এও কি সম্ভব? একটা চড় দিয়ে ১৫ কোটি মানুষকে ফেলে দেয়া, তাও একজন মহিলার পক্ষে?
এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন একজন থাই মহিলা, পিয়াথ সারাপক ডি কস্তা। তাঁকে সহায়তা করেছেন একজন বংগাল, মি. মহিউদ্দিন আহমেদ ফারুকী। এই বংগালের জন্য আমরা গোটা দেশের মানুষ আজ গর্ভিত(!) হয়ে পড়েছি। ওহে ভদ্দরনোক, আমাদের সেলাম নেন গো।
এই ভদ্দরনোক একজন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি), তিনি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টাপোলের ৩ দিনের একটি আঞ্চলিক সম্মেলন শেষে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই থাই মহিলার সংগে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মহিলা তাকে চড় মারলে হইচই পড়ে যায়।
মহিলার এককথা, এই ভদ্দরনোক তার ব্যাগ থেকে মোবাইল চুরি করেছেন। বিমানবন্দরে বাজার জমে যায়। বিভিন্ন সংস্থার লোকজনরা চাপাচাপি করলে বাধ্য হয়ে মি. ফারুকী তার পকেট থেকে ওই মহিলার মোবাইল বের করে দেন।
পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি দু:জনক।
আহা, এতে বেদনার কি আছে! না হতে রামায়ন একটা কান্ড হল, পুলিশ আর পুরীষ কি একাকার হলো, এ গবেষণা থাকুক। এই মানুষটার কারণে আমরা ১৫ কোটি মানুষ চড়ের দাগ নিয়ে পৃথিবীময় ঘুরে বেড়াব, এ কী কম পাওয়া? সবুজ পাসপোর্টটা যখন বাড়িয়ে দেব, স্যুট পরে থাকলেও কুঁকড়ে যাব, এইরে, গোপনাঙ্গ দেখে ফেলল বুঝি। ফেলুক, তাতে কী আসে যায় ? মানুষ তো এক সময় যন্ত্র ঝুলিয়ে , দেখিয়েই বেড়াত, ঢেকেঢুকে রাখা শিখল এটা আর ক-দিনের মামলা ।
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Friday, July 4, 2008
একটা চর্পট- ১৫ কোটি কুপোকাত!
বিভাগ
থাকুম না আর এই দেশে,
শ্লা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment