সাদা বাড়িতে কালো অতিথি লেখাটা লিখেছিলাম, প্রবল আশা নিয়ে। আমার প্রত্যাশা অনেকখানি পূরণ হয়েছে এটা বুকে হাত দিয়ে বললে স্বীকার করতে হয়।
আমার তীব্র চাওয়া ছিল, এই গ্রহের হাল এমন একটা মানুষ ধরুক, যে মানুষটা বুশের মত বদ্ধ উম্মাদ না। বুশ মানসিক রোগে ভুগছে, 'অ্যাটেনশন ডেফেশিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার'। বানচোতটাকে সারফেস উচু করতে বলা হলে সে সব মেরে সাফ করে লাশ বিছিয়ে, কবর বানিয়ে, হলদে দাঁত বের করে বলবে, 'বাস, অনেক পরিশ্রম হইল'!
আচ্ছা, ভাল কথা, ওবামাকে আমরা কালো মানুষ বলি কেন? ওই দেশে কী চুতিয়া 'ফেয়ার এন্ড লাভলি' নাই? এরা ওবামাকে নিয়ে এড দেয় না কেন?
যাগ গে, ওবামার যেটা আমার বড়ো ভাল লাগে মানুষটার মধ্যে আলগা ভান জিনিসটা নাই। তাঁর গরিব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের তিনি ভোলেননি, স্বীকার করতে কোন লাজ নাই। মানুষটা তাঁর শেকড়কে প্রাণপনে আঁকড়ে থাকেন। উন্নত বিশ্বে এটার চল নাই, অচল!
তাঁর শেফের সঙ্গে আমার কথা হয়নি কিন্তু আমি নিশ্চিত, ওবামার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত বেলের শরবত থাকে। পেট ঠান্ডা তো সব ঠান্ডা! চর্বিতচর্বণ কিন্তু ভলতেয়ার সাহেবের কথাটা বলা আবশ্যক, "কোন দেশের নিয়তি নির্ভর করে সেই দেশের শাসক কতটুকু পেটের পীড়াগ্রস্ত তার উপর"।
আকাশলোকের বাসিন্দার সময় কোথায়, তিনি [১] কেবল অনন্ত ভ্রমনেই আনন্দ পান! তো, লজ্জার মাথা খেয়ে আমাদের এটা স্বীকার না-গিয়ে উপায় কী, এ গ্রহের শাসক হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তার পেটে গোলমাল থাকলে তো সর্বনাশ! কোন এক লেখায় ফান করে লিখেছিলাম, বুশ ব্যাটা নাকি ওয়াশরুমে একবার গেলে আর বের হত না; একটু পর পর হাউজ ফোনে লাদেন কোথায় এটা জানতে চাইত :)।
এ রাইসকে আবার ঘটা করে চিরকুট লিখত, "আই নিড আ বাথরুম ব্রেক, ইজ দিস পসিবল"?
তাই বেলের শরবতের উপর জোর দিচ্ছি। বেলের শরবতেরই [২] উপর আমাদের গোটা গ্রহের কর্মফল নির্ভর করে :)!
কিন্তু হোয়াইট হাউজের শেফের উপর আমার ভারী রাগ। ওখানে অবশ্য শেফ পাঁচজন, কে এই কান্ডটা করছে এটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আমাদের দেশের চৌকশ গোয়েন্দাদের দেয়া যেতে পারে। ওবামাকে প্রতি দমে দমে বেলের শরবত খাওয়ালে হবে না তো, বাওয়া! প্রত্যেকটা জিনিসেরই সাইড এফেক্ট-কুফল আছে। কে জানে, অতিরিক্ত বেলের শরবত খেলে হয়তো পেট নেমে যায়। লিখতে চেয়েছিলাম, বদনা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয় কিন্তু আফসোস, আমেরিকায় সম্ভবত বদনার চল নাই!
