আমাদের দেশের মহান একজন মানুষ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তার মেয়ের বিবাহ দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ- ফরয কাজ!
তথ্যমতে, তিনি মেয়ের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে ৮ লাখ দাওয়াতীকে খাইয়েছেন! বেশ, ৮ লাখ কেন, তিনি যদি ১৪ কোটি মানুষকেও দাওয়াত করে খাওয়ান, কার কি বলার আছে! মেয়ে ওনার, টাকা ওনার- আমরা বলার কে?
ভারী দিলখোলা মানুষ! নিজের আপন ভাইরা বিয়েতে উপস্তিত ছিলেন না। যাযাদিনে, সাকা চৌ নির্বিকার ভঙ্গিতে, লাখ লাখ দাওয়াতিদের দেখিয়ে বললেন, 'আমার কয়েকজন ভাই আসে নাই তো কি হয়েছে? এই যে লাখ লাখ ভাই এসেছে- এরাই তো আমাকে কফিন কাঁধে করে কবরে নিয়ে যাবে'! বেশ-বেশ!
সব তথ্যই আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে মুগ্ধ হচ্ছি। কিন্তু আমি প্রয়োজনীয় একটা তথ্য খুঁজে পাচ্ছি না। সেটা হচ্ছে: বাংলাদেশে অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন নামে একটা আইন চালু আছে। আমার জানামতে, এই আইন এখনো বহাল আছে, বাতিল করা হয়েছে বলে তো শুনিনি! অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ১০০ জনের বেশী অতিথিকে দাওয়াত দিলে, প্রত্যেক অতিথির জন্য নির্দিষ্ট অংকের ফী সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হয়। ফীর অংকটা সম্ভবত, প্রতি জনের জন্য ১০ টাকা করে।
ওই হিসাবে মহান সাকা চৌধুরীর ৮০ লাখ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হওয়ার কথা! হয়েছে কি? সাকাচৌ এই দেশের জন্য বাজে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করলেন।
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Friday, June 29, 2007
সাকা চৌ, রাজকোষে কত টাকা দিলেন?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment