Search

Thursday, May 6, 2010

রক্তের দাগ- ছুঁরির দাগ

আমার পুরনো একটা পোস্ট এখানে শেয়ার করব, রি-পোস্ট। এটা আমার পছন্দের একটা লেখা। তাছাড়া এখন এটা প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। ডয়েচে ভেলের 'বেস্ট অভ দ্য ব্লগ' নিয়ে আমাকে বেশ কিছু তিক্ততার সম্মুখীন হতে হয়েছে।  
নিরিবিলিতে দু-কলম লিখতেই আমার বড়ো আনন্দ ছিল। আমি তো বলেছিই আমি পেছনের কাতারের মানুষ, হইচই আমার ভাল লাগে না। এখন আমার নিজেকে বদলে ফেলবে হবে নাকি- এখন কি আমার হাতের আঙ্গুল ৫টার স্থলে ৬টা হয়ে গেছে?

কী আশ্চর্য, এই হইচই-এর ভুবনে দেখি আমাকে এদের ভাষায় কথা বলতে হবে! সাক্ষাৎকারে [৩] বলতে হবে, এরা যেটা পাঠককে পড়াতে চান। জার্মানরা আমার ফতুয়া পরা ছবি ছাপাতে সমস্যা বোধ করে না কিন্তু আমাদের বঙ্গাল ভাইরা সমস্যা মনে করেন। এদের জন্য স্যূট-টাই পরে ছবি উঠাতে হবে নাকি? 
দৈনিক 'সমকাল' পত্রিকার [৪] এক সাংবাদিক যে ভাষায় আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন মনে হচ্ছিল আমি ওই পত্রিকায় চাকরি করি। তিনি কোত্থেকে যেন আবিষ্কার করেছেন, আমি স্থানীয় পত্রিকায় চাকরী করি। তিনি জানেন অথচ আমি জানি না। শিরোনাম দিয়েছেন "নিভৃত পল্লীর..."। "নিভৃত পল্লী"? ভাগ্যিস 'জেলে পল্লী' বলেননি! আখাউড়া একটি পৌরশহর এটা নিভৃত পল্লী কেমন করে হয়?

প্রত্যেক পত্রিকার আঞ্চলিক প্রতিনিধি আছেন। এদের সহায়তা নিলে এই সব আজগুবি তথ্য পাঠককে হজম করতে হয় না। কিন্তু ঢাকার সাংবাদিকদের আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের প্রতি আছে সীমাহীন তাচ্ছিল্য। এসি রুমে বসে নিউজ করলে যা হওয়ার কথা তাই হয়!

বাহ, কোন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে গেলে আটকে পড়তে হবে তাঁদের ছকে? কেউ কেউ আমার সম্বন্ধে বড়ো ভুল করছেন। এরা যদি আশা করে থাকেন এদের ছকে আমাকে আটকে ফেলবেন, ভুল। আপনারা যখন ভুলটা বুঝতে পারবেন তখন অনেক দেরী হয়ে যাবে। বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে আপনারা আপনাদের সাজানো-গোছানো ভুবন নিয়ে থাকুন এখানে আমাকে জড়াবার চেষ্টা করবেন না।

দুঃখিত, অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলাম, মূল প্রসঙ্গে আসি। পূর্বেও বলেছি, কমিউনিটি ব্লগিং নামের পাটাতনে দাঁড়িয়ে আজ যারা সবেগে, অবলীলায় ব্লগিং নামের গাড়ি হাঁকাচ্ছেন, তাদেরকে সবিনয়ে বলি, দীর্ঘ সময় আমি এই গাড়ির ডেইলি প্যাসেঞ্জার ছিলাম। এখানকার ভঙ্গি আমার হাতের তালুর মতোই চেনা। অনেকে আমাকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়ে তিলমাত্র বিলম্ব না করে আমাকে নিয়ে কঠিন পোস্ট দেন। আমি হাসি, খানিকটা দুঃখিতও হই কারণ এঁরা আমার সহযোদ্ধা ছিলেন। আজকাল এই সব আমাকে তেমন কাতর করে না- হাসের মত গা ঝাড়া দিয়ে ময়লা পানি ফেলে দেই।

আমাকে কয়েক জায়গায় জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ব্লগিংয়ে চ্যালেঞ্জ কি? আমি এর উত্তরে বলেছিলাম, একজন ব্লগার নামের লেখক থাকেন পুরোপুরি অরক্ষিত। একজন বেশ্যারও কিছু অধিকার আছে কিন্তু ব্লগার নামের লেখকের নাই। এটা মাথায় নিয়েই তাকে লিখতে হয়। এটাই বড়ো চ্যালেঞ্জ। কেউ কুৎসিত গালি দিলে আমি পাল্টা গালি দেই না কারণ এতে ওই মানুষটার জয়, আমার পরাজয়। তাতে করে মানুষটা আমাকে তার পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়! এতে কেউ আমাকে ভীতু-পরাজিত ভেবে পাশবিক আনন্দ পেলে আমার সমস্যা কী!

কিন্তু খুব কাছের লোকজনরা যখন আমার অর্জন, আমাকে খাটো করতে গিয়ে  আমার মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে খাটো করেন তখন আমার সহ্যাতীত মনে হয়। কেবল মনে হয় খুব কাছ থেকে ছুঁরি খাওয়ার অভিজ্ঞতা সুখকর না, তখন একজন মানুষ অন্যজনের চোখে চোখ রাভে কেমন করে? দাঁড়াবার আর কোন জায়গা থাকে না। বিশদে আর যাই না, এই পোস্টে আমার যা বলার ছিল তা বলে দিয়েছি [১] । আফসোস, এরপরও আমি বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করি, এই মানুষগুলোর এই সব নিয়ে কোন কাতরতা, বিকার নাই। আফসোস, এরা আমৃত্যু বদলাবে না। আবার আমাকে ভাই বলে সম্বোধন করে। এই গালিটা তো আরও ভয়াবহ, শিট! 

সালটা ২০০৬। তখন শুভ নিকে মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে বেশ কিছু কঠিন লেখা লিখছিলাম তখন। ভার্চুয়াল শুভকে তখন কে নাগাল পায়। ভুল, আমার ধারণা ভুল ছিল! যেভাবেই হোক আমার ফোন নাম্বার ছড়িয়ে গেল। ফোনে কঠিন হুমকি আসতে লাগত, প্রাণনাশের হুমকি। আমার প্রিয়জনরা থাকতেন সত্রাসে। তারা বারবার আমাকে বলতে লাগলেন লেখা ছেড়ে দিতে। তাদের কথা আমি রাখিনি, তাদের প্রতি এটা অন্যায় হয়ে থাকলে অন্যায়। একজন আমার সন্তানের মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করতে বলেছিলেন, আমি তার কাছ থেকে পালিয়ে পালিয়ে থাকতাম। তার মন রক্ষার্থে থানায় জিডি করলাম। আমার কেবল মনে হতো, কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যায় কেউ বিছানায়- মৃত্যুকে কে আটকাতে পেরেছে!

এখন ২০১০ সালে এসে এটা খানিকটা অনুমান করা কঠিন বৈকি। তখন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির কী দবদবা! ২০১০ সালে এসে নব্য মুক্তিযোদ্ধাদের গলাবাজি করাটা আর বৈদেশে বসে বসে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লম্বা লম্বা বাতচিত করাটা অনেক সহজ।

এবার অন্য প্রসঙ্গ। ২০০৬, গভীর রাত। 'রক্তের দাগ মুছে ফেলা যায় না' লেখাটা মাত্র পোস্ট করেছি দশ মিনিটও হবে না। ফোনে যে মানুষটার গলা শুনলাম মনে হলো এ তো আমার পরিচিত। আমার মুক্তিযুদ্ধের অনেক পোস্টে তার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জ্বালাময়ী মন্তব্য আছে কিন্তু মানুষটা যখন উল্টাপাল্টা লেখা লেখোস বলে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-হুমকি দেয়া শুরু করলেন তখন আমি পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে পড়লাম। কারণ ওই মানুষটা অন্য একটা নাম বলছে অথচ গলাটা পরিচিত মনে হচ্ছে। এটা কেমন করে সম্ভব? 
এখনকার মত আধুনিক পদ্ধতি থাকলে অনায়াসে মানুষটার কথা রেকর্ড করা সম্ভব হতো কিন্তু আমি এখনও বিশ্বাস করি, যথার্থ প্রমাণ না থাকলেও এটা সেই মানুষটাই যে আমার মুক্তিযুদ্ধের লেখায় সর্বদা বলে এসেছেন, আছি আমি আপনার পাশে।
এখন এই মানুষটারই দেশপ্রেমের লেখা যখন পড়ি তখন মনে হয় লেখালেখি ছেড়ে দেই, কী হয় লেখালেখি করে! এরা রাজাকারের চেয়েও খারাপ। আমি আজ এই সব মানুষদের অভিশাপ দেই, যারা দেশমার সঙ্গে এমন কপটতা করে তাদের মৃত্যু যেন অন্তত এই দেশে না হয়। এরা দেশমার কাছ থেকে [২] দূরে থাকুক, দেশের মাটিটা পবিত্র থাকুক।

"রক্তের দাগ মুছে ফেলা যায় না!

৭৮ বছর বয়স্ক পল ত্যুভিয়ে। একজন নাৎসি দালাল।
তিনি ২য় মহাযুদ্ধের সময় হত্যার উদ্দেশ্যে ৭ জন ইহুদীকে গেষ্টাপো বাহিনীর হাতে তুলে দেন। ওই ৭ জন ইহুদী আর কোন দিন ফিরে আসেননি! তিনি সাবেক ভিচি সরকারের গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন। পল ত্যুভিয়েরের মতো যারা স্থানীয় দালাল ও সহযোগী  ছিলেন তাদের সাধারণভাবে যুদ্ধের পর ছাটাই করে রেহাই দেয়া হয়!
কিন্তু, ১৯৭১ সালে মারশেখ ওপউলস-এর ‘লা শাগ্রিন এ লা পিতি’ মুভিটি দেখে ফরাসীরা উপলব্ধি করে যে, জার্মানদের প্রতি ফ্রান্সের ভাবমূতি ছাড়াও ফরাসীদের অনেক লজ্জাকর ইতিহাস রয়েছে! জনগণ ওই সব তথ্য ঢেকে রাখার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, অথচ ১৯৭২ সালে জানা যায় যে, দালাল ত্যুবিয়েরকে প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করে দিয়েছিলেন!
১ বছর পর, মার্কিন ঐতিহাসিক রবার্ট ও প্যাক্সটনের বই ‘ভিচি ফ্রান্স ওল্ড পার্ড এন্ড নিউ অর্ডার’ পড়ে ছাত্ররা জানতে পারে, গোটা এক প্রজন্মের ইতিহাস!  জানতে পারে যে, নাৎসীদের অপরাধের সঙ্গে কিছুসংখ্যক ফরাসীও অন্যায়ের সঙ্গে কতটা তীব্র ভাবে জড়িত ছিল। বিশেষ করে নিহত ইহুদীদের সন্তান-সন্ততিদের কাছে সত্যটা লুকিয়ে রাখা হয়েছে এতাদিন!
সের্গেই কার্সফেল্ড সিদ্ধান্ত নিলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার। হোক তা ৫০ বছর পর!
(লা মদ, ফরাসী পত্রিকা অবলম্বনে, সুমনা শারমিন/ ভোরের কাগজ, ১০.০৮.৯৩)
 

(দ্য গার্ডিয়ান উইকলি/ ১৩ জুন, ১৯৯৩)
একটি ফরাসী আদালত এই মর্মে রুল জারী করেন, পল ত্যুভিয়ের-এর বিরুদ্ধে নাৎসী দালালের বিচার করা যাবে। ওই আদালত আরও বলেন: এই রুলিং, যুদ্ধাপরাধের সময়সীমা পার হয়ে গেছে বলে ত্যুভিয়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যাবে না বলে নিম্ন আদালতের যে রায় দিয়েছে তা নাকচ করা হলো। আদালত আরও নির্দেশ দেন, মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য ত্যুভিয়েরের বিচার হবে, এই অপরাধের বিচারের কোন সময়সীমা নেই!
.............................
১ম বিশ্বযুদ্ধ। ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন কিছু সেনা, পালিয়ে যাওয়ার পেছনে তাঁদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য, যুক্তি ছিল।
পরে ‘ভীরু কাপুরুষ’ নামে অভিহিত করে এসব সেনাদের ধরে এনে গুলি করে হত্যা করা হয়। কারণ দেখানো হয়, এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ! সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডের স্ট্যানফোর্ডসায়ারের ন্যাশনাল মেমোরিয়াল আরবোরেটামে এঁদের সমাধিস্থল আছে।
দীর্ঘদিন ধরে এসব সেনাদের আত্মীয়স্বজনরা, নাতিপুতিরা জোর তদ্বির করে আসছিলেন এটা প্রতিষ্ঠিত করতে, ওইসব সেনারা কোন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেননি। সমপ্রতী, বুধবার (চলতি মাস/ অগাস্ট, ’০৬) বৃটিশ সরকার ঘোষণা করেছে তাদের অপরাধ ক্ষমার যোগ্য!!
.............................
আমি মনে করি, ঘুষখোরকে ঘোষখোর বলা হবে। সে ঘুষের পয়সায় ৩ কোটি টাকা দামের পোরসে হাঁকায়, না ঠেলাভ্যান; তাতে কি! ঘুষখোরকে কেন এ দেশের সরকার লালন করছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন, এটা আমাদের আলোচ্য বিষয় না! আমাদের আজকাল ঘুষখোরদের নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নাই। সামান্য চাকুরে একজনের ঢাকায় কয়েকটা বাড়ি; কেউ জানতে চাচ্ছে না, কোন আলাদিনের চেরাগ তার হাতে। অবলীলায় আমরা তাদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করছি, দিনে চৌদ্দবার সেলাম ঠুকছি!
 

সত্যটা হচ্ছে, আজ থেকে ১০০ বছর পরও সে যে ঘুষখোর এটা বদলে যাচ্ছে না, ১৪ বার হজ করে আসলেও! 
রাজাকার। এরা এ দেশ চায়নি, এ দেশের প্রতি যতো ধরনের অন্যায় করা সম্ভব, এরা করেছে।
আজ যদি এ দেশ স্বাধীন না হতো- কে জানে, শুভ নামের আবর্জনা ব্লগার এদের বীরত্বের ইতিহাস লিখতো, হয়তো বা! কিন্তু দূভার্গ্য, দেশটা স্বাধীন হয়ে গেছে- কেন হলো, কোটি টাকা দামের প্রশ্ন! রাজাকারদের সঙ্গে কে উঠবস করেন, কে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, তিনি কয়বার হজ করলেন, তাতে কি আসে যায়, সত্যটা তো আর পালটে যাচ্ছে না!
 

৩৫ বছর কেন, ৩৫০ বছর পরও সত্যটা এটাই থাকবে, যতো বিকৃত করা হউক না কেন, রক্তের দাগ মুছে ফেলা যায় না! ঘুষখোরকে ঘুষখোর বলব- গুখোরকে গুখোর- খুনিকে খুনি- সাদাকে সাদা, কালোকে কালো! রাজাকারকে রাজাকার বলবো- ছড়াকার না!"

১. বিবেকের সঙ্গে কথোপকথন: http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_28.html 
২. দেশমার কাছে ফেরা: http://www.ali-mahmed.com/2010/03/blog-post_9329.html 
. আদর্শ সাক্ষাৎকার: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_05.html
. সমকাল: http://www.samakal.com.bd/details.php?news=35&view=archiev&y=2010&m=04&d=24&action=main&menu_type=&option=single&news_id=61238&pub_no=316&type=

2 comments:

Anonymous said...

আপনি যে সব নব্য মুক্তিযোদ্ধা বলছেন তারা তাদের পিতার কাপুরুষত্ব ঢাকার জন্য এই সব গলাবাজী করে। চোর - বলাই - যে নামেই এরা মুখোশ পরে থাকুক না কেনো এদের সলুক খোঁজ নিলে অবশ্যই জানতে পারবেন এর পিতা কালুরুষের মতো গর্তে লুকিয়ে ছিলো একাত্তরে। বায়াত্তরে সেই কালুরুষ পিতা হয়তো মুক্তিযোদ্ধার সনদ জোগার করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সব সুফল সুবিধাবাদীর মতো ভোগ করছে। সেই কাপুরুষ নন্দন নিজ পিতার কাপুরুষত্ব ঢাকার জন্য বিশাল বিশাল গলাবাজী করে এখন। যখন তার সুযোগ ছিলো দেশে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু করবার তখন সেই কাপুরুষের বাচ্চা কিছুই করে নাই। এখন বিদেশে বসে বড় বড় কথা বলে সাধু সাজতে চায়। এই সব কাপুরুষ নন্দনদের নোংরা আচরন ও কথায় নজর দেয়া আর বেশ্যা নন্দনের কথায় আহত হওয়া একই কথা।
জামাত দোসর বিএনপির সমর্থক যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলে তখন তার ভন্ডামীই প্রকাশ পায়। দুটা টাকার লোভে এরা নিজের লেখাও বিক্রি করে রাস্তার বেশ্যা যেভাবে দেহ বিক্রি করে।

আলী মাহমেদ - ali mahmed said...

আমি বারবার বলে এসেছি, প্রবাসে যারা থাকেন এঁদের আছে দেশের জন্য আমাদের চেয়ে প্রবল আবেগ। এটা আমি এখনো বিশ্বাস করি।
কিন্তু এই আবেগের বহিঃপ্রকাশ এমন হয় কেন আমার বোধগম্য হয় না?

এরা কেন বুঝতে চান না আমরা যারা দেশে থাকি, প্রতিকূল স্রোতের বিপরীতে আমাদের সাঁতরাতে হয়। বাসা থেকে বের হলেই একজন রাজাকারের মুখোমুখি হতে হয়। হররোজ আমরা মারা যাই।

দেশে আমাদের কতশত যন্ত্রণা মাথায় নিয়ে বাঁচতে হয়। ইলেকট্রিকের যন্ত্রণায় কখনো কখনো আমার মনে হয় পা ছড়িয়ে বসে কাঁদি। অথচ জার্মানী শেষ কবে ইলেকট্রিক গিয়েছিল এটা সম্ভবত এদের নিজেদেরও মনে নেই। @Anonymous