আমাদের বাকের ভাই। একসময় কী উম্মাদনাই না সৃষ্টি হয়েছিল এই মানুষটাকে নিয়ে। আপনাদের হয়তো অনেকেরই এটা মনে আছে।
ওই সময় এই উম্মাদনয় কী কেবলই নাট্যকারেরই অবদান ছিল- অবশ্যই না। নূরের অসাধারণ অভিনয়! আমার এখনও চোখে ভাসে- নূরের কী দুর্ধর্ষ অভিনয়!
আমার সেই দৃশ্যটার কথা মনে পড়লেই বুকটা হাহাকার করে উঠে, জেল গেটে বাকের ভাইয়ের লাশটা নিতে এসেছে মুনা (সুবর্ণা মুস্তাফা)। ভোর হয় হয়, চারদিকের মসজিদ থেকে আজান ভেসে আসছে- মুনার সেই পান্ডুর, বিবর্ণ মুখ। কী হাহাকার করা মুখ- বুকটা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল- জাগতিক অনেক কিছু তখন তুচ্ছ মনে হচ্ছিল!
কিন্ত অধুনা নূর সাহেব নামের মানুষটা, সামাজিক অর্থ-বিত্ত-মর্যাদা সব কিছু থাকার পরও ক্রমশ পরিণত হন জনসেবকের খোলসে এমন একজন অতি সাধারণ মানুষ- ওই মানুষের বাকের ভাইয়ের মতো মানুষকে স্পর্শ করার তিলমাত্র যোগ্যতা নাই। সেইসব জনসেবক, যাদের মহান বাণী আমরা ব্লাডার খালি করতে করতে শুনি, ফ্লাশ করে চলে আসি।
সাবেক সাংসদ মি. আসাদুজ্জাম নূর পত্রিকায় বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে খালেদা জিয়ার সিন্ডিকেট চিনি আমদানী করে, সমুদ্রে জাহাজ আটকে রেখে দেশে কৃত্রিম চিনির সংকট তৈরী করে ফায়দা লুটছেন...।
আমাদের মতো সামান্য মানুষরা যারা লেখালেখি করার চেষ্টা করি, আমরাও তো কোন উদ্ধৃতি ব্যবহার করলে, উপাত্তের সোর্স ব্যবহার করি অথচ একজন সাংসদ মি. আসাদুজ্জাম নূর যে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তারেক জিয়ার প্রতি। যথার্থ প্রমাণ তো দূরের কথা মিনিমাম প্রমাণ দেয়ার অপচেষ্টাও করেন নাই।
সর্বোচ্চ চিনি দাম কত ছিল, সম্ভবত ৬৫ টাকা? তারেক জিয়া মধ্য সমুদ্রে জাহাজটা কি ভাবে আটকে রেখেছেন ? ব্যাটন দিয়ে পানিতে আঘাত করে বলেছেন পানি তুমি দুভাগ হউ। নাকি জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ সবাইকে ৬৫, ৬৪, ৬৩, ৬২, ৬১, ৬০…০- এইসব কান্ড করে সম্মোহিত করে রেখছেন, চিনির দাম একশ টাকা কেজী হলেই তাদের জাগিয়ে তুলবেন আবার। ৯৬, ৯৫…০। ডিং!
মি আসাদুজ্জাম নূর, এভাবে আপনি নওগার গাঁজার ব্যাপারীর মতো বলতে থাকলে- ওই যে বললাম ব্লাডার খালি…!
No comments:
Post a Comment