এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Tuesday, May 18, 2010
ছবি রঙ্গ!
ডান পাশের ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে, কতগুলো রোবট বসে আছে। রোবট বানাবার কারখানায় এর বেশী আশা করি কী করে! এটা সত্য, এরাই এই দেশের বিভিন্ন চৌকশ জায়গায় যাবে কিন্তু চৌকশ রোবট [৬] এবং চৌকশ মানুষ এদের মধ্যে অনেক ফারাক।
অনেককে বলবেন, প্রত্যেকটা জায়গার কিছু নিয়ম আছে। তা আছে, বটে! তা মধ্যের ভদ্রলোক নিয়ম ভেঙ্গে সাদা টুপি লাগিয়ে বসে আছেন কি মনে করে?
*ছবি সূত্র: প্রথম আলো
প্রথম আলোর কল্যাণে জানলাম, পুলিশ লাঠিপেটা করছে। এ নতুন কোন খবর না। খবরটা হচ্ছে, লাঠিটা...। এমন লাঠির খোঁজ আমি জানতাম না, আজ জানলাম। এমন একটা লাঠি আমার খুব প্রয়োজন।
ভাল কথা, এটা একটা দুর্দান্ত ছবি, ভঙ্গি, টাইমিং সব মিলিয়ে। ধন্যবাদটা কাকে দেব বুঝতে পারছি না, ছবিটা কি মতিউর রহমান সাহেব নিজেই উঠিয়েছেন [৪] নাকি প্রথম আলোর গুপ্ত ক্যামেরা বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা আছে। ক্যামেরা নিজে নিজেই ছবি তুলে প্রথম আলো অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছে। এমনটা হয়ে থাকলে বলতেই হয়, বাহ চমৎকার তো! আসলে কেউ কেউ কখনো বদলায় না [৩]।
*ছবি সূত্র: প্রথম আলো
কালের কন্ঠের এই ছবি দেখে আমি আক্ষরিক অর্থেই মুগ্ধ! কী অসাধারণ উল্লাস! ছবিটা উঠিয়েছেন, আবুল কাশেম হৃদয়। তাকে আমার অজস্র ধন্যবাদ।
*ছবি সূত্র: কালের কন্ঠ
'কুমিল্লার কাগজ' ছাপিয়েছে এটা। এটাও চমৎকার একটা ছবি। আমি আবারও মুগ্ধ! কী অসাধারণ উল্লাস! এই ছবিটা উঠিয়েছেন, হুমায়ূন কবির জীবন।
*ছবি সূত্র: কুমিল্লার কাগজ
এখন আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, 'কালের কন্ঠ' এবং 'কুমিল্লার কাগজ' যে দুইটা পত্রিকায় ছবিটা ছাপা হয়েছে, এই ছবি দুইটায় পার্থক্য কি? কেউ যদি কোন পার্থক্য খুঁজে বের করতে পারেন তাঁর জন্য পুরষ্কার হচ্ছে আগামী সাত দিন আমার বাসায় খাওয়া-দাওয়া (দাওয়া জিনিসটা কি এটা অবশ্য আমি নিজেও জানি না) ফ্রি।
জানি-জানি, অনেকে বলবেন, কেন রে বাপু, এমনটা কি হতে পারে না, 'কুমিল্লার কাগজ' শাহআলম সাহেবের? নাহ, কথাটায় যুক্তি আছে, হতেই পারে এমন।
শাহআলম সাহেব ক্রমশ এই দেশের সমস্ত কাগজ এবং কাগজের পাশাপাশি সুশীল মানুষদের [১] কিনে ফেলবেন।
হায় সুশীল! আমাদের দেশের নামকরা লোকজন ভালো পেমেন্ট পেলে পারেন না এমন কোন কাজ নাই। হুমায়ূন আহমেদকে কালের কন্ঠ ভালো টাকা দিচ্ছে, তিনি লিখছেন। গোলাম আজম এর চেয়ে বেশী টাকা দিলে তিনি গোলাম আজমের মুড়ির ঘন্টেও লিখবেন। কেবল পেমেন্টটা ভালো [২] হলেই হলো। এই নিয়ে কেউ আমার সঙ্গে লাগবেন বাজী?
কে জ্ঞানী, শ্রীকৃষ্ণ নাকি বলরাম [৫]? কে জ্ঞানপাপী, হুমায়ূন আহমেদ নাকি শাহআলম?
কিন্তু আমার মাথায় যেটা আসছে না, আবুল কাশেম হৃদয় এবং হুমায়ূন কবির জীবন দুইজন হুবহু একই ছবি ধারণ করেন কেমন করে? কারণ দুই জায়গা থেকে ধারণ করা ছবিতে একচুল হলেও পার্থক্য থাকতে বাধ্য। অনেকে বলতে চাইবেন, কেন রে বাওয়া, দুইজন এক স্থান থেকেই, একজন অন্যজনের উপর উঠে...। কি জানি রে বাবা, হবে হয়তো বা। কত কিছুই অজানা, কয়টার খবরই বা আমরা রাখি!
*খানিক তথ্য ঋণ: ফজলে রাব্বি
সহায়ক লিংক:
১. কালের কন্ঠ বনাম মুড়ির ঘন্ট: http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_16.html
২. ভাল পেমেন্ট: http://www.ali-mahmed.com/2008/09/blog-post_22.html
৩. কেউ কেউ কখনো বদলায় না: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_12.html
৪. এরা কখনো বদলাবে না (প্রথম আলোর এই অসভ্যতা আর কত কাল চলবে, কে জানে?): http://www.ali-mahmed.com/2009/05/blog-post_19.html
৫. জ্ঞানী: http://www.ali-mahmed.com/2009/09/blog-post.html
৬. চৌকশ রোবট: http://www.ali-mahmed.com/2010/02/blog-post_15.html
বিভাগ
সত্য কাহিনি অবলম্বনে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
2 comments:
মাহমেদ ভাই, এই আচানক ছবি মিলের কোন আপডেট পাইলে আমাদের একটু জানাইয়েন...।কি আচানক ব্যাপার ভাই...দুইজনের ক্লিক এ সেম ফডু উইঠা গেলো আর গিনেজ বুকস এর ব্যাটারা কোন ...ফালাইতাছে বুজতাসিনা!!!
ভাইরে, আমি কোত্থেকে আপডেট দেব :)।
এটা ভালো বলতে পারবে "কালের কন্ঠ" এবং "আমাদের কুমিল্লা" পত্রিকা, আমাদের মহান মিডিয়া!
আমরা ছাপার অক্ষরের সবই বিশ্বাস করি, এরা বললে এটাও বিশ্বাস না করে উপায় কী!
তবে এটা বিশ্ব-রেকর্ডে যাওয়ার মত একটা ঘটনা এতে কোন সন্দেহ নাই...।@Shameem
Post a Comment