স্বপ্নের ফেরিওয়ালা স্বপ্ন বিক্রি করে, সবিরাম। স্বপ্ন নেবেন গো স্বপ্ন- হরেক রকম স্বপ্ন, লাল-নীল-সবুজ!
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা স্বপ্ন বিক্রি করতে করতে একসময় নিজেই স্বপ্ন দেখা ভুলে যায়। আত্মা বাঁধা পড়ে দুঃস্বপ্নের ফেরিওয়ালার কাছে। ক্রমশ বিস্মৃত হয়, একদা মুঠো মুঠো স্বপ্নে ভরে থাকত দু-হাত! এখন পড়ে থাকে বাতিল পুতুল একটা!
একদিন।
কেউ একজন মায়াভরা গলায় হাঁক দেয়, 'অ, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, বাড়িত আছুইন? আপনের স্বপ্নের ঝুড়িটা কোথায়, গো'?
বাতিল পুতুলের মত মানুষটার মনে পড়ে যায়, একদিন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ছিলাম, রে!
এই স্বপ্নের ফেরিওয়ালাদের যারা বাঁচিয়ে রাখেন- স্বপ্নের কারিগর। এই স্বপ্নের কারিগর বা একটা নাট্যমঞ্চের পেছনের আসল কুশীলবদের কথা আমরা জানতে কে আগ্রহি হই? তেমন কেউ-ই না! আমরা হাঁ করে একটা মুভি দেখি। ক্যামেরার পেছনে ওই মানুষটাকে জানার চেয়ে অনেক জরুরি হচ্ছে, ক্যামেরার সামনের মানুষটিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়া। এইই নিয়ম!
তাতে ক্যামেরার পেছনের ওই মানুষদের কী আসে যায়! কিন্তু ওই মানুষগুলোই স্বপ্নের ফেরিওয়ালাদের- কাঁচের নায়কদের বাঁচিয়ে রাখেন। হারিয়ে ফেলা মুঠো-মুঠো স্বপ্ন আঁজলা ভরে ফিরিয়ে দেন।
স্বপ্নের কারখানা-স্বপ্নের কারিগর এঁরাই...এঁরা আছে বলেই না আজও স্বপ্নের ফেরিওয়ালা স্বপ্ন ফেরি করে...।
2 comments:
আপনার এই স্বপ্নের কারিগরের সাথে দেখা হলে আমার সালাম পোছে দিবেন,পা ছুয়ে সালাম করতে ইচ্ছা করছে। শুভ ভাই,আপনি কি এখন সামুতে লেখেন না?(ইমন)
স্বপ্নের কারিগররা এমন করেই লম্বা-লম্বা পা ফেলে চলে যান। তারপরও আপনার অনুভূতির কথা কখনও দেখা হলে বলব।
ন,ওখানে লিখি না। ইচ্ছা করে না।
Post a Comment