এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Wednesday, February 17, 2010
লেজটা লুকিয়ে রাখা আবশ্যক
কিছু কান্ড দেখে কখনও কখনও আমার ইচ্ছা করে আফ্রিকার কোন জঙ্গলে গিয়ে বাস করি। নিদেনপক্ষে এমন কোন জায়গায় যেখানে চলে কেবল জঙ্গলের আইন।
হায় সভ্যতা, এমন সভ্যতা লইয়া আমরা কী করিব?
গত দুই দিন ধরে আমাদের মহান সংসদ ভবনে দলীয়-বিরোধী দলীয় কতিপয় মহান সংসদ সদস্যদের যেসব কান্ড, যেসব ভাষার প্রয়োগ দেখছি তারপর আর সভ্য-সভ্য ভাব ধরে থাকতে ইচ্ছা করে না। ইচ্ছা করে দিগম্বর হয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করি।
এই সংসদ সদস্যারাই আমাদের জন্য আইন বানান, আইন প্রণেতা!
দেশের কতসব জটিল সমস্যা। সব বাদ দিয়ে কোন নেতার বাক্সে লাশ ছিল না, কোন নেতা এবং তাঁর সন্তানকে ট্রাকে নিয়ে যাওয়ার সময় লাশ আগুপিছু হয়েছে তাই নিয়ে একজন অন্যজনের উপর ঝাপিয়ে পড়ছেন।
বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। সব দলই একই কাজ করেছেন। এই নিয়ে নতুন করে বাতচিতে যাই না কারণ যখন যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা এই কাজটা খুব যত্মের সঙ্গে করেছেন। এই নিয়ে নতুন করে কালি খরচ করা হালের কী-বোর্ড নিয়ে কস্তাকস্তি করার কোন মানে হয় না।
কার কথা এটা ভুলে গেছি, 'ফ্রিডম' বইয়ে ব্যাবহার করেছিলাম:
"There is a thin layer between a genius and a mad man and a thinner layer between a politician and a scoundrel."
এরপর আর বলার অবকাশ থাকে না! এইসব রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আমাদের আর চাওয়ার কী থাকতে পারে? নেতা এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে পার্থক্য বোঝা যাবে কেবল এই মানুষটাকে দেখলে।
তবে জিয়া বিমানবন্দর নিয়ে যে খেলাটা খেলা হয়েছে এই নিয়ে আমার একটু কথা ছিল। পোস্টের সঙ্গে ছবিটা একটা দুর্দান্ত ছবি! শেখ হাসান নামের মানুষটার তারিফ করি। প্রথমে এই বিমানবন্দরটার নামের হ্রস্ব ই-কার উড়িয়ে দেয়া হয়েছে, জিয়া থেকে হয়েছে জয়া। আমি আরও আনন্দিত হতাম, যদি কামান দেগে এই কাজটা করা হতো। পরে আবার জিয়া হলো, এরপর জিয়া উধাও।
যাগ গে, আমার আলোচ্য বিষয় এটা না। উল্লেখ করলাম এই কারণে, এদের বুদ্ধির তারিফ করার জন্য! আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম, ভালো কথা, মন্ত্রী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন নিয়েছে, এটা নিয়ে কুতর্কে আমি যাই না। আমি কেবল জানতে চেয়েছিলাম, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কি লিখিত আকারে কোন চিঠি পেয়েছেন? যেটায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে কামান দেগে এই নাম উড়িয়ে দাও? আমি নিশ্চিত, লিখিত নির্দেশ এখনও পৌঁছেনি কারণ মাত্র মন্ত্রীসভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এটার প্রসেস করতেও তো সময়ের প্রয়োজন। তাহলে?
এই কাজটা লিখিত নির্দেশ পাওয়ার পর করলে কি বিমান বন্দরের উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ত? নাকি দু-চারটা বিমান গোত্তা খেতে খেতে বিমানবন্দরের উপর উল্টে পড়ত! লিখিত নির্দেশ না আসা অবধি এই সময়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা গেল না, না?
আমরা শুধুশুধু রাজনীবিদদের দোষ দেই এদের শিক্ষা কম ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু এইসব গামলা নামের আমলা, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এঁরা তো অতি শিক্ষিত। অনেকগুলো পাশ দিয়ে এইসব জায়গায় চেয়ারের পেছনে তোয়ালে ঝুলিয়ে বসেছেন। তাহলে? আফসোস, এইসব অতি শিক্ষিত মানুষদের যখন বাথরুম উদ্বোধন করার প্রয়োজন হয় তখন বুকের গভীর থেকে ঠান্ডা শ্বাস বেরিয়ে আসে আহা, এরা লেজটা কেন লুকিয়ে রাখেন না।
ছবি সূত্র: শেখ হাসান, কালের কন্ঠ ১৭.০২.১০
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment