এটা আমার ধারণা না, আমি নিশ্চিত। আমার ধারণা ভুল হতে পারে, এমনটা হলে সেটা হবে একটা ভয়াবহ ঘটনা। তাহলে সেই মগজঅলা মানুষটা আমাদের মগজ ধোলাই করার চেষ্টা করছেন।
ছবিটার ক্যাপশন 'নগর ফ্যাশন'। আমার জানার খুব ইচ্ছা, এটা নগরের কোন এলাকার ফ্যাশন? কোথায় মেয়েরা এমন কাপড় পরা শুরু করেছে? নগরের এলাকাটা চাক্ষুষ করা আবশ্যক নইলে জানার অপূর্ণতা থেকে যাবে।
এমন না কোন যে পার্টিতে কেউ এমন পোশাক পরে চলে এসেছে। প্রথম আলো বলতে চাচ্ছে, এটা ফ্যাশনের পর্যায়ে চলে গেছে। এখন নিশ্চয়ই ধনী বাবা-মার বখা সন্তানরা শপিং মলগুলোতে গিয়ে খোঁজ করা শুরু করবে, প্রথম আলোর ওই কাপড়টা দেখান তো, আরে ওই যে...। জয় হোক প্রথম আলোর!
এই ছবির সঙ্গে যে কথাগুলো জুড়ে দেয়া হয়েছে তা আরও ভয়ংকর এবং আপত্তিকর:
"এই গরমে নগরবাসীর গায়ে উঠছে পাতলা পোশাক। পোশাকের আকারও ছোট হয়ে আসছে। সম্প্রতি মাদকবিরোধী সংগঠন 'আলো' আয়োজিত এক ফ্যাশন শোতে দেখা গেল তা-ই।"
খানিকটা হতাশ হলাম মাদকবিরোধী সংগঠনের নাম 'আলো' দেখে। এখানে কি ভুল ছাপা হয়েছে? 'প্রথম'টা বাদ পড়েছে? মাদকবিরোধী সংগঠনেও আজকাল ফ্যাশন শো-র আয়োজন হয়? ভাল-ভাল! তাও আবার এমন ফ্যাশন শো? এই ফ্যাশন শো তাহলে আমাদের সংস্কৃতির অংশ?এটা সত্য, আমাদের দেশে এমন ফ্যাশন শো-র আয়োজন যে করা হয় না এমন না, হয়। কিন্তু ওই সব জায়গায় বার ওপেন থাকে, লিকারের ছড়াছড়ি ওই টাইপের ফ্যাশন শোতে নাচানাচি চলতে থাকে।
কিন্তু তাই বলে মাদকবিরোধী অনুষ্ঠানে? নাকি এখানেও ছাপার ভুল হয়েছে? আসলে হওয়ার কথা ছিল 'মাদক গ্রহন' অনুষ্ঠানে? ওখানে কারা কারা ছিলেন? যারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজক, স্পন্সর ট্রান্সটেক, প্রথম আলোর সম্পাদক এবং তার কর্মীবাহিনী? আচ্ছা, প্রথম আলোর পোষা মনোবিদ মোহিত কামাল ছিলেন না? থাকলে অবশ্য বেশ খানিকটা উত্তর পাওয়া যায়। এটাও হয়তো মনোচিকিৎসার একটা অংশ।
"এই গরমে নগরবাসীর গায়ে উঠছে পাতলা পোশাক। পোশাকের আকারও ছোট হয়ে আসছে।"
কতটা পাতলা? নগরবাসীর পোশাকের আকার কতটা ছোট হয়ে যাচ্ছে, ছবির মত? আমাদের দেশের মেয়েরা কোন রাস্তা দিয়ে এমন পোশাক পরে হাঁটছে? আমি সেই রাস্তার নাম জানতে চাই। প্লিজ, রাতে কমার্শিয়াল সেক্স ভলান্টিয়াররা যে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে দুম করে সেই রাস্তার নাম বলে বসবেন না যেন।
আমি একটা লেখায় লিখেছিলাম, সাদাকে সাদা বলিব- কালোকে কালো- ঘুষখোরকে ঘুষখোর- রাজাকারকে রাজাকার। রাজাকারকে রাজাকার বলিব, ছড়াকার না [১]। এর সঙ্গে যুক্ত হবে, চুতিয়াকে চুতিয়া বলিব, নকিয়া না।
ছবি ঋণ; প্রথম আলো, ১ আগস্ট ২০১০
সহায়ক লিংক:
১. সাদাকে সাদা বলিব: http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_18.html
12 comments:
নীতি বলেন, নৈতিকতা বলেন, ফ্যাশন বলেন- পৃথিবীজুড়ে সবকিছুই এখন নিয়ন্ত্রণ করে মিডিয়া। দেশে এই ছবির বাস্তবতা তৈরি করা হচ্ছে। অচিরেই প্রকাশ্যেই তা দেখতে পাবেন। বলা যায় নিকট ভবিষ্যতের ছবি পত্রিকার সুবাদে আাগেই দেখে গেলেন।
"এই গরমে নগরবাসীর গায়ে উঠছে পাতলা পোশাক। পোশাকের আকারও ছোট হয়ে আসছে।"
ভাগ্যিস, গরমটা আরেকটু চরম হলে প্রথম আলো তো বেকায়দায় পড়ে যেত, নগরবাসীর গায়ে তো পোশাকই থাকত না, তখন? নাঙ্গাপাঙ্গা ছবিটা ছাপত ঠিকই কিন্তু লিখতটা কী!
ভাল কথা, এটা কোন নগর? নোয়াখালী না তো :)? @মুকুল
'এই গরমে নগরবাসীর...'
মুশকিল হলো তো! ঊর্ধ্বাঙ্গের বসন তো দেখছি ব্রা, আর নিচে যেটা পরে আছে, সে তো খাঁটি সারং। টুপিপরা মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে খালি পায়ে। ঢাকার রমণীকুল আজকাল এভাবেই বেরিয়ে পড়ছেন না কি? অবশ্য কোন্ নগর, তার উল্লেখ কোত্থাও নেই, এমন কি ফ্যাশনশোটা যে কোথায় হলো, উল্লেখ নেই তারও।
আমার ধারণা, সাহাদাত সাহেব হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে প্রমোদভ্রমণে গিয়ে ছবি তুলে নিয়ে এসেছেন, তবে দেখতে কিন্তু ভালই লেগেছে! :p
"টুপিপরা মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে খালি পায়ে।"
আমাদের যে নগরটা, ঠিক কোনটা এটা অবশ্য আমার এখনও জানা নাই; এটা 'মতি ভাইয়া এন্ড কোং' ভাল বলতে পারবেন। তো আমাদের যে নগরটা, ওটা এতো ঝকঝকে-তকতকে ওখানে গা ঢাকারও প্রয়োজন হয় না, পা ঢাকারও। জুতা কোম্পানিগুলো কেবল বৈদেশে জুতা পাঠাবার জন্য বানায়।
"ঢাকার রমণীকুল আজকাল এভাবেই বেরিয়ে পড়ছেন না কি?"
অবজেকশন ওভার রূল- নগরটা ঢাকা এটা পেলেন কোথায় :)?
"সাহাদাত সাহেব হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে প্রমোদভ্রমণে গিয়ে ছবি তুলে নিয়ে এসেছেন"
এই সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রথম আলোর পাশাপাশি তিনি হয়তো হাওয়া-হাউয়াই পত্রিকারও প্রতিবেদক, মেইল করতে গিয়ে গোলমাল হয়ে গেছে :)। @সুব্রত
সুব্রত said..."ঢাকার রমণীকুল আজকাল এভাবেই বেরিয়ে পড়ছেন না কি?
আলী মাহমেদ। said..."অবজেকশন ওভার রূল- নগরটা ঢাকা এটা পেলেন কোথায় :)?"
*আরিফ জেবতিক ভাল একটা ক্লু দিলেন, যেহেতু এটা 'ঢাকায় থাকি' পাতায় ছাপা হয়েছে তাই নগরটা ঢাকা। অকাট্য যুক্তি।
আপনারটাই ঠিক। ঢাকার রমণীকুল... :)@সুব্রত
প্রথম আলো রাখা হয়না, তাই দেখাও হয়নি! আজকের ফ্যাশনশোয়ের পোষাক নগরের মেয়েরা পরবে আরো কিছুদিন পর। একসময় ফতুয়া শুধুই ফ্যাশন শো তে পড়া হতো, আজকে সেটা সাধারণ পোষাক। অনেকটা সেই ধারাবাহিকতায় ... ... ...
"...একসময় ফতুয়া শুধুই ফ্যাশন শো তে পড়া হতো, আজকে সেটা সাধারণ পোষাক। অনেকটা সেই ধারাবাহিকতায় ..."
আপনার সঙ্গে সহমত।
কিন্তু আমার আপত্তি অন্যখানে। প্রথম আলো যেটা বলতে চাইছে, এই ফ্যাশন এখনই শুরু হয়ে গেছে। এর ফল ভয়াবহ!
