Search

Friday, July 24, 2009

ডাকতর সাহেব যাহা বলিলেন!

আমরা সবাই একপেট আবর্জনা নিয়ে ঘুরে বেড়াই। প্রকৃতি খানিকটা ঢেকে রাখে, খানিকটা আমরা। আমাদের কী আপ্রাণ চেষ্টাই না থাকে ঝাঁ-চকচকে কাপড় মুড়িয়ে, পেটের সমস্ত আবর্জনা ঢেকে-ঢুকে রাখা। একপেট আবর্জনা উম্মুক্ত থাকলে সালমান খান আর আমার মধ্যে বা মিস ওয়ার্ল্ড আর জরিনার মধ্যে তফাৎ কী থাকত!

এটা হচ্ছে মোটা দাগের চিন্তা। সূক্ষ দাগের চিন্তা-ভাবনার ভুবন অন্য রকম। মানুষ শিক্ষার পোশাক-খোলসে তার আচরণের আবর্জনা ঢেকে রাখে। নইলে আমার মতো সামান্য লেখাপড়া জানা মানুষ এবং একজন ডক্টরের মধ্যে পাথ্যর্ক থাকত না। কষ্ট করে মানুষ আর 'নেকাপড়া' করতে চাইত না। আহারে, কেউ কেউ পোশাক পরেও নগ্ন হয়ে পড়েন। এদের দেখে কী মায়াই নাহয়!

এটিএন বাংলা নামের স্যাটেলাইট টিভি চ্যালেল ১৩ বছরে পা দিচ্ছে। ভাল খবর।
সালটা মনে নাই, এটিএন বাংলার সঙ্গে আমি প্রথম পরিচিত হই বিজ্ঞাপন দেখার সুবাদে। সিগারেট-বিড়ির বিজ্ঞাপন, ভয়াবহ বাজেসব ঝাকানাকা টাইপের স্থূল বিজ্ঞাপন! দেখলেই বমি করে দিতে ইচ্ছা হয়, এমন।

যাই হোক, ১৩ বছরে পা দেয়া উপলক্ষে দৈনিকগুলোয় পুরো পাতা জুড়ে ঢাউস বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে (১৫.০৭.০৯)। এই বিজ্ঞাপনের ভেতর আরেক বিজ্ঞাপন "অসম্ভব জয়ের নেশায়" এই টিভির চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান সাহেবের বেশ কিছু বাতচিত আছে। ভাল কথা, ওনার নামের আগে এই যে ড. এটার মানে কি? ডক্টর নাকি? বেশ-বেশ।
তো, ওনার বাতচিতের কিছু নমুনা দেয়া যাক:
"...এ জীবনে অনেক কিছু করেছি...গার্মেন্টস শিল্পের প্রথম উদ্যোক্তাদের একজন আমি।...চালু করেছি দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা...চলচিত্র প্রযোজনা, মিউজিক স্টুডিও সবই করেছি। বিমান পরিবহন ও ইলেকট্রনিক্স নানা ব্যবসায় আমার হাতের ছাপ পড়েছে...বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ান এমন অনেক মানুষও আমার হাতে তৈরি...।"
এই একটা বিষয়ে অন্তত আমার কোন দ্বিমত নাই। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ইভা রহমান। ইনি নাকি একজন বিরাট গাতক (গাতকের গ-টা কি ঘ-র মতো দেখাচ্ছে, দয়া করে আবার ঘাতক পড়ে বসবেন না যেন)। যাই হোক, তাকে তৈরি করেছেন
ড. মাহফুজুর রহমান এবং ইভা রহমান বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ান না এটায় আপনাদের অমত থাকলেও, অন্তত আমার নাই।

No comments: