গতকালের প্রথম আলোর প্রতিবেদনে যে ভুলের মিছিল ছাপা হয়েছে, বিশেষ করে আমার নাম; আমি এই গোপন ইচ্ছা পোষণ করি না এরা ভুল স্বীকার করবেন। এই চল এরা চালু করেননি, মিডিয়াঈশ্বর বলে কথা! এদের এই ভাবনা কখনও আসবে না, পত্রিকায় সব সময়ের জন্য প্রথম পাতায় এক কলাম এক ইঞ্চির একটা বক্স থাকবে যেখানে নিয়মিত ভুল স্বীকার করা হবে।
কিন্তু এর প্রতিবেদক তাঁর ভুল স্বীকার করে মন্তব্য করেছেন। তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ। আমি মুগ্ধ তাঁর ভুল স্বীকার করার সাহস দেখে।
ক-দিন আগে আমি নিজেও বড় ধরনের একটা ভুল করেছি। এই লজ্জা কোথায় রাখি, কাকে বলি!
গতকালের প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনে ২টা মন্তব্য আছে। বিভিন্ন কারণে ওই মন্তব্য এখানে কোট করতে ইচ্ছা করছে না।
দু-জনই মন্তব্য করেছেন, কবি দাউদ হায়দারকে নিয়ে আমার এই লেখাটার সূত্র ধরে। এরা দুজনই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই লেখাটার মাধ্যমে আমি দাউদ হায়দারের প্রতি গ্যালন গ্যালন ... দিচ্ছি।
কেন? কারণ তিনি আমার পক্ষে 'দ্য ববস'-এর এই সম্মানটাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন।
মূল বক্তব্য, তিনি ডয়েচে ভেলের সঙ্গে যুক্ত। ডয়েচে ভেলের 'দ্য ববস' প্রতিযোগীতাটাকে দাউদ হায়দার আমার পক্ষে প্রভাবিত করেছেন, এই কারণে তাঁর প্রতি আমার গদগদে বিনীত নিবেদন এই লেখায়।
হা ঈশ্বর!
দাউদ হায়দারকে নিয়ে এর পূর্বে আমি লিখেছিলাম, দাউদ হায়দার, তোমার কাছে খোলা চিঠি। ওটা লেখা হয়েছিল মার্চ ১১, ২০১০। ওখানে একটা বাক্য ছিল এমন, 'তুমি যেখানে থাকো...'। ওই লেখাটা লেখার সময় আমি নিশ্চিত ছিলাম না, দাউদ হায়দার কি জার্মানিতেই? ঠিক হাতের নাগালে প্রয়োজনীয় উপাত্ত না থাকলে আমি পারতপক্ষে লিখতে চাই না কারণ আমার ভয়াবহ রকমের বাজে স্মৃতি। তাই লিখলাম, 'তুমি যেখানে থাকো'। আমার তখন মনে হচ্ছিল, কবি জার্মানি নাকি দুম করে সাইবেরিয়া চলে গেছেন? কিছুই তো জানি না, গেলে লিখে বিপদ হয়ে যাব।
তারও আগে দাউদ হায়দারকে নিয়ে লিখেছিলাম, দাউদ হায়দার, শুভ জন্মদিন বলি কোন মুখে। ওই লেখাটা লেখা হয়েছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯। তাঁকে নিয়ে আরও কিছু লেখা আমি লিখেছি এই মুহূর্তে লিংক দিতে পারছি না বলে আমি দুঃখিত।
বেশ-বেশ। 'দ্য ববস' এর এই সম্মানটা বাগাবার জন্য আমি ১ বছর পূর্বেই ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। এবং তখন থেকেই ডয়েচে ভেলেকে বাংলা ভাষা যোগ করার জন্য আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের দিয়ে লবিং করিয়েছি, মানুষটা হতে পারেন ক্লিনটন। আমি নিজের কাজে নিজেই মুগ্ধ! তাহলে 'দ্য ববস'-এ বাংলা ভাষা যোগ করার জন্য আমাকে আরেকটা সম্মান দেয়া উচিত। কবে পাচ্ছি এটা?
এই অতি জ্ঞানীদের(!) কল্যাণেই আমার জানা হলো, দাউদ হায়দার ডয়েচে ভেলের সঙ্গে যুক্ত। লাল সালাম জিনিসটা কি এটা আমার ভালো জানা নাই কিন্তু সবাই লিখে আমি বাদ থাকি কেন? দাউদ হায়দার, আপনাকে আমার লাল সালাম। তিনি এর হকদার- মানুষটা এমন শক্তিধর একজন, তাঁকে এটা না বলে উপায় কী! তিনি বিচারকদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন, যেমন রাখেন যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও!
যাগ গে, অনেকটা সময় ব্লগিং এর সুবাদে এইসব অতি জ্ঞানীদের(!) সম্বন্ধে জানা হয়ে গেছে, এই নিয়ে আমি কাতর না।
তবলার ঠুকঠাক শেষ, এবার গলা ছেড়ে গান গাওয়ার পালা। আজ আমার ব্যাক্তিগত কাজে আমি তখন কোর্ট-রুমে । ক্লান্তি, উদ্বেগ, অসহনীয় সময়টা পার করছি সেল ফোনে এটা-ওটা দেখে। একজন একটা মেইল পাঠালেন, প্রথম আলোতে এই মন্তব্যের সূত্র ধরে। আমি গা করিনি। কারণ আমার ধারণা হলো, এটা 'প্রথম আলো ব্লগ'-এর ওই লেখার রেশ ধরে মন্তব্য। এই নিয়ে মাথা ঘামাবার প্রয়োজন পড়ে না কারণ কমিউনিটি ব্লগে সবার হাতেই একটা করে ক্ষুর থাকে- কেউ আপেল কেটে খায়, কেউ অন্যের গলায় পোঁচ দেয়। যে গালিটা আমরা বাসায় দিতে পারি না সেটা এখানে এসে দেই, দিয়ে হালকা হই, এ নতুন কিছু না!
পরে কম্পিউটারে বিস্তারিত দেখে আমি হতভম্ব। এটা প্রথম আলো পত্রিকার 'কম্পিউটার প্রতিদিন'-এ ছাপা এই প্রতিবেদনের মন্তব্য। এই প্রতিবেদনের সঙ্গে দাউদ হায়দারকে নিয়ে আমার লেখার কী সম্পর্ক? গভীর অন্ধকারে যাই না কেবল অন্ধকার নিয়েই কথা বলি।
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, কেউ এমনটা মন্তব্য করলেন, ব্যস, প্রথম আলো সঙ্গে সঙ্গে ছাপিয়ে দিল? এতো উদার কবে থেকে হলেন এরা? মানলাম প্রথম আলোর মনটা বড়ো ন-রো-ম! কিন্তু এরা কী একবারও দেখলেন না এই প্রতিবেদনের সঙ্গে এই মন্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত?
পার্বত্য চট্টগ্রামের হানাহানি সংক্রান্ত খবরে কেউ যদি মন্তব্য করে, বারাক ওবামা এবং মতিউর রহমান একই ব্যক্তি, এটা কি ছাপা হবে? এটা যিনি দেখেন তার হার্ডডিস্ক নামের মস্তিষ্ক নিমিষেই চালু হবে। মানুষটা তখন বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ফালা ফালা করে দেখবে যে বারাক ওবামা যখন শপথ নিচ্ছিলেন তখন মতিউর রহমান জেনারেলদের সঙ্গে মিটিং করছিলেন। অতএব ইহাতে প্রমাণিত হয় যে, বারাক ওবামা এবং মতিউর রহমান একই ব্যক্তি নন। ভুল করে ছাপা হয়ে গেলেও ডিলিট নামের একটা অপশন থাকে।
আমাকে খাটো করতে গিয়ে এই দেশের অভাগা সন্তান দাউদ হায়দারের প্রতি যে আরেকটা ভয়াবহ অন্যায় করা হলো এই প্রেক্ষিতে আমি বলি, হে পরম করুণাময় এদের ক্ষমা করো।
আমি জানি না এঁরা আধ জবাই পশু দেখেছেন কি না? এদের যেন কোন দিন দাউদ হায়দারের মত অন্য ভুবনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না হয়। এই মানুষটা যখন দেশ ছেড়েছিলেন তখন তাঁর বয়স কত হবে, উনিশ-কুড়ি।
আমার স্পষ্ট বক্তব্য, একটা রাষ্ট্র তার সন্তানকে কারাগারে আটকে রাখতে পারে, মেরে ফেলতে পারে কিন্তু এমন শাস্তি দিতে পারে না। এটা দাউদ হায়দার, না তসলিমা নাসরিন তাতে কিছুই যায় আসে না।
আমার মত অতি সামান্য একজন মানুষ দাউদ হায়দারকে নিয়ে লেখার কারণে আপনারা কাকে রক্তাক্ত করছেন?
আমি তো এই সব লেখা দাউদ হায়দারের জন্য লিখছি না, লিখছি নিজের জন্য। আমি যখন চোখ বন্ধ করে দাউদ হায়দারের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করি, তখন পাগল-পাগল লাগে। আজ আমি পরম করুণাময়ের কাছে চাইব, দয়া করো, আমাকে এখনই মৃত্যু দাও, দাউদ হায়দারের এই অন্য ভুবনের শাস্তি দিয়ো না।
প্রথম আলো নামের মিডিয়া ঈশ্বরের হাতে আছে ব্রক্ষ্ণাস্ত্র। কখনো দেখলাম না এই অভাগা মানুষটার জন্য ঝাপ দিতে। কেন? আপনারা ভেবেছেন এটা তো আমাদের সমস্যা না। আপনার হয়তো বিস্মৃত হয়েছেন, আরিফুর রহমানের কার্টুন নিয়ে? আপনাদের পাশে তখন কিন্তু অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আজ আপনারা গোটা দেশবাসীকে শপথ করাবার সুযোগ পাচ্ছেন। আমাদের লম্বা লম্বা জ্ঞান দিচ্ছেন।
আমার পছন্দের একটা লেখা দিয়ে শেষ করি,
"...First they came for the jews. I was silent. I was not a jew. Then they came for the communists. I was silent. I was not a communist. Then they came for the trade unionists. I was silent. I was not a trade unionist. then they came for me. There was no one left to speak for me". (Martin Niemoller)
কিন্তু এর প্রতিবেদক তাঁর ভুল স্বীকার করে মন্তব্য করেছেন। তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ। আমি মুগ্ধ তাঁর ভুল স্বীকার করার সাহস দেখে।
ক-দিন আগে আমি নিজেও বড় ধরনের একটা ভুল করেছি। এই লজ্জা কোথায় রাখি, কাকে বলি!
গতকালের প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনে ২টা মন্তব্য আছে। বিভিন্ন কারণে ওই মন্তব্য এখানে কোট করতে ইচ্ছা করছে না।
দু-জনই মন্তব্য করেছেন, কবি দাউদ হায়দারকে নিয়ে আমার এই লেখাটার সূত্র ধরে। এরা দুজনই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই লেখাটার মাধ্যমে আমি দাউদ হায়দারের প্রতি গ্যালন গ্যালন ... দিচ্ছি।
কেন? কারণ তিনি আমার পক্ষে 'দ্য ববস'-এর এই সম্মানটাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন।
মূল বক্তব্য, তিনি ডয়েচে ভেলের সঙ্গে যুক্ত। ডয়েচে ভেলের 'দ্য ববস' প্রতিযোগীতাটাকে দাউদ হায়দার আমার পক্ষে প্রভাবিত করেছেন, এই কারণে তাঁর প্রতি আমার গদগদে বিনীত নিবেদন এই লেখায়।
হা ঈশ্বর!
দাউদ হায়দারকে নিয়ে এর পূর্বে আমি লিখেছিলাম, দাউদ হায়দার, তোমার কাছে খোলা চিঠি। ওটা লেখা হয়েছিল মার্চ ১১, ২০১০। ওখানে একটা বাক্য ছিল এমন, 'তুমি যেখানে থাকো...'। ওই লেখাটা লেখার সময় আমি নিশ্চিত ছিলাম না, দাউদ হায়দার কি জার্মানিতেই? ঠিক হাতের নাগালে প্রয়োজনীয় উপাত্ত না থাকলে আমি পারতপক্ষে লিখতে চাই না কারণ আমার ভয়াবহ রকমের বাজে স্মৃতি। তাই লিখলাম, 'তুমি যেখানে থাকো'। আমার তখন মনে হচ্ছিল, কবি জার্মানি নাকি দুম করে সাইবেরিয়া চলে গেছেন? কিছুই তো জানি না, গেলে লিখে বিপদ হয়ে যাব।
তারও আগে দাউদ হায়দারকে নিয়ে লিখেছিলাম, দাউদ হায়দার, শুভ জন্মদিন বলি কোন মুখে। ওই লেখাটা লেখা হয়েছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯। তাঁকে নিয়ে আরও কিছু লেখা আমি লিখেছি এই মুহূর্তে লিংক দিতে পারছি না বলে আমি দুঃখিত।
বেশ-বেশ। 'দ্য ববস' এর এই সম্মানটা বাগাবার জন্য আমি ১ বছর পূর্বেই ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। এবং তখন থেকেই ডয়েচে ভেলেকে বাংলা ভাষা যোগ করার জন্য আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের দিয়ে লবিং করিয়েছি, মানুষটা হতে পারেন ক্লিনটন। আমি নিজের কাজে নিজেই মুগ্ধ! তাহলে 'দ্য ববস'-এ বাংলা ভাষা যোগ করার জন্য আমাকে আরেকটা সম্মান দেয়া উচিত। কবে পাচ্ছি এটা?
এই অতি জ্ঞানীদের(!) কল্যাণেই আমার জানা হলো, দাউদ হায়দার ডয়েচে ভেলের সঙ্গে যুক্ত। লাল সালাম জিনিসটা কি এটা আমার ভালো জানা নাই কিন্তু সবাই লিখে আমি বাদ থাকি কেন? দাউদ হায়দার, আপনাকে আমার লাল সালাম। তিনি এর হকদার- মানুষটা এমন শক্তিধর একজন, তাঁকে এটা না বলে উপায় কী! তিনি বিচারকদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন, যেমন রাখেন যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও!
যাগ গে, অনেকটা সময় ব্লগিং এর সুবাদে এইসব অতি জ্ঞানীদের(!) সম্বন্ধে জানা হয়ে গেছে, এই নিয়ে আমি কাতর না।
তবলার ঠুকঠাক শেষ, এবার গলা ছেড়ে গান গাওয়ার পালা। আজ আমার ব্যাক্তিগত কাজে আমি তখন কোর্ট-রুমে । ক্লান্তি, উদ্বেগ, অসহনীয় সময়টা পার করছি সেল ফোনে এটা-ওটা দেখে। একজন একটা মেইল পাঠালেন, প্রথম আলোতে এই মন্তব্যের সূত্র ধরে। আমি গা করিনি। কারণ আমার ধারণা হলো, এটা 'প্রথম আলো ব্লগ'-এর ওই লেখার রেশ ধরে মন্তব্য। এই নিয়ে মাথা ঘামাবার প্রয়োজন পড়ে না কারণ কমিউনিটি ব্লগে সবার হাতেই একটা করে ক্ষুর থাকে- কেউ আপেল কেটে খায়, কেউ অন্যের গলায় পোঁচ দেয়। যে গালিটা আমরা বাসায় দিতে পারি না সেটা এখানে এসে দেই, দিয়ে হালকা হই, এ নতুন কিছু না!
পরে কম্পিউটারে বিস্তারিত দেখে আমি হতভম্ব। এটা প্রথম আলো পত্রিকার 'কম্পিউটার প্রতিদিন'-এ ছাপা এই প্রতিবেদনের মন্তব্য। এই প্রতিবেদনের সঙ্গে দাউদ হায়দারকে নিয়ে আমার লেখার কী সম্পর্ক? গভীর অন্ধকারে যাই না কেবল অন্ধকার নিয়েই কথা বলি।
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, কেউ এমনটা মন্তব্য করলেন, ব্যস, প্রথম আলো সঙ্গে সঙ্গে ছাপিয়ে দিল? এতো উদার কবে থেকে হলেন এরা? মানলাম প্রথম আলোর মনটা বড়ো ন-রো-ম! কিন্তু এরা কী একবারও দেখলেন না এই প্রতিবেদনের সঙ্গে এই মন্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত?
পার্বত্য চট্টগ্রামের হানাহানি সংক্রান্ত খবরে কেউ যদি মন্তব্য করে, বারাক ওবামা এবং মতিউর রহমান একই ব্যক্তি, এটা কি ছাপা হবে? এটা যিনি দেখেন তার হার্ডডিস্ক নামের মস্তিষ্ক নিমিষেই চালু হবে। মানুষটা তখন বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ফালা ফালা করে দেখবে যে বারাক ওবামা যখন শপথ নিচ্ছিলেন তখন মতিউর রহমান জেনারেলদের সঙ্গে মিটিং করছিলেন। অতএব ইহাতে প্রমাণিত হয় যে, বারাক ওবামা এবং মতিউর রহমান একই ব্যক্তি নন। ভুল করে ছাপা হয়ে গেলেও ডিলিট নামের একটা অপশন থাকে।
আমাকে খাটো করতে গিয়ে এই দেশের অভাগা সন্তান দাউদ হায়দারের প্রতি যে আরেকটা ভয়াবহ অন্যায় করা হলো এই প্রেক্ষিতে আমি বলি, হে পরম করুণাময় এদের ক্ষমা করো।
আমি জানি না এঁরা আধ জবাই পশু দেখেছেন কি না? এদের যেন কোন দিন দাউদ হায়দারের মত অন্য ভুবনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না হয়। এই মানুষটা যখন দেশ ছেড়েছিলেন তখন তাঁর বয়স কত হবে, উনিশ-কুড়ি।
আমার স্পষ্ট বক্তব্য, একটা রাষ্ট্র তার সন্তানকে কারাগারে আটকে রাখতে পারে, মেরে ফেলতে পারে কিন্তু এমন শাস্তি দিতে পারে না। এটা দাউদ হায়দার, না তসলিমা নাসরিন তাতে কিছুই যায় আসে না।
আমার মত অতি সামান্য একজন মানুষ দাউদ হায়দারকে নিয়ে লেখার কারণে আপনারা কাকে রক্তাক্ত করছেন?
আমি তো এই সব লেখা দাউদ হায়দারের জন্য লিখছি না, লিখছি নিজের জন্য। আমি যখন চোখ বন্ধ করে দাউদ হায়দারের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করি, তখন পাগল-পাগল লাগে। আজ আমি পরম করুণাময়ের কাছে চাইব, দয়া করো, আমাকে এখনই মৃত্যু দাও, দাউদ হায়দারের এই অন্য ভুবনের শাস্তি দিয়ো না।
প্রথম আলো নামের মিডিয়া ঈশ্বরের হাতে আছে ব্রক্ষ্ণাস্ত্র। কখনো দেখলাম না এই অভাগা মানুষটার জন্য ঝাপ দিতে। কেন? আপনারা ভেবেছেন এটা তো আমাদের সমস্যা না। আপনার হয়তো বিস্মৃত হয়েছেন, আরিফুর রহমানের কার্টুন নিয়ে? আপনাদের পাশে তখন কিন্তু অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আজ আপনারা গোটা দেশবাসীকে শপথ করাবার সুযোগ পাচ্ছেন। আমাদের লম্বা লম্বা জ্ঞান দিচ্ছেন।
আমার পছন্দের একটা লেখা দিয়ে শেষ করি,
"...First they came for the jews. I was silent. I was not a jew. Then they came for the communists. I was silent. I was not a communist. Then they came for the trade unionists. I was silent. I was not a trade unionist. then they came for me. There was no one left to speak for me". (Martin Niemoller)
5 comments:
Prothom alo ki kichu siklo?
Apni ki p alor vondoperer chobi dekechelen? Ato golo chobi chapar dorkar chilo?
শুভ ভাই, এগুলো নিয়ে আমি মনে করি না, খুব বেশি আহত হওয়ার কিছু আছে। যাদের গাত্রদাহ হচ্ছে, তারা সংখ্যায় একেবারেই নগণ্য। আর এরা চিহ্ণিত।
প্রথম আলো কী করলো না করলো এতেও কিছু যায় আসে না। আপনি শুধু এটুকু মাথায় রাখবেন, জুরিরা ছাড়াও বিশাল একটা পাঠকগোষ্ঠী আপনাকে ভোট দিয়েছেন। আপনার যোগ্যতাই আপনাকে পুরস্কার এনে দিয়েছে। এবং এই পুরস্কার আরও অনেক বাংলাভাষী ব্লগারকে উৎসাহিত করবে নির্মোহ এবং সমৃদ্ধ ব্লগিঙে।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন, রবীন্দ্রনাথের নোবেল পাওয়ার যে-সংবাদ "নিউইয়র্ক টাইমস" এ প্রকাশিত হয়েছিলো, তাতে তাঁর নাম Babindranath বলে উল্লেখ করা হয়?
এই বঙ্গেও সমালোচনা তাঁর পিছু ছাড়েনি। সেসব সমালোচনা ব্যক্তিগত আক্রমণেরই নামান্তর। কলকাতার একটি পত্রিকা তখন প্রকাশ করে রবীন্দ্রনাথের কী কী যৌনরোগ আছে; এবং কী ভাবে তিনি সেসব বাধালেন!!
এই কথাগুলো বলার কারণটা হলো এই, সমালোচনা করাটা খুব সহজ। টাকা, মেধা কোনো কিছুই লাগে না। শুধ গালি দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেই হলো।
জাস্ট ইগনোর দেম!
পত্রিকায় দেখার সুযোগ হয়নি। একজন ছবিগুলো মেইল করেছিলেন। ভয়াবহ! আমি মনে করি না এত ছবি ছাপাবার প্রয়োজন ছিল! বিস্তারিত আলোচনায় যাই না, এটা নিয়ে আলাদা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। @Wahid
না রাহী,
আমার যেটা খারাপ লেগেছে, আমাকে খাটো করতে গিয়ে দাউদ হায়দারকে এরা টেনে নিয়ে এসেছে। এবং এর জন্য প্রথম আলো অনেকাংশে দায়ী!
Post a Comment