বয়স্ক মানুষটাকে লাথি মারা হল- যে এই কান্ডটা করল তাকে এখনও ধরা হয়নি, কেন? এর উত্তর আমাদের কারও কাছে নাই।
তর্কের খাতিরে না-হয় মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার বিস্মৃত হলাম কিন্তু একজন বয়স্ক মানুষকে জনসমক্ষে লাথি মারা যায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে কোটি কোটি মানুষ তা প্রত্যক্ষ করে এবং এর জন্য আইনের কোন বাঁধা নাই- আইন তার কেশাগ্রও ছুতেঁ পারে না। তাইলে এই দেশে কোন অপরাধের জন্য কারাগারের প্রয়োজন নাই (লিংক)।
এই প্রজন্মের এতে কোন সমস্যা নাই , সমস্যা হবে পরবর্তী প্রজন্মের। আজ যে গাছটা আমরা লাগাবো এতে ফল তো আর সঙ্গে সঙ্গে ধরবে না, খানিকটা সবুর না করে উপায় কী!
সুরুয মিয়া। (লিংক) একজন মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যা করেন ১৬ ডিসেম্বর।
একজন মানুষের তার নিজের চেয়ে প্রিয় আর কিছু এ গ্রহে নাই। সেই মানুষটা যখন তার নিজের প্রাণটা নষ্ট করে ফেলেন, নিজ হাতে- কতটা কষ্টে, কত বেদনায়, এটা এই আমাদের কখনই জানা হবে না!
কিন্তু এই আত্মঘাতি মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হবে না এটা যখন প্রশাসন থেকে জানানো হয় তখন প্রশাসনকে আমরা খুব করে কষে গালি দিতে পারি। কিন্তু এটা নিয়ে আমরা ভাবি না প্রশাসনের এমন ভাবনার উত্স কী! কোন নিতল থেকে উঠে আসে এমন ভাবনা?
প্রশাসন বলতে আমরা যা বুঝি, আসলে কোন রোবট তো আর না। গুটিকয়েক মানুষই থাকেন সিদ্ধান্তে।
ইউ, এন ও নামের যে মানুষটা এই সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন তিনি তার বালকবেলায়, কিশোরবেলায় দেখেছেন ফট করে গুলি করে একজন নেতাকে মেরে ফেলা হয়, সরকারি হেফাজতে জেলখানায় জাতীয় নেতাদের মেরে ফেলা যায়, যুদ্ধাপরাধিদের আস্ফালন- এইসবের জন্য এদের কোন বিচার হয় না। ওই বালকটি পরবর্তীতে ইউ, এন, ও হয়ে আত্মঘাতি মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হবে না এমন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন- এতে দোষের কী আছে!
আজ যে প্রজন্ম দেখছে প্রকাশ্যে একজন বয়স্ক মানুষকে তার সন্তানসম একজন লাথি মারছে, তাদের মধ্যে থেকে কেউ না কেউ আগামীতে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করবে এটা কোটি কোটি মানুষ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রত্যক্ষ করবে, নির্বিকারচিত্তে। ধর্ষণ যখন অবধারিত…!
No comments:
Post a Comment