এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Friday, June 29, 2007
ড. ইউনূস এবং ছদুমদুর মধ্যে পার্থক্য কি?
ছবিটা আমাদের ড. ইউনূস সাহেবের। ক-দিন আগে বিএসইসি ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল, পুড়ে যাওয়া ওই ভবনের তারতুরের(!) সামনে বিমর্ষ ভঙ্গিতে জটিল একটা পোজ দিয়েছেন। মনটা অন্য রকম হয়। আহারে, মানুষটার মনে কী মায়া গো! এমন বড়মাপের মানুষ জড় পদার্থ ভবনের পাশে দাঁড়িয়েছেন- এই ভবনের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার না হয়ে উপায় আছে! ভাবখানা দেখে মনে হচ্ছে, ভবনটায় কেন আগুন ধরল এর একটা হেস্তনেস্ত না করে ছাড়বেন না।
বস্তি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। আমরা বড়ই উল্লসিত, একটা কাজের কাজ হচ্ছে যা হোক। মাত্র ক-দিন আগে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সাততলা বস্তি। হাজার হাজার মানুষ এক নিমিষেই চলে এসেছে রাস্তায়। শত শত গার্মেন্টসের মেয়ে কর্মীরা খোলা আকাশের নীচে বাস করছে, নিরুপায় তাঁরা সম্ভবত দেহ বিক্রির জন্য।
আমাদের নোবেলধারী ড. ইউনূস সাহেব এটা নিয়ে কাতর বা সোচ্চার বলে তো প্রতিয়মান হয় না। তিনি পুড়ে যাওয়া ভবনের পাশে হাঁ করে তাকিয়ে না থেকে এদের পাশে এসে দাঁড়ালে ওনার নোবেলটা কেউ ছিনিয়ে নয়ে যেত বলে তো মনে হয় না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment