'ইত্যাদি' নামের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটি প্রায় দুই যুগ ধরে সদর্পে এই দেশে এক মাইল-ফলক সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত এমন কোন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এমন বিপুল সময় ধরে দর্শক মাতাতে, এর ধারেকাছেও যেতে পারেনি!
টুপি খুলে সশ্রদ্ধ অভিবাদন, অসংখ্যবার!
গত পর্বের আগেরটা দেখছিলাম। 'হোটেল সাদাদিয়া' বা 'হোটেল সালাদিয়া' নামের একটা গান প্রচারিত হয়েছিল। সুর করেছেন রিন্টু, গেয়েছেন সান্টু। রিন্টু-সান্টু এখানকার বাঁধাধরা লোক! গানটা শ্রুতিমধুর, মন্দ লাগেনি। কিন্তু বিস্ময়ের সংগে লক্ষ করলাম, এটার সুর হুবহু অবিস্মরনীয় 'হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া'র নকল! যথারীতি এই বিষয়ে কোন কিছুই জাননো হয়নি! বিদেশী গানের সুর নকল করে গান করাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত এই বিতর্কে আমি যাব না। কিন্তু যেটা আপত্তিকর, এই বিষয়ে কোন ধরনের ঋণ-কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করা।
এই কান্ডটা হানিফ সংকেত মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছেন। এই বিকট চৌর্যবৃত্তিকে হানিফ সংকেত শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, এমন ভয়াবহ চুরি-চামারিকে তিনি সুকোমল রূপ দিয়েছেন। অসঙ্গতি খুঁজে বেড়ানো এই মানুষটি নিজেই চরম অসঙ্গতিকে দিনের পর দিন নির্বিকারচিত্তে লালন করেছেন! আমাদের হাতে ধরে শিখিয়েছেন, কেমন করে একটা মৌলিক সৃষ্টিকে ছিনিয়ে নিতে হয়, কেমন করে মৌলিক শিল্প ছিনতাই করে চুপসে যাওয়া বুক ফুলিয়ে রাখতে হয়!
আমাদের বয়স বেড়েছে, কিশোর যুবক হয়েছে, যুবক থেকে আধ-বুড়ো। জনসংখ্যা ১১ কোটি থেকে বার, তোরো..পনের কোটিতে কিন্তু হানিফ সংকেতের চুরি-চামারি চলছে সগর্বে। চলবে...।
আমার ধারণা, নীতির এমন বিপুল ক্ষতি খুব কম মানুষই করতে পেরেছেন।
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Monday, February 2, 2009
চোট্টামীর এক মহানায়ক, হানিফ সংকেত
বিভাগ
চাবকানো প্রয়োজন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment