Search

Saturday, April 11, 2009

খাইব পান্তা, মরিব অসুখে

বৈশাখ ঘাড়ের উপর শ্বাস ফেলছে। বঙ্গালরা(!) কি পিছিয়ে থাকবেন, নাকি তাদের ছানাপোনারা?
বাংলা অক্ষর দেখে যাদের ছানাপোনাদের নাঁকিসুরে এটা না বললে যে মাথা কাটা যাবে, ড্যাড-মম, এটা কি বা-ং-লা? এরা কি এমন একটা দিনে ‘পান্তা ভাত’ খাবেন না, এটা কী ভাবা যায়! সেইসব পান্তাখেকোদের এই লেখাটা উৎসর্গ করছি।

গত বছর পহেলা বৈশাখে, মহাখালির ট্রাস্ট মিলায়তনে ৩০০ শিল্পী এবং তাদের পরিবারের লোকজনদের পান্তা খেয়ে পেট নেমে গেল। হাসপাতালে টানাটানি। যাচ্ছেতাই অবস্থা!

এবারও নিশ্চয়ই এমন কিছু একটা হবে। অপেক্ষায় আছি।

আসলে পহেলা বৈশাখে পান্তাভাত না খেলে আমাদের চলেই না। কিন্তু পান্তা বানানো নয়কো সোজা। ট্রাস্ট মিলনায়তনের শিল্পীদের পেট নেমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করা হয়েছিল যেটা:
সকালে গরম ভাত রেঁধে দ্রুত পান্তা বানানোর জন্য এতে দেয়া হয়েছিল বরফ। সম্ভবত ওই বরফের পানি ছিল দুষিত।
তো...? লজ্জা-লজ্জা!

এই দেশের মত বিচিত্র মানুষ সম্ভব এ গ্রহে আর নাই। বিচিত্র জাতি, এরা নিজেরাই নিজেদেরকে ফাঁকি দেয়। লাল চামড়াদের অনুকরণ না করলে আমাদের পশ্চাদদেশের কাপড় ঠিক থাকে না- সারা বছর মার খোঁজ না রেখে বছরে একটা কার্ড পাঠিয়ে দায় সারা।

হায়, পান্তাখেকো এস বি সাহেবের বাবা হওয়া! বা একজন স্ত্রী বিরহী, যেদিন স্ত্রী মারা গেছেন সেই দিনই শোক প্রকাশে কাল কন...পরে ফিঁয়াসের কাছে যাওয়া...।

No comments: