয়কে তারই দেশের এক পাজি ডাক্তার তুলাধোনা করলেন নাকি মরিচধোনা করলেন এটা নিয়ে একটা হালকা-পাতলা গবেষণা হতেই পারে!

Sunday, August 23, 2020

উম্মাদ, বদ্ধউম্মাদ!

কাউকে-কাউকে নিয়ে লেখাটা আমার ভাষায়, 'শব্দের অপচয়'। কালে-কালে আমি একজন অপচয়কারী রূপে পরিণত হচ্ছি। তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে পূর্বে লেখায় সময়ও একই কথা বলেছিলাম [], [], []...।

Monday, August 17, 2020

PRAN-RFL: দানব হয়ে উঠা!

প্রাণ গ্রুপ। বাংলাদেশের একটা কোম্পানি নিজেকে যে স্থানে নিয়ে গেছে এ এক অভূতপূর্ব! একটা ব্রান্ড দাঁড় করাতে যেখানে দম বেরিয়ে যায় সেখানে এদের ঠিক কতগুলো ব্রান্ড/প্রডাক্ট আছে তা আঙ্গুলে গুণে বের করা প্রায় অসম্ভব।

Sunday, August 16, 2020

একজন কেতাদুরস্ত-পরিপাটি মানুষ এবং রাজনীতিবিদ!

সবগুলো ছবিই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের 'ফেসবুক-ওয়াল' থেকে নেওয়া।