প্রয়োজনে জ্ঞানার্জনের জন্য যাও চীন। এটা রূপকার্থে বলা।
আসলে শিক্ষার উপর জোর দেয়ার জন্যই এটা বলা। যখন থেকে এটা চালু হয়েছে তখন তো আর হাওয়াই-যান ছিল না, পয়দলই ভরসা। তো, হেঁটে হেঁটে চীন যাওয়া চাট্টিখানি কথা ছিল না।
এখন অবশ্য চীন যাওয়া বা রাশিয়া যাওয়ার মধ্যে খুব একটা হেরফের নাই। কয়েক ঘন্টার মামলা।
যাক, মূল ভাব একটাই, জ্ঞানার্জন।
দুষ্টরা(!) বললেই হল বুঝি, 'শেখার কোন শেষ নাই, শেখার চেষ্টা বৃথা তাই'। দুষ্টরা আরও বলে, পিলার মজবুত হবে না কেন, এটায় দুইটা 'এল' বর্ণ বুঝি এমনি এমনি দেয়া হয়েছে? বাস রে, অতি যুক্তির কথা।
একজন প্রধানমন্ত্রী নাকি অনেক বছর লাগিয়ে একই কেলাশের পড়া পড়েছিলেন। ইশকুল পার হয়ে কোন এক 'কালেজে' বছরের পর বছর ধরে পড়েই গেছেন। কষ্ট করে পাশ আর দেননি!
একালের ছাত্রনেতারা পিছিয়ে থাকবেন বুঝি? বুকটা ভেঙ্গে আসে, আমাদের দেশের ছাত্রনেতারা পড়তে পড়তে বুড়িয়ে যান। যৌবন ছার, প্রৌঢ়ত্বও বিলিয়ে দেন অবলীলায়।
পত্রিকায় যখন দেখি, একজন ছাত্রনেতা ২৩ বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, অন্যজন ২২ বছর! বুকটা ভরে যায়। আহা, জ্ঞানার্জনের জন্য কী নিরলস অধ্যবসায়। পড়া, পড়া আর পড়া। তাদের বউ-বাচ্চা মমতায় মাখামাখি হয়ে 'সুপ্রিম-ইশকুলের' ব্যাগ গুছিয়ে দেয়। ওকালের আদু ভাই আজ আর কোথায়? দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যান একালের দাদুভাই!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত ছাত্রদের এহেন কান্ড দেখে নেত্রীর চোখে পানি এসে পড়বে হয়তো বা কিন্তু এই হীন কাজ দেখে আমি বাকহীন!
*ছবিসূত্র: প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment