এই পোস্টটা পড়ে আমার এক সুহৃদ ফোন করে, আমার যে অল্প ঘিলু আছে তা বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। আমার ধারণা, ফোন রেখে দিলেও আমি তাঁর কথা স্পষ্ট শুনতে পেতাম! তাঁর আপত্তিটা হচ্ছে, কেন আমি গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী লিখলাম? তিনি গড়গড় করে বকে গেলেন ওই অনুষ্ঠানে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন।
এর প্রয়োজন ছিল না আদৌ, ফটাফট ফটো তোলার কল্যাণে আমাদের না জেনে উপায় আছে? আমি নিজেও অনেকখানি বিব্রত ছিলাম কারণ এখানে আমার অসম্ভব পছন্দের ২জন মানুষ ছিলেন। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বেশ! কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো এঁরা কেউ কেন বইটার দাম নিয়ে আপত্তি তুললেন না।
আমি মনে করি, এই অনুষ্ঠানটা শেরাটনে না করে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন টাইপের কোথাও করলে আকাশ ভেঙ্গে বজ্র নেমে আসত না। বরঞ্চ এই প্রজন্মের সাধারণরা স্বস্তি বোধ করত। বইটার দাম ১০০ টাকা রাখা কোন বিষয়ই ছিল না। আরও আকর্ষনীয় করা যেত, যারা যারা অনুষ্ঠান থেকে বইটা কিনবে তাদের জন্য বিশেষ ছাড়, এরা ৫০ টাকায় কিনতে পারবে। এমন কত অভিনবত্বই না আনা যেত এই প্রজন্মের হাতে হাত রাখার সদিচ্ছায়।
অবশ্য এইসব প্রকাশনা যদি বৈদেশি মহোদয়দের তালুতে চুমু খাওয়ার জন্য হয়, তাহলে ঠিক আছে। বা নব্য ধনিদের শো-কেসে শোভা বাড়াবার জন্য? অথবা আসমানি কিতাবের মত মখমলের কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে রেখে দেয়া। কালেভদ্রে নামিয়ে সশ্রদ্ধ চুম্বন করা। তাহলে ঠিকই আছে।
জয়তু, আসমানি মুক্তিযুদ্ধ!
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Sunday, March 29, 2009
ক্ষমা প্রার্থনা, কিন্তুটা কিন্তু রয়েই যায়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
1 comment:
Post a Comment