"আমার খুব কষ্ট হয় এটা ভাবতে বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে একজনও সিভিলিয়ান নাই। কেন? একটা দেশের মুক্তিযুদ্ধ বিশাল একটা ব্যাপার- নির্দিষ্ট একটা গন্ডিতে নিয়ে আসা ঠিক না।
(বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে অন্তত একজন বীরাঙ্গনা থাকলে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ত বলে তো আমার মনে হয় না। কেন আমরা বিস্মৃত হই ভাগীরথীকে)
...ক-দিন আগে প্রবাসে আমাদের কিছু সৈনিকের মৃত্যু হয়। ওদিন জাতীয় শোক দিবস ছিল। বেশ। প্রত্যেকটা মৃত্যুই কষ্টের, এটা দোষের কিছু না।
...লঞ্চ ডুবেছে। ৩০০ যাত্রী নিখোঁজ। স্বজনরা লাশের অপেক্ষায়। লঞ্চ-লাশ উদ্ধার বাতিল করা হলো। উত্তাল ঢেউ, এই দুর্বল যুক্তি দেখিয়ে!
নৌ মন্ত্রী সাহেব এসি অফিসে বসে (তিনি স্পটে যাওয়ার তকলিফ করেননি), গলায় চাদর পেঁচিয়ে, চেয়ারের পেছনে তোয়ালে ঝুলিয়ে, অবশেষে বললেন, 'আল্লার হুকুমে লঞ্চ ডুবেছে'। আমিন!
জাতীয় শোক দিবস তো স্বপ্ন- লঞ্চ উদ্ধারে যথেষ্ঠ সদিচ্ছা ছিল বলে আমার ঘোর সন্দেহ আছে! "
(যে দেশে কেজি দরে প্রাণ বিক্রি হয় সে দেশে লাশের স্বজনরা অন্তত লাশ ফেরত পাবেন এটা ভাবাও বাতুলতা মাত্র। অন্যায় বৈকি!)
'ফ্রিডম' (২০০৬) বই খেকে:
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Friday, February 13, 2009
বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে একজনও সিভিলিয়ান নাই। কেন?
বিভাগ
১৯৭১: প্রসব বেদনা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment