সিমপ্যাথিতে আমার বিশ্বাস আছে কিন্তু টেলিপ্যাথিতে নাই। তারপরও কেমন কেমন করে যেন কিসব হয়ে যায়। এর জন্য টেলিপ্যাথি দায়ি, না প্লাসিবো নাকি কাকতালীয় আমি জানি না।
টাকা-পয়সা ব্যতীত যা চাই কেমন কেমন করে যেন হয়ে যায়। আপনাদের অট্টহাস্যে আমার মনিটরের পর্দা কাপিয়ে লাভ নাই, পুরনো মনিটর, আমি চাই না আপনাদের হাস্যরসের কারণে বিগড়ে যাক; দুম করে বিদায় নিক।
চর্বিতচর্বণ করি না। আগেও লিখেছিলাম, সাপ খোলস দান করে, ভিমরুল, মৌমাছি, বাবুই পখি বাসা দান করে দিয়ে যায়। এতিম বাচ্চাদের হারিয়ে আবার পেয়েও যাই। মায় কোরবানির গরু পর্যন্ত কাঁদতে বাকি রাখে না।
আমার বাবা মারা যাওয়ার দিন একটা অজানা অস্থিরতা, অচেনা ভয় অনুভব করছিলাম অথচ সেদিন তাঁর শরীর অন্য দিনের তুলনায় অনেক ভালো! এর ব্যাখ্যা আজও আমার কাছে নাই। ব্যাখ্যা হয়তো আছে, আমি জানি না।
কেবল ঝামেলাটা টাকা-পয়সা সংক্রান্ত, এখানে প্লাসিবোটা হয়ে যায় নসিবো, কাকতালীয় হয় ফাঁকতালীয়! সম্ভবত আকাশীয়-অর্থমন্ত্রী আমার উপর রুষ্ট। কেন কে জানে! আকাশে তো আর ধান চাষ হয় না, আমি তাঁর পাকা ধানে মই দিয়েছি এটা জোর দিয়ে তিনি বললেও পাবলিক অন্তত বিশ্বাস করবে না।
যাক গে, টেলিপ্যাথির প্রসঙ্গটা যে কারণে বলছিলাম। আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ আছেন। চন্দ্রগ্রস্থ এই মানুষটা বিভিন্ন রকমে আমাকে চমকে দিয়েছিলেন। আমি হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম যেদিন দূরের এই মানুষটা আমার খুব গোপন একটা বেদনার দিক আলতো করে ছুঁয়ে দিয়েছিলেন। আমি ভেবে ভেবে হয়রান, কেমন করে এটা সম্ভব অথচ কত কাছের মানুষরা টেরটিও পেলেন না! একজন মানুষ তো আর যাদুকর না ইচ্ছা করলেই একটা মানুষের বেদনা চট করে বুঝে ফেলল।
এমনিতেও আমার ফাঁকা মাথায় অহেতুক-অনাবশ্যক ভাবনা চাপিয়ে দেন, মঙ্গলের পানি দিয়া আমরা কি করিব? এই টাইপের।
কাল কেন যেন হঠাৎ মনে হলো মানুষটার কি অসুখ? কেন মনে হলো আমি জানি না, মনে হলো ব্যস; জনে জনে ব্যাখ্যা দেই কেমন করে! কেবল মনে হচ্ছিল, মানুষটার হ্যালো না-বলে চলে যাওয়াটা ঠিক হচ্ছে না। এটা কোন কাজের কাজ না, বাডি।
আজ ফোন করে জানলাম ঠিকই মানুষটা বড়ো অসুখ।
সমস্যাটা কোথায়? টেলিপ্যাথি-হোমিওপ্যাথি, দূর-দূর! নাকি আমার প্রতি মানুষটার টান...? টান নামের জিনিসটা তাঁর অজান্তেই খানিকটা আমার মধ্যে ফেরত দিয়ে দিয়েছেন? কি জানি বাবা, পৃথিবীটা বড়ো রহস্যময়। হবে হয়তো বা, দেশটাই ভালো করে ঘুরে দেখিনি গোটা পৃথিবীর খবর নিয়ে বুঝি বসে আছি...।
1 comment:
এইরকম হয়। আগের দিনের মুরুব্বীদেরও দেখছি ঠিকই কোন প্রিয়জনের অমঙ্গলের আগে টের পেতো! আমার টের পাইনা, কারণ আমরা হয়তো ঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারি নাই!
Post a Comment