এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Friday, June 29, 2007
আলকাতরার হালুয়া এবং বিস্কুটের গুড়গুড়িয়া
প্রবাসীরা যখন রেসিপি নিয়ে পোস্ট দেন, আমরা বড়ই বিরক্ত হই। দেশে তো আমাদের প্রিয় মানুষ কেউ না কেউ আগুন ঝাল সালুনসহ ধোঁয়াওঠা এক গামলা ভাত এনে খাওয়ার জন্য মাথার দিব্যি দেন, প্রবাসীদের জন্য বসে থাকতে কার দায় পড়েছে। প্রবাসীদের এই আবেগ আমাদের বুঝতে না পারাই কথা।
আমি এই পোস্টটা তাঁদের জন্য উৎসর্গ করি।
এক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দেখিয়েছিল, একজন সেলিব্রেটি টাইপের মানুষ ডিম ভাজছেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়া জাঁক করে এটা দেখিয়েছিল। আফসোস, আমি তো আর সেলিব্রেটি টাইপের কেউ না, অগাবগা টাইপের মানুষ। কিন্ত খোদা না খাস্তা আমাকে কোন দিন পাকড়াও করে বসলে আমার উপায় কি? ডিম ভাজাভাজি করে তো আর লাভ নাই, ওই মানুষটা বলে বসবেন আমাকে অনুকরণ করে রে। আচ্ছা, বাদাম ভাজলে কেমন হয় বা পানি গরম করলে? হবে না, না? তাইলে নতুন কোন রেসিপি ট্রাই করে দেখা যেতে পারে। রেসিপিটা আপনাদের বলিনি বুঝি।
আলকাতরার হালুয়া:
১. এক ডেগ আলকাতরা।
২. একটি হাতা।
৩. পরিমাণ অনুযায়ী আগুন।
৪. অন্তত একটি হাত (নিজের হলে ভাল হয়)। তো হয়ে যাক। নাড়তে থাকুন মনের আনন্দে।
ঘুটার পর ঘুটা। দে ঘুটা। নাড়তে থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না জিসিটা রাবারের মতো হয়।
ব্যস। তো হয়ে যাক পার্টি। অনন্তকাল ধরে চিবুতে থাকা।
বিস্কুটের গুড়গুড়িয়া:
১. এক প্যাকেট মেয়াদঅলা বিস্কুট। (লক্ষ রাখবেন বিস্কুটগুলো যেন ন্যাতানো না থাকে)।
২. একটি কাঠের হাতুরী (মাথায় বাড়ি দিলে মাথা ফাটবে না এমন)।
৩. একটি টেবিল চামুচ।
৪. ২টি হাত (১টি অন্যের হলে কাজ চালানো যাবে)। এবার বিস্কুটটিকে আলতো করে পিটিয়ে গুড়া করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না বিস্কুটগুলো গুড়া গুড়া টাইপের হয়। ব্যস। হয়ে গেল বিস্কুটের গুড়গুড়িয়া। এইবার চামচ দিয়ে খেতে থাকুন কপকপ করে। আর আরামসে ব্লগিং করুন। শাব্বা খায়ের।
*স্মতব্য: এর পরের দায়িত্ব আমার না