(প্রফেসর ইউনূসকে যে মেইলটা করেছি, হুবহু এখানে তুলে দিচ্ছি)।
জনাব, প্রফেসর ইউনূস:
সালাম। আপনি এ দেশের মানুষের কাছে খোলা চিঠি লিখে মতামত জানতে চেয়েছেন। এই যে মতামত জানতে চাওয়া, আপনার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দেই।
কিন্ত একটা বিষয় আমার বোধগম্য হচ্ছে না, এ দেশের কত ভাগ মানুষ আপনার কাছে তাঁদের মতামত নিয়ে পৌছতে পারবেন? একজন কৃষক, একজন রিকশা চালক, একজন দিনমজুর, একজন গার্মেন্টস কর্মী- এঁরা কিভাবে আপনার কাছে তাঁদের মতামত জানাবেন? এঁরাই তো এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ, না কি? এঁরাই তো এ দেশের চাকা ঘুরাচ্ছেন, অবিরাম।
যাই হোক, এটা আপনার সমস্যা, আমার না।
আমি আমার বক্তব্য বলি: প্রথমেই আপনার নোবেল প্রাপ্তির যথার্থতা তর্ক বিতকের বাইরে রাখি। তদুপরি আপনার নোবেল প্রাপ্তি বাংলাদেশকে পৃথিবীর কাছে আবার নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। সবুজ পাসপোর্টের প্রতি তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি অনেকখানি নমনীয় করেছে। স্বাধীনতা পর এটা একটা অভূতপূর্ব ঘটনা।
আমি মনে করি, জনাব, শেখ মুজিবর রহমান যে ভুলটা করেছিলেন, আপনিও ওই ভুলটা করতে যাচ্ছেন। তিনি যদি সরকারি দায়িত্ব না নিতেন তাইলে এই দেশের প্রত্যেক বাড়িতে একটা করে তাঁর ছবি থাকত, সশ্রদ্ধায়।
যে ভুলটা সোনিয়া গান্ধি করেননি, শত চাপেও। এমন কি তাঁর জন্য আত্মহত্যা করারও নজির আছে- কিন্ত তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। সিদ্ধান্ত আপনার।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছান্তে
-আলী মাহমেদ
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Friday, June 29, 2007
প্রফেসর ইউনূসকে আমার খোলা চিঠি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment