ভাবছি...।
আবার ইশকুলে ভর্তি হবো। মানুষদের চেনার জন্য পড়ায় যে ইশকুলে- প্রথম বেঞ্চিতে গ্যাট হয়ে বসে থাকব, হররোজ। ফুল কোর্স কমপ্লিট না করে ছাড়াছাড়ি নাই।
নইলে যে বড্ডো সমস্যা হয়ে যাচ্ছে!
বিচিত্রসব মানুষদের কতটুকুই বা আমরা চিনি? প্রকৃতির কাছ থেকে প্রকৃতিরসন্তানদের চেনার কথা- প্রকৃতি বেচারা নিজেই আছে বড়ো বেকায়দায়। বুড়া হয়ে গেছে প্রকৃতি, তাই তার সন্তানদের এখন দবদবার শেষ নাই। বেয়াদব সন্তানেরা তার জন্মদাতাকেও মানতে গররাজী- নিজেদের শেকড় উপড়ে ফেলে জাঁক করে বলছে: শেকড়, য়্যু মীন লেজ- সে তো কবেই খসে পড়েছে!
বেশ-বেশ!
একটা ওয়েবসাইটে প্রায় ১ বছর লেখালেখি করেছি। ওখানে অনেকের সঙ্গে হৃদ্যতা হয়েছে, ঝগড়া হয়েছে কিন্ত আমার ওই সময়টা ছিল সোনালি।
ওখানের একজন ব্লগারের অনেক দিক আমি ভারী অপছন্দ করতাম কিন্ত তার কিছু দিক আমাকে খুব টানত। দেশে আসলে তার সঙ্গে আমার দেখা করার খুব ইচ্ছা হল। একদিন দেখা হলো- আমার ইচ্ছাটাই ছিল প্রবল।
অ আল্লা, আমি পুরাপুরি হতভম্ব। যে ছেলেটা অবলীলায় কঠিন কঠিন সব কথা বলে যায়- এমন লাজুক, চোখ তুলে তাকাতেই পারে না। আমার আরও ২জন সুহৃদসহ, আমরা দুপুরে একসঙ্গে ভাত খেলাম। খুব মাস্তি(!) হলো। ওই সময়টা কেটেছিল আমার গভীর আনন্দে। ওই মানুষটাকে আমি আমার একটা বই গিফট করলাম।
বেশ কিছুদিন পর আমার এক সুহৃদ ফোন করলেন, আচ্ছা, আপনার কি অমুকের সঙ্গে কোন সমস্যা হয়েছে। (অমুক মানে ওই মানুষটা-সুবিধার জন্য অমুককে আমরা এক্স নামে ধরি)।
আমি আকাশ থেকে পড়লাম, কই না তো!আমার সুহৃদ বললেন, কিন্ত এক্স তো আপনার ওই বই নিয়ে কঠিন সমালোচনা লিখেছে।এবার আমি আটকে রাখা শ্বাস ছাড়লাম, ওহ, এই কথা। তা পাঠক হিসাবে এক্স এটা লিখলে দোষ কি- একজনের লেখা সবার ভালো লাগবে এটা কেমনে হয়!আমার সুহৃদ থেমে থেমে বললেন, সেটা কথা না। এক্স আপনাকে নিয়ে কুৎসিতসব কথা লিখেছে। এবার তিনি হাহাকার করা গলায় বললেন, প্লিজ, ওটা পড়বেন না, আপনার মন খারাপ হবে।
আমাকে নিয়ে লেখাটা আমি পড়লাম। না পড়লেই সম্ভবত ভালো হতো- অন্তত মানুষের গভীর অন্ধকার দিক আমাকে তাড়া করত না। আমি গভীর ভাবনায় তলিয়ে গেলাম। আমি ভেবে আকুল হচ্ছি, একটা মানুষ কেন এমন করবে? আমার লেখা ভালো লাগেনি, বেশ- এটা নিয়ে লিখলে তো কোন সমস্যা নাই। আমাকে নিয়ে অহেতুক কুৎসিত কথা কেন লেখবে- কি লাভ, কার লাভ। এসব করে একজন মানুষ নিজের চোখে চোখ রাখে কি করে? এখনও আমার মস্তিষ্কে তার সঙ্গে কাটানো সেই সোনালি সন্ধ্যার স্মৃতি অম্লান। আমার মনে আছে, ওই সময় আমি একটু পরপর ঘড়ি দেখছিলাম- সময়টাকে আটকাতে পারছিলাম না…।
হায়রে রহস্যময় মানুষ!
No comments:
Post a Comment