একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। নামের পরে অনেকগুলো বিজাতীয় ডিগ্রি। এ বি সি ডি এক্স ওয়াই জেড।
ওনার ইস্তারি(!) সাহেবাও ডাক্তার দু-জনে মিলে একটা ক্লিনিক চালান। মুলত এরা গর্ভবতী মহিলাদের পেট কাটতে খুব আগ্রহ দেখান। কারণটা... পরে আসছি।
একজন রোগী দেখার কারণে এখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। রিসেপশন বলতে কোন জিনিসের অস্তিত্ব এখানে নাই। কার কাছে খোঁজ করবো এটাই বুঝতে পারছিলাম না। অল্প কারণেই আমার কপালে ভাঁজ পড়ে এখানের তার ব্যতয় হলো না।
আমি উষ্মা গোপন করতে খুব ভাল করে শিখিনি। আমার উষ্মা দেখে একজন রোগীর আত্মীয় আমায় বললেন, ভাইজান, তবুও এই কিনিকটা ভাল। ডাক্তার সাব ভাল।
আমি রাগ চেপে বললাম, কি রকম?
তিনি বললেন, এই ডাক্তার সাব ক-দিন আগে হজ করেছেন।
আমি বিস্ময় চেপে গেলাম। এখানে হাজী বা আলহাজের সঙ্গে ডাক্তার ভাল, এ তর্ক করা করা বাতুলতা।
পরিচিত একজন ওষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিভকে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। তাঁর সহায়তায় নির্দিষ্ট কেবিন খুঁজে পেলাম। বিচিত্র, ভয়াবহ কিছু তথ্যও পেলাম। উক্ত রিপ্রেজেন্টিভ এই ডাক্তার সাহেবকে মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেন। তার কোম্পানীর এলেবেলে ওষুধ চালিয়ে দেয়ার জন্য।
ভয়াবহ তথ্যটা হচ্ছে মফস্বলের হাসপাতাল থেকে অকারণেই গর্ভবতী মহিলাদের পেট কাটার জন্য এখানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এই কষ্ট স্বীকার করার জন্য মফস্বলের ডাক্তার সাহেবরা রোগী পিছু ২ হাজার টাকা করে পান। এই ক্লিনিকে চার্জ নেন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
এই পুরুষ ডাক্তার সাহেব খুবই পরহেজগার মানুষ হজের পাশাপাশি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। পর্দাও করেন। বাড়তি নমুনা পেলাম তার চেম্বারের বাইরে টাঙ্গানো নির্দেশ থেকে।
আমাদের মতো নাদান বান্দারা এদের দেখে মন খারাপ করা নিঃশ্বাস ফেলি, ধর্ম এদের বুক পকেটে আমাদের কি হবে রে!