১. মাত্র ১০০ পয়সা, ১ টাকার বিনিময়ে প্রায় ৮ কোটি টাকার জমির মালিক হয়েছিলেন হুজুর সাইদাবাদী, ইসলামের সেবা করবেন এ অজুহাতে। ঢাকার প্রাক্তন মেয়র কর্নেল (অবঃ) মালেকের সহায়তায় এবং এরশাদের সম্মতি ছিল এ কাজে।
২. এরশাদ আমলে যখন আলু বীজের অভাব তখন গরীব চাষীদের মাঝে বিতরনের নামে সাইদাবাদী প্রায় ৬০০০ কার্টুন আলু বীজে আমদানির অনুমতি পান মন্ত্রী রুহুল আমীন হাওলাদারের সহযোগীতায়! পরে এই আলু বীজ মুন্সিগঞ্জে ৮০০ টাকা লাভে সাইদাবাদী বিক্রি করেন, এতে তার লাভ হয় ৫০ লাখ টাকা!
৩. ষ্টীল ইঃ কর্পেরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমানের সহায়তায় সাইদাবাদী ঢেউটিন এবং স্ক্র্যাপ-এর বেশ কিছু কৌটা আদায় করেন এবং তার সহযোগীদের মাধ্যমে বাইরে বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করেন।
৪. সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজান চৌধুরীর জামাতা ইসলাম সাহেবকে ব্যবহার করে সাইদাবাদী চিনির পারমিট যোগাড় করেন। ইদের সময় সেই চিনি বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করেন।
৫. ঢাকার মেয়র কর্নেল (অবঃ) মালেকের সহায়তায় সাইদাবাদী অবৈধ পদ্ধতিতে প্রচুর টেন্ডার লাভ করেন বলে ঠিকাদাররা অভিযোগ করেছিলেন। পরে এইসব টেন্ডার দয়াগঞ্জের জনৈক নাজিম কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে লভ্যাংশ পকেটস্ত করেন।
৬. এরশাদ আমলে সাইদাবাদী তার মাথা ও কানের চিকিৎসার অজুহাতে ব্যাংকক যান। মূলত এটা ছিল বিজনেস ট্রিপ! ফেরার সময় নিয়ে এসেছিলেন আটটি ঢাউস সাইজের সুটকেস- প্রচুর বিদেশী পণ্য ছাড়াও ছিল দুইটি বিদেশী রিভলভার। কোন রকম কাস্টমস চেকিং এবং ডিক্লারেশন ছাড়াই প্রভাব খাটিয়ে তিনি এসব পণ্য দেশে নিয়ে প্রবেশ করেন!
৭. থাইল্যান্ডের একটি নিম্নমানের প্রসাধনীর পেটেন্ট নকল করে সাইদাবাদী বাজারে আধ্যাত্মিক জ্যোতি পাউডার ছাড়েন। নব্বই এর দিকে এই পাউডারের বিজ্ঞাপনে মডেল হন বারো জন মন্ত্রী এবং একজন ডক্টর সম্পাদক! কেমিক্যাল টেস্টে দেখা গেছে, নিষিদ্ধ উপাদান কর্পুর এবং অন্য এমন সব উপাদানে এই পাউডার তৈরী হয়েছে, যে সব উপাদান উন্নত দেশে নিষিদ্ধ। বিপুল টাকা মুনাফা করেন এই পাউডার দিয়ে, ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির কোন অনুমতি না নিয়ে। পরে পত্রিকার মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করেন!
৮. মুন্সিগঞ্জের রামপাল, ধলা এবং শনির আখড়ায় অর্থ এবং পেশীর প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমি কেনেন। এইসব জমির অনেকেই নায্য মূল্য পায়নি বলে অভিযোগ করেন।
৯. সাইদাবাদীর আরেকটি ব্যবসা ভক্তদের দেয়া নজরানা। প্রতি দর্শনার্থীর কাছে দশ টাকার টিকেট বিক্রি করে মাসে প্রায় এক লাখ টাকা আয় করেন বলে দরবার শরীফের কর্মচারী সূত্রে জানা যায়।
১০. প্রতি বছর ওরস উপলে দরবার শরীফে আলাদাভাবে বিপুল অংকের নজরানা জমা পড়ে। জনশ্রুতি আছে, অনেক ব্যবসার ডিল সাইদাবাদীর মাধ্যমে এখানে হয়ে থাকে।
১০. বিভিন্ন পত্রিকায় সাইদাবাদীর যে সব আধ্যাত্মিক বিজ্ঞাপন দেখা যায় তার অধিকাংশ বিলই তিনি পরিশোধ করেন না। বিল চাইলে সাইদাবাদী কখনো হুমকীর সুরে, কখনো বা নরম সুরে বলেন, ভাইজান বিল আর কি দিব, যান আপনার জন্যে দোয়া করব।
No comments:
Post a Comment