অসমসাহসি দুলা মিয়া (তাঁর প্রতি সালাম)-কে নিয়ে লিখতে গিয়ে আমি লিখেছিলাম, আমরা দুধ বিক্রি করে শুটকি খাওয়া জাতি। এখন বলি, আমরা চাউল বিক্রি করে কফের সিরাপ (ফেন্সিডিল) খাওয়া জাতি!
দুলা মিয়াকে নিয়ে যে লেখাটা লিখেছিলাম, আমার ক্ষীণ আশা ছিল, কেউ-না-কেউ এগিয়ে আসবেন। অন্তত তাঁর কবরটা চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করবেন। ক-কোটি টাকা লাগে একজন অগ্নিপুরুষের কবর চিহ্নিত করতে? কোটি লাগে না? তাহলে লাখ, বেশি হয়ে যায়? হাজার?
এই ভিডিও ক্লিপিংস-এর শেষে এক অখ্যাত ফকিরের সমাধি আছে। তখন আমি বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছিলাম, দুলা মিয়ার নিচিহ্ন হয়ে যাওয়া কবরের পাশেই এই অখ্যাত ফকিরের কবর টিন-বেড়া দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
এখন সেই অখ্যাত ফকিরের কবরটা বাঁধাই করা হচ্ছে। এটা আরও সুদৃশ্য হবে। কালে কালে এটা কোন এক বিখ্যাত মাজারে রুপান্তরিত হবে এতে আর কোন সন্দেহ নাই। হায় মাজার, রসু মিয়াদের জন্য মাজারের বড়ো প্রয়োজন!
*কথিত মাজারের ছবিঋণ: দুলাল ঘোষ
**দুলা মিয়ার ছবিঋণ (সাদা-কালো): তিতাসের কাগজ, আখাউড়া
এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Wednesday, December 16, 2009
আমরা চাউল বিক্রি করে কফের সিরাপ খাওয়া জাতি!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment