Search

Thursday, June 18, 2009

প্রথম আলো এবং পাকস্থলী- সমার্থক!

পাকস্থলী ওরফে 'উদরের পাকাশয়' সব হজম করে ফেলে (কারও কারও পাকস্থলী লোহা, কাঁচও)। কিন্তু পাকস্থলীর বেচারার বড় কষ্ট, নিজেকে হজম করার কোন কায়দা তার জানা নাই। কেন নাই, এর ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের এই ব্যাখ্যার বিশদে গিয়ে এখানে কপচাবার খুব একটা আবশ্যকতা নাই।

শিরোনামে যেটা বলেছিলাম, পাকস্থলী এবং প্রথম আলো, এই দুইয়ে মুলত কোন পার্থক্য নাই। এরা জমজ ভাই- একই মায়ের গর্ভে ঘন্টা-মিনিট-সেকেন্ড ধরে এদের জন্ম। প্রথম আলোর 'বদলে যাও বদলে দাও' এর শিৎকারে (টাইপে ভুল হয়েছে, দয়া করে পড়বেন চিৎকারে) বাংলাদেশ মায় গোটা বিশ্ব অস্থির। ঝাড়ুসহ ঢাউস বিজ্ঞাপনও দেখলাম, এরা ঝেটিয়ে সমস্ত আবর্জনা সাফ করে ফেলবেন।

কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে এরা নাকি ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। সবই সু-উদ্যোগ। কিন্তু ওই যে বললাম, এরা পাকস্থলী- সব হজম করবেন, নিজেদের হজম করবেন না। সবাইকে বদলে ফেলবেন, কিন্তু নিজেদের বদলাবেন না।

ভাষাসৈনিক গাজীউল হক (তাঁর প্রতি সালাম। এই অগ্নিপুরুষ সেখানে অন্তত সম্মানের সঙ্গে সমাসীন হোন এই প্রার্থনা) মারা গেছেন। আমি অবশ্য এঁদের মৃত্যুকে মৃত্যু বলে স্বীকার করি না। আমি বলি, এঁরা কেবল খোলস বদলান। তাঁর তিরোধানের এই খবরটা প্রথম আলোয় ছাপা হয়েছে পেছনের পৃষ্ঠায়। এটা কেন প্রথম পাতায় আসার যোগ্যতা রাখল না এটা আমার বোধগম্য হলো না। অথচ প্রথম পাতায় হাবিজাবি খবরের অভাব নাই! অন্তত দুমড়ানো গাড়ির যে পৃথুল ছবি ছাপা হয়েছে এটাকে খানিকটা ছোট করে দিলেও হত।

গাজীউল হকদের মত মানুষ তো আর গন্ডায়-গন্ডায় এই দেশে নাই। কে জানে, গাজীউল হকদের মত মানুষ না থাকলে হয়তোবা প্রথম আলোর নাম হত, 'পাহেলি রোশনি' বা 'পাহেলি উজালা'।
কে জানে, মতিউর রহমান এই 'পাহলি রোশনি'-র সম্পাদক হতে পারতেন কি না? হলেও, কোন একটা লেখা লেখার পূর্বে দরখাস্ত লিখতেন:
"মেরে মায়-বাপ (হে আমার প্রভু),
তাসলিম (সালাম)। মেরে ভেজামে (মস্তিষ্কে), নাহি-নাহি, মেরে দিমাগ (মাথা) কা আন্দার এক সোচ (ভাবনা) আয়া, আগার ইজাজাত (অনুমতি) হো তো ইয়ে ম্যায় লিখ ডালু।
ইয়ে মেরে গুজারিশ (প্রার্থনা) হ্যায়...।"
ইত্যাদি ইত্যাদি।

No comments: