আমার অস্থিরতার বাতিকটা বড্ড ভড়কে দেয় আমায়। তখন আমার আমি কী করবে এটার আগাম ভাবনাটা নিতল। কোন একটা কিছুতে আটকা না পড়লে নিজেকে রক্ষা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়! এমনিতেই আজকাল অদেখা ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসে, কেন যেন মনে হয় এমন, কতটা কাল ঘুমাই না!
অস্থির আমি, বিভিন্ন সময়ে অন লাইনে লেখাগুলোর প্রিন্ট নেয়া পাতাগুলো উল্টাই। আহারে, একেকটা মন্তব্য যেন একেকটা স্পর্শ! আমাকে নিয়ে কারও কারও ক্ষোভ, ভাল লাগা পড়ি। কখনও কখনও অক্ষরগুলো আমার কাছ থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। আমার প্রতি কারও অহেতুক ভালবাসা এতো তীব্র যে লজ্জায় অধোবদন হই, এদের এই ভালবাসা ফেরত দেয়ার ক্ষমতা আমার কই! আসলে কেউ কেউ আমার মত ভুল মানুষকে বেছে নেন! জুবায়ের ভাইয়ের মন্তব্যটা চোখে পড়ে। বুকটা কেমন ধক করে উঠে।
মুহম্মদ জুবায়ের নামের এই মানুষটার সঙ্গে আমার তেমন হৃদ্যতা ছিল না। কিন্তু তবুও কেন যেন আমার মনে হত মানুষটা বাড়াবাড়ি রকম সাদাসিদা। না মান, না ভান, না অভিমান।
একটা ওয়েবসাইটে আমাকে নিয়ে বড় রকম একটা ঝামেলা হয়েছিল। ওখানে 'আমার সবিনয় বক্তব্য' (লিংকের এই লেখাটা মূল সাইটের লেখা না, কপি-পেস্ট। ওরা কেবল আমাকেই নিষিদ্ধ করেনি, লেখাগুলোও মুছে ফেলেছিল। যেটা একটা ভয়াবহ অন্যায় কারণ এর সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছিল অন্যদের করা মন্তব্যগুলো।
এমনটা কারার অধিকার কারও আছে বলে আমি মনে করি না!) নামে একটা পোস্ট দিলে ওখানে মুহম্মদ জুবায়ের এই মন্তব্যটা করেন। এখানে কিছু অংশ উহ্য রেখে হুবহু তুলে দিচ্ছি:
"শুভ, আপনার সঙ্গে ঠিক সেভাবে আমার জানাশোনা হয়নি। তবু আপনার জন্যে আমার একটা প্রস্তাব আছে। ঠিক আছে, মানবেন কি না তা আপনার সিদ্ধান্ত। আপনি তর্ক-বিতর্কে নাই গেলেন। শুধু লিখে যান।
... ...(এই অংশটুকু উল্লেখ করলাম না। অংশটুকুতে আমাকে নিয়ে অতিশয়োক্তি ছিল। আমার ধারণা, তিনি সবাইকে নিয়েই এমন উচ্ছ্বাস দেখাতেন) গদ্য লেখেন আপনি।
আর যদি একান্তই চলে যাবেন ঠিক করে থাকেন, তাহলে এইটুকু বলে যাবেন আপনি কোথায় লিখবেন। আমি গিয়ে পড়ে আসবো।"
পাখি উড়ে যায়- কে কাকে নাড়ায়- কে কোথায় চলে যায়?
জুবায়ের ভাই, এটা কোন কাজের কাজ হলো না। আমি ওই সাইটটা থেকে আপনাকে না-বলে চলে এসেছিলাম সত্য কিন্তু তাই বলে আপনি দুম করে এমন করে চলে যাবেন? এ অন্যায়-এ অন্যায়!
আমি এখনও লিখি। কেউ কেউ পড়েনও। আহারে, পড়েন না কেবল আপনি। এটা কী ঠিক হলো? এমন এক ভুবনে চলে গেলেন যেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসে না। তবুও কথা দিয়ে কথা না-রাখা কী ঠিক, বাডি...?
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Friday, September 25, 2009
মানুষ চলে যায়, রেখে যায় স্মৃতি: মুহম্মদ জুবায়ের
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment