"...সাদার উপর সোনালি রঙের কাজ করা শাড়ি পরে হাস্যোজ্জ্বল সংসদ নেতা শেখ হাসিনা...অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন।"
"...এ সময় খয়েরি রঙের জর্জেট শাড়ি পরে বেগম খালেদা জিয়া...অধিবেশনে যোগ দেন।" (প্রথম আলো/ ২৬.০১.০৯)
ভাগ্যিস, পত্রিকাটা জানিয়েছে কী পরে এরা সংসদে যোগ দিয়েছেন নইলে ভ্রম হত, এরা বুঝি লুঙ্গি ফতুয়া পরে চলে এসেছেন।
শাড়ি পরে এসেছেন এটা জানা গেল, কী রঙের শাড়ি এটাও জানা গেল এবং শাড়িটা জর্জেট নাকি সুতি এটাও আমরা ভোদাই পাঠক অবগত হলুম।
দেখুন দিকি কান্ড, এই আমিই কিনা অহেতুক ক-দিন আগে এই পত্রিকার কান্ডজ্ঞান নিয়ে কটাক্ষ করেছিলাম চুতিয়া মিডিয়া এবং কেজি দরে প্রাণ। অন্যায়, ঘোর অন্যায়!
"বঙ্গোপসাগরে ৩০০ বাংলাদেশি নিখোঁজ, উদ্ধার ১০২..."(প্রথম আলো, ৩০.১২.০৮)।
এই খবরটা কেন প্রথম পাতায় জায়গা পেল না, শেষ পাতায় হেলাফেলা ভঙ্গিতে ছাপা হয়েছিল, এই নিয়ে পত্রিকাটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কী আমার সমীচীন হয়েছিল? আরে বাপু, আমরা নির্বোধ পাঠককে শাড়ির খবর বিস্তারিত জানাতে গিয়েই না পত্রিকার এহেন অবস্থা, প্রথম পাতায় জায়গাটাই-বা কই!
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Monday, January 26, 2009
ইহা একটি মক্তব-চিন্তার দৈনিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment