Search

Friday, June 29, 2007

শৈশবের স্তম্ভ!

শুভর ব্লগিং গ্রন্থটায়- সরি, আমাদের মতো আবর্জনা লেখকদের আবার গ্রন্থ বলা নিষেধ। তো শুভর ব্লগিং বইটায় , আমার আনন্দ বেদনার অপকিচ্ছায় আমি শেয়ার করেছিলাম, আমার শৈশবের কিছু অংশ, স্তম্ভ! তো, আবার ওই সব অপকিচ্ছা ঘটা করে বলে বিরক্তি বাড়াই না।

ওই যে বললাম স্তম্ভ! আমার শৈশবের কৌশরের খেলার সাথি, ২জন- যাদেরকে আমি আমার শৈশবের স্তম্ভ বলি। আমার মতো অগাবগা, আজ এখান পর্যন্ত আসার পেছনে এদের অবদানকে খাটো করে দেখার অবকাশ অন্তত আমার নাই!
একজন ছিল ধোপার ছেলে সেন্টু। প্রায়শ দেখা হয়। কথা হয়। ও এখনও বাপ দাদার পেশাতেই আছে। আগে এই নিয়ে তার বেদনার শেষ ছিল না। আমার সামান্য জ্ঞান দিয়ে অন্তত এটা তাকে বোঝাতে পেরেছি। তুমি যে পেশায় আছো এটা অসৎ কোন পেশা না, সৎ পেশা- চোখ নীচু করে থাকাটা অন্যায়। এক দিন বাপ ছেলে মিলে পোজ দিয়ে ছবি তুলল। ফটাফট ছবি তুললাম, গভীর ভাল লাগায় ভাসতে ভাসতে।

আমার বুকের গভীর থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। এই ২টা স্তম্ভের অন্যজন ছিল মুচির ছেলে গাদুরা। আমি ডাকতাম গাধু বলে। ও আমাকে ডাকতো চারচোখ বা চারচোইখা বলে। শৈশব থেকেই আমাকে চশমা ব্যবহার হতো।

এই গাধু বদটা পরে পচাই খেতে খেতে মরেই গেল আমি বদের বদটাকে নাগাল পেলাম না- নইলে বলতাম, গাধু, গাধার মতো মরে গেলি, কাজটা কি ঠিক হলো? ১টা ছবি তুলে রাখার সুযোগ দিলি না!