এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Saturday, May 8, 2010
কালের কন্ঠ, এই সব চালবাজী করে লাভ কী!
দৈনিক 'কালের কন্ঠ' মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধের অসম্ভব আলোচিত একটি ছবি ছাপে। এদের কল্যাণে আমরা পাঠকরা জানলাম, ছবিটি সংগৃহিত!
এই অসম্ভব বিখ্যাত ছবিটি নাইব উদ্দিন আহমেদের তোলা। ইনি সেই মানুষ যিনি মুক্তিযুদ্ধে অন্য এক রকম অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। শত-শত স্টেনগানের চেয়েও যে অস্ত্র হাজার গুণ ভয়ংকর। তাঁর হাতে ঝলসে উঠেছিল ক্যামেরা নামের ভয়ংকর সেই অস্ত্রটি।
এমন একজন মানুষের এই ছবি [১] ছাপিয়ে যদি লেখা হয় সংগৃহিত, এটা একটা ভয়াবহ অপরাধের পর্যায়ে পড়ে! মেনে নিলাম এটা একটা ভুল ছিল। এটা ভুল হলেও অমার্জনীয় একটা ভুল। কারণ একটি পত্রিকায় শত-শত মানুষ কাজ করেন, কারও চোখে এ ভুল ধরা পড়ল না কেন? আমরা ব্লগার (এদের লেখক বলতে প্রিন্ট মিডিয়ায় ঘোর আপত্তি আছে) নামের লেখকরা যখন লিখি, আমাদের ভুল দেখে দেবার মত কেউ থাকে না। কিন্তু একটি পত্রিকায় একটা লেখা অনেক হাত ঘুরে ছাপা হয়।
বেশ, এটা ভুল ছিল। এই ভুল ধরিয়ে দিয়ে আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম [২]। ব্লগার নামের এলেবেলেদের পোস্ট পড়ার সময় স্যারদের কই! আমি এই দুরাশাও করি না, আমার পোস্ট পড়ে এরা সংশোধন করবেন অথবা আমার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন এই ছবিটা নাইব উদ্দিন আহমেদের না।
কিন্তু একজন পাঠক এদের সাইটে গিয়ে মন্তব্যাকারে তাঁর আপত্তি জানিয়েছিলেন। ওই সহৃদয় পাঠক আমার লেখার রেফারেন্সও দিয়েছিলেন। এবং ওই মন্তব্যে তিনি কালের কন্ঠের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, নাইব উদ্দিন আহমেদের ঋণ স্বীকার করার জন্য।
এটা আমার জানা হতো না কিন্তু গুগলের কল্যাণে জানা হলো। আমি এই মন্তব্যের লিংক ধরে এদের সাইটে ওই প্রতিবেদনে গিয়ে দেখলাম, ওখানে ওই পাঠকের কোন মন্তব্যই নাই।
অবশ্যই এটা কালের কন্ঠ ছাপিয়েছিল, পাঠকের মতামত আকারে এটা ছাপা হয়েছিল। এই প্রতিবেদনের সঙ্গেই এই মন্তব্যটা থাকা উচিৎ ছিল। নইলে একজন বুঝবেন কেমন করে কোন প্রতিবেদনে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে! তাহলে মন্তব্যটা গেল কোথায়?
আমি জানি না, কোন এক বিচিত্র কারণে কি মন্তব্যটা ডিলিট করা হয়েছে? হলে, কেন? এই মন্তব্য এই পত্রিকার কোন ধারায় কোন আইনটা ভেঙ্গেছে? এটা জানার বড়ো ইচ্ছা।
আরেকটা বিষয় দেখে কালের কন্ঠের চালবাজী অনেকখানি আঁচ করা গেল, সেটা হচ্ছে, এখন এই প্রতিবেদনের সঙ্গে এই ছবিটি আছে ঠিকই কিন্তু এখানে সংগৃহিত কথাটা নেই।
এমন একটা অমার্জনীয় ভুল করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। কোন পাঠক ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার পরও সেই ভুল স্বীকার না ফাজলামীর পর্যায়ে পড়ে। আর সেই পাঠকের মন্তব্য মুছে ফেলা হয়ে থাকলে সেটা নির্ঘাত শিশুসুলভ আচরণ।
এমন একজন মানুষকে, তাঁর মৃত্যুর পর আরেক মিডিয়া-ঈশ্বর প্রথম আলো বানিয়ে দিয়েছিল, আলোকচিত্রি...[৩]! এই সব শিশুরা আমাদের ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করে বলে, আকাশের দিকে তাকিয়ে এটা বলা ব্যতীত আমাদের উপায় কী, এই সব শিশুরা কবে বড়ো হবে?
সহায়ক লিংক:
১. ফটোগান: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_2292.html
২. কালের কন্ঠের তথাকথিত সংগৃহিত: http://www.ali-mahmed.com/2010/03/blog-post_6688.html
৩. প্রথম আলো, আলোকচিত্রি নাইব উদ্দিন আহমেদ: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_3458.html
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
2 comments:
Site-e nai, Chobita collected eta apni koi pailen?
এটা কাক, আ মীন কালের কন্ঠের কাছে জানতে চান, এরা ছবিটা সংগৃহিত লিখে ছাপিয়েছে কিনা? @Anonymous
Post a Comment