অতিরিক্ত দাস্তের প্রভাব মানুষের প্রাণশক্তি কেড়ে নেয়, শিরদাঁড়া বাঁকা হয়ে যায়। জি নিউজের এই ছবিটার দিকে তাকালে ইহাতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে...।
*ছবিঋণ: 'জি নিউজ', এএফপি
**স্কেচ: শিশিরের কার্টুন দেখে আঁকার অপচেষ্টা
সহায়ক সূত্র:
১. সাদা বাড়িতে কালো অতিথি: http://www.ali-mahmed.com/2008/11/blog-post_06.html
২. তিনি: http://www.ali-mahmed.com/2009/09/blog-post_18.html
৩. বেলের সরবত: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_289.html
আমার তীব্র চাওয়া ছিল, এই গ্রহের হাল এমন একটা মানুষ ধরুক, যে মানুষটা বুশের মত বদ্ধ উম্মাদ না। বুশ মানসিক রোগে ভুগছে, 'অ্যাটেনশন ডেফেশিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার'। বানচোতটাকে সারফেস উচু করতে বলা হলে সে সব মেরে সাফ করে লাশ বিছিয়ে, কবর বানিয়ে, হলদে দাঁত বের করে বলবে, 'বাস, অনেক পরিশ্রম হইল'!
আচ্ছা, ভাল কথা, ওবামাকে আমরা কালো মানুষ বলি কেন? ওই দেশে কী চুতিয়া 'ফেয়ার এন্ড লাভলি' নাই? এরা ওবামাকে নিয়ে এড দেয় না কেন?
যাগ গে, ওবামার যেটা আমার বড়ো ভাল লাগে মানুষটার মধ্যে আলগা ভান জিনিসটা নাই। তাঁর গরিব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের তিনি ভোলেননি, স্বীকার করতে কোন লাজ নাই। মানুষটা তাঁর শেকড়কে প্রাণপনে আঁকড়ে থাকেন। উন্নত বিশ্বে এটার চল নাই, অচল!
তাঁর শেফের সঙ্গে আমার কথা হয়নি কিন্তু আমি নিশ্চিত, ওবামার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত বেলের শরবত থাকে। পেট ঠান্ডা তো সব ঠান্ডা! চর্বিতচর্বণ কিন্তু ভলতেয়ার সাহেবের কথাটা বলা আবশ্যক, "কোন দেশের নিয়তি নির্ভর করে সেই দেশের শাসক কতটুকু পেটের পীড়াগ্রস্ত তার উপর"।
আকাশলোকের বাসিন্দার সময় কোথায়, তিনি [১] কেবল অনন্ত ভ্রমনেই আনন্দ পান! তো, লজ্জার মাথা খেয়ে আমাদের এটা স্বীকার না-গিয়ে উপায় কী, এ গ্রহের শাসক হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তার পেটে গোলমাল থাকলে তো সর্বনাশ! কোন এক লেখায় ফান করে লিখেছিলাম, বুশ ব্যাটা নাকি ওয়াশরুমে একবার গেলে আর বের হত না; একটু পর পর হাউজ ফোনে লাদেন কোথায় এটা জানতে চাইত :)।
এ রাইসকে আবার ঘটা করে চিরকুট লিখত, "আই নিড আ বাথরুম ব্রেক, ইজ দিস পসিবল"?
তাই বেলের শরবতের উপর জোর দিচ্ছি। বেলের শরবতেরই [২] উপর আমাদের গোটা গ্রহের কর্মফল নির্ভর করে :)!
কিন্তু হোয়াইট হাউজের শেফের উপর আমার ভারী রাগ। ওখানে অবশ্য শেফ পাঁচজন, কে এই কান্ডটা করছে এটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আমাদের দেশের চৌকশ গোয়েন্দাদের দেয়া যেতে পারে। ওবামাকে প্রতি দমে দমে বেলের শরবত খাওয়ালে হবে না তো, বাওয়া! প্রত্যেকটা জিনিসেরই সাইড এফেক্ট-কুফল আছে। কে জানে, অতিরিক্ত বেলের শরবত খেলে হয়তো পেট নেমে যায়। লিখতে চেয়েছিলাম, বদনা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয় কিন্তু আফসোস, আমেরিকায় সম্ভবত বদনার চল নাই!
অতিরিক্ত দাস্তের প্রভাব মানুষের প্রাণশক্তি কেড়ে নেয়, শিরদাঁড়া বাঁকা হয়ে যায়। জি নিউজের এই ছবিটার দিকে তাকালে ইহাতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে...।
*ছবিঋণ: 'জি নিউজ', এএফপি
**স্কেচ: শিশিরের কার্টুন দেখে আঁকার অপচেষ্টা
সহায়ক সূত্র:
১. সাদা বাড়িতে কালো অতিথি: http://www.ali-mahmed.com/2008/11/blog-post_06.html
২. তিনি: http://www.ali-mahmed.com/2009/09/blog-post_18.html
৩. বেলের সরবত: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_289.html
No comments:
Post a Comment