ছবিটি সেলিনা পারভীনের। 'শিলালিপি' পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক। মুক্তিযোদ্ধাদের ওষুধ, খাবার দিয়ে সহায়তা করতেন।
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, দুপুর। পাকবাহিনির দোসররা তাকেঁ তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়।
তখনও তাঁর দুপুরের খাওয়া হয়নি। ৮ বছরের ছেলে সুমনকে বলে গিয়েছিলেন, তুমি খেয়ে নাও, আমি ফিরে খাব। ওয়ান-ওয়ে জার্নি, সেই শেষ যাওয়া।
তাঁর সন্তান সুমনের কী মাথা খারাপ? তিনি কিনা তাঁর মায়ের নামে সামান্য একটা রাস্তার নামকরণ করার জন্য বছরের পর বছর ধরে সরকার বাহাদুরের লোকজনদের বিরক্ত করেছেন।
কী আস্পর্ধা!
ছবি ঋণ: আফতাব আহমদ
2 comments:
তবুও তো কেউ কেউ এভাবে নিভৃতে স্মরণ করে যায়...
যতটুকু জানি, মালিবাগ-মৌচাক সার্কুলার রোডের নাম "শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভিন সড়ক" করা হয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। কিন্তু এখনো দোকানের সাইনবোর্ডে নতুন সড়কের নাম লেখা হয় না।
সেলিনা পারভিনের ছেলে দোকানে দোকানে গিয়ে অনুরোধ করেন সাইনবোর্ডে মায়ের নামের সড়কটা লিখার জন্য।
শিমুল,
আপনার জানায় ভুল নেই। কিন্তু আমার কষ্ট লাগে এটা জেনে সামান্য একটা রাস্তার নামকরন করতে এমন অভাগা মার অভাগা সন্তানকে বছরের পর বছর ধরে ঘুরতে হবে কেন!
অথচ রাস্তা নাই নেতার ফলক লেগে বসে আছে।
Post a Comment