একজন কবি কেমন করে শব্দের বোমা ফাটান এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ গীনসবার্গ।
এই মার্কিন কবি লিখলেন:
এই মার্কিন কবি লিখলেন:
"...America when will you end the human war?Go fuck yourself with atom bombI don't feel good don't bother me."(America: Allen Ginsberg)
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর সেই বিখ্যাত কবিতা:
"...millions of fathers in rainmillions of mothers in painmillions of brothers in woemillions of sisters nowhere to go."(september on Jessore road)
বিট ঘরানার এই কবি বিট ঘরানার আরেক তারকা কবি গ্রেগরী করসো দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। করসো চৌর্যবৃত্তির কারণে জেল খেটেছিলেন। যা তার কবিতায় উঠে আসে:
"I was happy I bubbly drunkThe street was darkI waved to a young policemanHe smilled..."(Second night in N. Y. C. after 3 years)
গীনসবার্গ তরুণদের মাঝে উম্মাদনা ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন ভালই। নিজে স্বঘোষিত সমকামি ছিলেন। সমকামিতা যদি জৈবিক সমস্যা না হয়ে থাকে তাহলে বলা যায় এর বিস্তারে তাঁর ভূমিকা প্রবল। গীনস যখন প্রকাশ্যে তার যুবক কবিবন্ধুর ঠোঁটে দীর্ঘ চুমু খান তখন নির্মলেন্দু গুণ বলেন, "I appreciate your feeling."
গীনস একবার আক্ষেপ করে বলছিলেন, "আমি বুঝি না মদের মত একটা বিষাক্ত জিনিস নিয়ে সমাজে আপত্তি নাই অথচ মারিজুয়ানার মত স্বর্গীয় জিনিসকে নিয়ে কেন আপত্তি করা হয়"।
তিনি নাকি ভারত চলে এসেছিলেন উৎকৃষ্ট গাঁজার লোভে। গীনসবার্গ তাঁর কবিতা লেখা নিয়ে বলেন: "শোন, যখন বুঝি কবিতা আসছে তখন গাঁজা-টাজা নিয়ে ঘর বন্ধ করে বসে যাই, চলতে থাকে মাদক গ্রহন এবং কবিতা প্রসব"।
একবার তিনি মঞ্চে কবিতা পাঠ শেষ করার পর একজন তরুণী জিজ্ঞেস করল, "মি. গিনসবার্গ, আপনার এই কবিতার অর্থ কী"?
গিন্সবার্গ বিড়বিড় করলেন, "অর্থ, আচ্ছা অর্থ"। এই বলে তিনি ট্রাউজার খুলে অসংখ্য দর্শকের সামনে দিয়ে নগ্ন হয়ে মঞ্চ থেকে নেমে এলেন।
আমি মনে করি, (এটা আমার নিজস্ব মত), একজন হুমায়ূন আহমেদ (কারণ তিনি তেলিবেলি কেউ না, লক্ষ-লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন) যখন সিগারেট হাতে প্রচ্ছদে পোজ দিয়ে ছবি তোলেন, একজন কবি যখন ড্রাগ নিয়ে মাতামাতি করেন, আমার কাছে এঁদের পোকা-পোকা মনে হয়।
গীনস একবার আক্ষেপ করে বলছিলেন, "আমি বুঝি না মদের মত একটা বিষাক্ত জিনিস নিয়ে সমাজে আপত্তি নাই অথচ মারিজুয়ানার মত স্বর্গীয় জিনিসকে নিয়ে কেন আপত্তি করা হয়"।
তিনি নাকি ভারত চলে এসেছিলেন উৎকৃষ্ট গাঁজার লোভে। গীনসবার্গ তাঁর কবিতা লেখা নিয়ে বলেন: "শোন, যখন বুঝি কবিতা আসছে তখন গাঁজা-টাজা নিয়ে ঘর বন্ধ করে বসে যাই, চলতে থাকে মাদক গ্রহন এবং কবিতা প্রসব"।
একবার তিনি মঞ্চে কবিতা পাঠ শেষ করার পর একজন তরুণী জিজ্ঞেস করল, "মি. গিনসবার্গ, আপনার এই কবিতার অর্থ কী"?
গিন্সবার্গ বিড়বিড় করলেন, "অর্থ, আচ্ছা অর্থ"। এই বলে তিনি ট্রাউজার খুলে অসংখ্য দর্শকের সামনে দিয়ে নগ্ন হয়ে মঞ্চ থেকে নেমে এলেন।
আমি মনে করি, (এটা আমার নিজস্ব মত), একজন হুমায়ূন আহমেদ (কারণ তিনি তেলিবেলি কেউ না, লক্ষ-লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন) যখন সিগারেট হাতে প্রচ্ছদে পোজ দিয়ে ছবি তোলেন, একজন কবি যখন ড্রাগ নিয়ে মাতামাতি করেন, আমার কাছে এঁদের পোকা-পোকা মনে হয়।
এই গ্রহে ড্রাগ নামের দানবটাকে লালন-পালন করেন কবি-গায়করা। এরা তৎকালিন প্রজন্মকে প্রভাবিত করার বিপুল ক্ষমতা রাখেন বলে অনায়াসে এই কাজটা করতে পারেন। ড্রাগস কেবল একজন তরুনকেই শেষ করে দেয় না, গোটা পরিবারটাকেই ভাসিয়ে দেয়।
আহা রে, ড্রাগ-ট্রাগ না নিলে তো আবার কবি-টবি হওয়া যায় না; কী আর করা!
আহা রে, ড্রাগ-ট্রাগ না নিলে তো আবার কবি-টবি হওয়া যায় না; কী আর করা!
গ্রেগরী করসো যখন আমাদের বাংলাদেশের লক্ষ-লক্ষ মানুষের ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু নিয়ে নির্মলেন্দু গুণের কাছে জনসমক্ষে, প্রকাশ্যে আদি রসাত্মক অতি কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে, অতি হৃদয়হীন মন্তব্য করেন, "তোমাদের দেশ তো খুব ফারটাইল, প্রতিদিন হাজার হাজার মানবসন্তানের জন্ম দিচ্ছ তোমরা। ...ছাউ ফুটানোর কাজটা তোমরা ভালই পার।"
তখন গুণ দাদার গলা দিয়ে স্বর বের হয় না। চিঁ চিঁ করে বলেন, "তা তুমি ঠিকই বলেছ, We born in billions & die in millions."
আহা, মার্কিন মুল্লুকে গুণ দাদা যে কত বড় কবি এই সার্টিফিকেটটা এদের কাছ থেকে বাগাতে হবে যে। এরাই আমাদেরকে সার্টিফিকেট বিলি করবেন, আবার মানবতাও শেখাবেন। এতে করে গুণের সামনে তাঁর মা, দেশমাকে নগ্ন করলে কী আসে যায়!
এদিকে ফার্লিংঘেট্টি আন্ডারওয়্যার নিয়ে ভাবতে ভাবতে ভোর করে দেন। বিপুল ভাবনার কবিতা প্রসব করেন:
"I didn't much sleep last nightthinking about underwear..."(Underwear: L. Ferlinghetti)
ফালিংঘেট্টি অবশ্য আন্ডারওয়্যার মাথায় বাঁধা যায় কিনা এ নিয়ে কোন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন কিনা এটা জানা যায়নি। এটা নিয়ে একটা গবেষণা হওয়া আবশ্যক! তার ভাবনায় প্রভাবিত হয়েই কিনা কে জানে মাইকেল জ্যাকসন ট্রাউজারের উপর আন্ডারওয়্যার পরা শুরু করেছিলেন কি না, এটাও জানা যায়নি। গুণ দাদা আবার এই কবিতা নিয়ে বড়ো উচ্ছ্বসিত হন। আমিও উচ্ছ্বসিত, এখন আন্ডারওয়্যার পরা ছেড়ে দেব কিনা ভাবছি।
আফসোস, এরা কখনই জানতে পারবে না একজন ছফাকে। বহিঃবিশ্বে আজ এই দেশের লক্ষ-লক্ষ সেরা সন্তানরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিন্তু অন্তত ইংরাজি ভাষায় অনুবাদ করে এই তথাকথিত মানবতাবাদি মানুষদের কাছে পরিচিত করাবার চেষ্টাও এরা করবে না। আফসোস, ছফার মত মানুষকে ধারণ করা দূরের কথা, তাঁকে নিয়ে বলার যোগ্যতাও আমাদের নাই!
গুণ দাদার খুব একটা দোষ দেই না। আহা, সাদা-লাল চামড়ার (এটা অবশ্য বর্ণবাদি কথা হয়ে গেল) কেউ আমাদের পিঠে হাত না রাখলে, সার্টিফিকেট না দিলে আমাদের বাদামি চামড়া ফ্যাকাশে হয়ে যায় যে!
আমাদের বিস্মৃত হওয়ার উপায় নেই এ গ্রহের সাহিত্য মানে মার্কিন সাহিত্য আর বাংলাদেশের সাহিত্য মানে হচ্ছে ঢাকার সাহিত্য! এর বাইরে যা আছে সবই বাচ্চার ইয়ে...।
সহায়ক সূত্র:
১. সমকামিতা...: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_3336.html
২. ছফা...: http://www.ali-mahmed.com/2009/05/blog-post_15.html
1 comment:
Well researched and critical view indeed...Thanks Mr.Mahmed.
Post a Comment