Search

Monday, November 16, 2009

আবর্জনা ব্লগারের অপ-সাক্ষাৎকার: পর্ব: ১


-->

('আবর্জনা লেখক' যার চালু নাম ব্লগার। বাস্তবে আবর্জনা ব্লগারের সাক্ষাকার নেয়ার নিয়ম চালু নাই। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে এ নিয়ম খাটে না, ওখানকার নিয়ম আবার অন্য। নিয়মের তোয়াক্কা না-করে এই সাক্ষাকারটা নেয়া হয়েছিল। এই সাক্ষাকারটা ভার্চুয়াল, সাংবাদিকও ভার্চুয়া। ছবিটাও ভার্চুয়াল, ওই ভুবনে ক্যামেরা দিয়ে ছবি উঠাবার নিয়ম নাই। ওখানে কাদা-পানি দিয়ে যে ছবি আঁকা হয় যার চালু নাম 'কাদা-পানি কালার'।)

ভার্চুয়াল সাংবাদিক: ওয়েল, শুরু করা যাক
আবর্জনা ব্লগার: আপনি অলরেডি শুরু করে দিয়েছেন
সাংবাদিক (প্রচন্ড বিরক্তি চেপে কারণ এই ছাগল টাইপের মানুষটা তাকে কখনও 'কাউ-শিক' ডাকছে কখনও 'কাক-শিক'): আই সি!
আবর্জনা ব্লগার: আসছেন বেশ-বেশ, তা তো দেখতেই পাচ্ছি।
সাংবাদিক (মনে মনে বললেন, ভাঁড় কোথাকার): তা আপনার প্রিয় অভিনেত্রী কে?
আবর্জনা ব্লগার: অনেকেই আছেন। খালেদা, হাসিনা, রওশন, বিদিশা, ওহ ভাল কথা এর মধ্যে আপনার বউও আছেন
সাংবাদিক (দাঁতে দাঁত ঘসে): আমার বউ নাই!
আবর্জনা ব্লগার: তাতে কি হয়েছে, গার্ল ফ্রেন্ড তো আছে! তা আপনার ইয়ের নাম কি যেন ভুলে গেছি। বুঝেনই তো ব্লগার মানুষ, হে-হে-হে?
সাংবাদিক: তা দিয়ে আপনার দরকার কি! আর দেখুন, সাক্ষাকার আমি নিচ্ছি, আপনি না!
আবর্জনা ব্লগার: আমি কোন দুঃখে আপনার সাক্ষাকার নেবআপনি কোথাকার সেলিব্রেটি। কি বা...হয়েছেন!
সাংবাদিক: আচ্ছা-আচ্ছা, আপনার প্রিয় অভিনেতা?
আবর্জনা ব্লগার: অনেকেই আছেনলেজে হোমো, গোআ, আপনিআচ্ছা ভাল কথা, আপনার ভাল নামটা যেন কি কাউ-শিক না!
সাংবাদিক: দেখুন, আপনি এলেবেলে কথা না বলে ঠিক ঠিক জবাব দিন! আচ্ছা, আপনার প্রিয় খাবার কি?
আবর্জনা ব্লগার: তিমি মাছের ঝোল

সাংবাদিক (সকালে যেন কার মুখ দেখেছিলাম, পরক্ষণেই মনে পড়বে শেভ করতে গিয়ে নিজের মুখই প্রথমে আয়নায় দেখেছিলেন): ফাজলামি করেন তিমি মাছের ঝোল খেয়েছেন কখনো? কোন রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় একটু বলবেন?
আবর্জনা ব্লগার: রেস্টুরেন্টে খাইনি, তবে রেস্টুরেন্টে অর্ডার দিয়ে দু-চার ঘা খেয়েছিশালার দেশ, কিসসু খাওয়ারও যো নাই! বা...!
সাংবাদিক: তবে যে বললেন, প্রিয়...
আবর্জনা ব্লগার: বলেছি নাকি, বেশ করেছিস্বপ্নে খেয়েছি, স্বপ্নে খেলে আপনার কো অসুবিধা আছে?
সাংবাদিক (মনে মনে, ছাগল কোথাকার! এ একটা ইয়ের ইয়ে হইছে এই ব্যাটা ফস্টারের নামই শোনেনি): না, স্বপ্নে আপনি তিমি মাছের ঝোল খান নাকি বাঘের দুধের পায়েস, তাতে আমার কি!
আবর্জনা ব্লগার: ভালো কথা মনে করিয়েছেন, দেখি, স্বপ্নে বাঘের দুধের পায়েসটা খাওয়া যায় কিনা!
সাংবাদিক: আপনার প্রিয় লেখক কে?
আবর্জনা ব্লগার: তালিকাটা দীর্ঘহোমোর যে কোন কবিতা, শেখ হাসিনার যে কোন বই
সাংবাদিক: প্রিয় পাখি?
আবর্জনা ব্লগার: কাউয়াডু য়্যু নো এবাইউট কাউয়া? কী এইমিং পাখি হাগা টার্গেট মিস নাই।
সাংবাদিক: আগেও বলেছি, আমি প্রশ্ন করবো আর আপনি উত্তর দেবেন
আবর্জনা ব্লগার: কি মুশকিল! আপনি চেনেন কিনা জানতে চাইলামআপনি যদি আবার ভেবে বসেন, কাউয়াকে, 'কাউয়া, ব্যাঙ ভাওয়া'।
সাংবাদিক: আপনার প্রিয় ফুল কোনটা?
আবর্জনা ব্লগার: ধতুরা ফুল, কপিকপির সুবিধাটা হচ্ছে, ফ্লাওয়ার ভাসে রাখলেন নরম হয়ে গেলে এক সময় রান্না করে কপকপ করে খেয়ে ফেললেন
সাংবাদিক: প্রিয় পোশাক?
আবর্জনা ব্লগার: এমনিতে পোষাক জিনিসটা আমার কাছে বাহুল্য মনে হয়, জন্মদিনের পোশাকের উপর কোন পোশাক নাই

সাংবাদিক (মনে মনে, বদ্ধ উম্মাদ): তারপরও, আপনি  নিশ্চয়ই জন্মদিনের পোশাকে ঘুরে বেড়ান না?
আবর্জনা ব্লগার: না, তা ঘুরে বেড়াই নাএমনিতে চাড্ডি আমার খুব পছন্দএটার বাংলা আমার জানা নাই, আপনাকে এটার জন্য হিন্দি মুভি দেখতে হবে। কেবল দেখলেই হবে না চাড্ডি পরে ঘুরে বেড়াতে হবে।
সাংবাদিক: প্রিয় ফল?
আবর্জনা ব্লগার: বেলপথে পাইলাম বেল, বেলের মধ্যে লেখা আছে হাডু-ডু খেল।
সাংবাদিক (আবর্জনা ব্লগারের রোগা দুবলা শরীর পর্যবেক্ষণ করে): -হা, আপনি বলতে চাচ্ছেন, এই শরীর নিয়ে আপনি হাডুডু খেলেন!
আবর্জনা ব্লগার: খেলতে পার না দেখে কি রেফারী হয়ে গন্ডগোলও লাগাতে পারব না, কী আশ্চর্য!!
সাংবাদিক: প্রিয় জুতা?
আবর্জনা ব্লগার: নাগরানাগরার উপর জুতা নাই। প্যাচপ্যাচে কাদার মধ্যে নবাবি চালে হেঁটে যান, আটকাচ্ছে কে।
সাংবাদিক: আপনার প্রিয় রং কোনটা?
আবর্জনা ব্লগার: হলুদ
সাংবাদিক: হলুদ বাদ দিয়ে কোন রংটা পছন্দ?
আবর্জনা ব্লগার: হলুদ
সাংবাদিক: আহা, বুঝলাম তো, কিন্তু হলুদের পর কোন রং?
আবর্জনা ব্লগার: হলুদ
সাংবাদিক: (মনে মনে, আচ্ছা গদাম করে ঘুসিটা এর মুখের কোথায় মারা যায়): হলুদ আপনার বড়ো মনপছন্দ রং, বিশেষ কোন কারণ?
আবর্জনা ব্লগার: সর্বক্ষণ একপেট আবর্জনা নিয়ে ঘুরে বেড়াই তাই এই রংটার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছেকালারের বিষয়টা খিয়াল করেন, আচ্ছা বিষয়টা আপনাকে বুঝিয়ে বলি-
সাংবাদিক (হড়বড় করে): না-না, ডিটেইলস বলতে হবে না সেন্ট পারসেন্ট বুঝেছি
আবর্জনা ব্লগার: যাক, বুঝে গেছেন তাহলে!

সাংবাদিক: প্রিয় বাহন?
আবর্জনা ব্লগার: সত্য কথা বলতে কি ঘোড়া আমার বড়ই মনপছন্দ কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে আমার গতির সঙ্গে ঘোড়া তাল মেলাতে পারে নাসো, আগুপিছু হয়ে যায়দেখা গেল, ঘোড়া এক মাইল আগে তো আমি...য়্যু নো, এটা কোন সুখকর স্মৃতি নাতো, এখন গাধাই প্রিয় বাহনএরা খুব ভদ্র, শান্তশিষ্ট লেজবিশিষ্টতবে আফসোস, জুত করতে পারছি নাহোজ্জা নাসিরের মতো উল্টা বসার চেষ্টা করেছি, হচ্ছে না বুঝলেনহোজ্জা ব্যাটা যে কিভাবে বসত, একটু জিজ্ঞেস করতে হয় কিন্তু উনাকে তো আবার না-মরে আর পাচ্ছি না
সাংবাদিক: মানুষ হিসাবে আপনার নিজেকে কি মনে হয়, আপনার মনন...?
আবর্জনা ব্লগা: আই বেট, গাধার মনন আমার চেয়ে বেশী না
সাংবাদিক: দেশে আপনার প্রিয় ব্যক্তিত্ব কে?
আবর্জনা ব্লগার: অনেকেই আছেনবিশেষ করে যারা মাতৃগর্ভ থেকে দেশের জন্য চিন্তাভাবনা করেন, স্বপ্ন দেখেন এবং স্বপ্ন দেখতে দেখতে স্বপ্নদো...(সেন্সর)
সাংবাদিক এখানে এসে মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেবেন এবং পরে সাক্ষাকার নেয়া হবে জানিয়ে সটকে পড়বেন অতঃপর সাংবাদিকের টিকিটিও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না!

*ভার্চুয়াল সাংবাদিকের এই সাক্ষাকারটা নরমতারের মাধ্যমে (আমাদের গামলা সাহেবরা যাদের চালু নাম আমলা, নরমতার এটা তাঁদেেই অনুবাদ)-এর কপি থেকে কপি-পেস্ট, লাইন বাই লাইন, অক্ষর বাই অক্ষর।

1 comment:

Anonymous said...

Ha ha ha
aita ki apnar pic