সংসদে তুমুল বচসা হচ্ছিল। বিরাট হাউকাউ, -কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না! স্পিকার দমাদম হাতুড়ি পেটাচ্ছেন, মাইক বন্ধ করেও কোন তারতম্য হচ্ছিল না। সংসদ সদস্যরা খালি গলায় যে গলাবাজী করছেন, মাইক না থাকলেও কী আসে যায়!
সমস্যাটার উদ্ভব হয়েছে নোবেলটা আসলে কোন দল (কোন্দল না) পেয়েছে, এইটা নিয়ে? সব দলই দাবী করছে এটা তাদের কৃতিত্ব! কোন ভাবেই এ বিতর্কের মিমাংসা হলো না! যা হবার তাই হলো, বিদেশ থেকে ঘিলু আমদানী করতে হলো। বিদেশের ঘিলু- হে হে, রুটির স্লাইসের চেয়ে দ্বিগুন পুরু মাখন আর লিকার খাওয়া ঘিলু, বড়ো উর্বর, ক্ষণে ক্ষণে আইডিয়া প্রসবযোগ্য! আমরা বিছানায় কেমন করে বিশেষ সময় কাটাব এই বিষয়েও এদের পরামর্শ কাম্য!
সবচেয়ে বেশী হইচই করছিলেন প্রধান দুইটা দল। এরাই বহু বছর ধরে দেশটার চাকা ঘুরাচ্ছেন বনবন করে, নইলে কবে চাকা চারকোনা হয়ে যেত! ভাগ্যিস, এরা ছিলেন নইলে সম্ভবত ঈশ্বরও এই দেশের হাল ধরতেন না!
প্রথম দলের প্রধানকে বলা হলো পয়েন্ট অভ অর্ডারে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্য বলার জন্য।
প্রথম দলের প্রধান বললেন চিলকন্ঠে, "এই অর্ডার আমি মানতে পারুম না, আমার পায়ে বিষ, ব্যথায় অস্থির। তো, আমার বক্তব্য হইল, ইউনুস সাব যে নুবেলডা পাইছে, এইটা আমাদের আমলে পাইছে। এইটার কেরতিত্ব আমাদের। কালো টাকা সাদা করার সময় কালো টাকা দিয়া দিছি তাই বইল্যা নোবেলও দিয়া দিমু, কাভি নেহি! জান দিমু কিন্তু আমরা এই নুবেলের এক কুনা দূরের কথা এক কিন্নিও দিমু না।"
দ্বিতীয় দলের প্রধান মুহাহা করে হেসে বললেন, "তাইলে আমিও পয়েন্ট অভ অর্ডারে দাঁড়ামু না, মিডল অভ অর্ডারে বইসা কমু। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমার অনেকগুলা ডিগ্রি। আমি এই নুবেল ডিগ্রিটা নিতে রাজী হই নাই বইলাই এইটা ইউনুস মিয়ারে দেয়া হইছে। কার আমলে? এইটা কি আকথা কুকথা। আমাদের আমলেই এই পরতিষ্ঠানটা কলাগাছের মতন হওয়া শুরু করছিল। অনেক রক্ত দিয়েছি, শেষ রক্ত বিন্দু দিয়া দিমু কিন্তু নুবেল দিমু না।"
তৃতীয় দলের প্রধান বললেন, "সয়্যার অন মাই বলস ('বলস', এটা নিয়ে বিতর্ক আছে) আর্মিতে ছিলাম বইলা বন্দুক চালানের পাশাপাশি দেশ সেবায় পিছায়া আছিলাম না। আমিই ইউনুস সাবরে বুদ্ধি দেই, গরিব মহিলা গো টেকা দিলে ফেরত পাইবেন। কিন্তুক আপনে হাইফাই মহিলাদের টেকা পয়সা ধার দিলে ফেরত পাইবেন না। হে-হে-হে, হাইফাই মহিলাদের বিষয়ে আমার চেয়ে ভাল আর কে জানে। চামড়ার নল...হাক মাওলা।"
চতুর্থ দলের প্রধান, "নোবেল জিনিসটা আবিষ্কার করছে নাসারা। নাসারাদের কুনু কিছু আমরা বেবহার করি না, ধর্মে নিষেধ আছে। কুলুপ করার লিগ্যা দরকার হইলে টিলা-পর্বত উঠায়া নিয়া আসুম কিন্তু টিস্যু বেবহার করুম না। তয় আমাদের ম্যাডাম যখন বলছেন, তাইলে ঠিকাছে। এইটা আমাদেরই কেরতিত্ব। জাযাকুল্লাহ খায়রুন!"
নোবেল কোম্পানীর কর্তা মনে মনে ভাবছেন, আচ্ছা, নোবেল একবার দিয়ে আবার ফিরিয়ে নেয়ার কি কোন অপশন তাদের কোম্পানীতে চালু আছে! থাকা প্রয়োজন ছিল।
নোবেল কোম্পানীর কর্তা মনে মনে ভাবছেন, আচ্ছা, নোবেল একবার দিয়ে আবার ফিরিয়ে নেয়ার কি কোন অপশন তাদের কোম্পানীতে চালু আছে! থাকা প্রয়োজন ছিল।
*স্কেচ-স্বত্ব: সংরক্ষিত।
**লেখাটা একটা ফিকশন। এই গ্রহ, গ্রহের বাইরে, এমন কী তোতলা কোন লাশের সঙ্গে মিলে গেলেও সেটা হবে নিছক কাকতালীয়।
3 comments:
হা হা হা। মজা পাইছি। :D
সয়ার অন মাই বলস, পোস্ট ভালো হৈছে !
:D @মুকুল
আমার বাড়িতে স্বাগতম। বন, তামুক খান @হাসিব
Post a Comment