আমরা শুধু শুধু হিন্দি ছবির দোষ দেই। আমাদের সামাজিক অবক্ষয়, এর পেছনে থাকে এই সব প্রভাবশালী মিডিয়ার সীমাহীন প্রভাব...। @Canopus Blog
আইজউদ্দিন আপনাকে নিয়ে আমার ব্লগে পোস্ট দিয়েছে
আলী মাহমেদ হইলেন গিয়া আফনের বাংলা ব্লগের সেরা ব্লগার। উনাকে নিয়া পোষ্ট দেওনের আগে আপনের আমি ধরেন দশ মিনিট মেডিটেশন করলাম, দোয়া ইউনুস পইড়া বুকে ফু দিলাম তারপর আপনের হাত পা কাপাকাপি কইরা পোসট দিলাম। ডয়েচ বাল এওয়ার্ডের সম্মান আছে না একটা। উনি আপনের পরথম আলুর উফরে বেপক খেপা উপরের ছবির কারনে।। উনি বুইজা উঠতে পারতেসেনা এ কোন নগরের ছবি, এ কি কোন মাদক নগরীর ছবি, নাকি এ কোন বেশ্যালয়ের ছবি। উনি এ ধরনের স্বল্প পোষাকে বেপক উত্তেজনা বোধ করতেসেন, ভয় পাইতেসেন কবে চিংড়ীরা বিপনী বিতানে গিয়া এ পোষাক ক্রয় করিয়া তারপুর পরিধান করিবে। তকন আলি মাহমেদ কিভাবে ইমান আকিদা সেইফ রাইকা ব্লগিং করবেন। ঝাতির এরকম ক্রান্তি লগ্নে উনার কিসু ডয়েচ বাল এওয়ার্ড উনিং উক্তি কোট করি-
"এই গরমে নগরবাসীর গায়ে উঠছে পাতলা পোশাক। পোশাকের আকারও ছোট হয়ে আসছে।" কতটা পাতলা? নগরবাসীর পোশাকের আকার কতটা ছোট হয়ে যাচ্ছে, ছবির মত? আমাদের দেশের মেয়েরা কোন রাস্তা দিয়ে এমন পোশাক পরে হাঁটছে? আমি সেই রাস্তার নাম জানতে চাই। প্লিজ, রাতে কমার্শিয়াল সেক্স ভলান্টিয়াররা যে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে দুম করে সেই রাস্তার নাম বলে বসবেন না যেন।"
আমগো এওয়ার্ড উনিং ভাই বড়ো কৌশল কইরা বইলা দিনে এ পোষাক পতিতাগো। একজন নারী যে ধরনের পোষাক পড়ুক তাতে সে পতিতা কেমনে হয় আমগো ডয়েচ বাল এওয়ার্ড উইনার। এর মানে কি যেহেতু উপরের মাইয়ার নাভি দেকা যাইতাসে তাই তিনি নাভীর নীচের জায়গা ভাড়া দিয়া বেড়াইতেসে। মাশাল্লাহ পোষাকে পতিতা হওন যায় তা আমগো বাল ডয়েচ বাল এওয়ার্ড উইনারের আজকা ব্লগ না পড়লে জানতাম না। মাইয়ারা যদি টাইট ব্রা পইরা ওড়না ছাড়া সালুয়ারে ( নো রিলেশন টু লিজেনডারী ব্লগার সারোয়ার চৌদুরী) যায় তাইলে চামে চামে জিগামু এ আফনের রেইট কি? সাফ গেমসে যদি মাইয়াগো সুইম কম্পিটে গিয়া দেকি মাই্য়ারা সুইমিং কষ্টিউম পড়সে তাইলে তো পুরা ইদ উতসব। এগেইণ থ্যানকস টু ডয়েচ বাল এওয়ার্ড উইনার।
ডয়েচ বাল এওয়ার্ড উইনার আলী মাহমেদ আরো বলছেন
খানিকটা হতাশ হলাম মাদকবিরোধী সংগঠনের নাম 'আলো' দেখে। এখানে কি ভুল ছাপা হয়েছে? 'প্রথম'টা বাদ পড়েছে? মাদকবিরোধী সংগঠনেও আজকাল ফ্যাশন শো-র আয়োজন হয়? ভাল-ভাল! তাও আবার এমন ফ্যাশন শো? এই ফ্যাশন শো তাহলে আমাদের সংস্কৃতির অংশ?
আমগো বান্গালী/বাংলাদেশী হইতে হইবে। মাইয়ারা শাড়ী কাপড় পিণদা এসো হে বোশেখ এসো এসো গান না গাইলে আমগো সংস্কৃতির অংশ হইব কেমনে? আমরা শুধু রবীন্দ্র সংগীত শুনবো আর যদি এগুলান হিন্দুয়ানী মনে হয় তাইলে হিজাব কইরা হামদ ও নাত গাবো। তারপর গান ধরবো - রমজানের ও রোজার শেষে এলো খুশীর ইদ। এর বাইরে গিয়া কেউ যদি নিজেরে মেইন ষ্ট্রিমের বাইরে গিয়া দিস ইজ মাই সংস্কার তাইলে ডয়েচ বাল এওয়ার্ড উইনারের মতো গান ধরুম গেলো সব গেলো, ইমান আকিদা, শিশ্নের আগার ধর্ম সবই গেলো-সংস্কৃতির অংশ গেলো।
আসলে আলি মাহমেদের ছাচে এ মাইয়া দুইটা মিলেনা। মাইয়ার হইবো আজ্ঞাবহ। তারা চাপানী জোব্বা পইড়া সংকোচে এ কর্নারে হাটব। চোখ নামায়া কথা কইবো। সংস্কারের নামে ডয়েচ বালের এওয়ার্ড উইনারের বাফেরা একসময় মাইয়াগো বারা হাতা শাড়ী পড়াইয়া বসাইয়া রাকসে। মাইয়ারা ফুটবল খেলব শুইনা ষ্টেডিয়ামের সামনে হুজ্জত করসে।
ছবির ধরনের মাইয়ারা যারা চোখ উঠাইয়া কনফিডেনটলি নিজের শরীর নিয়া পা ফাক কইরা দাড়াইতে পারে তারা আমগো আলী মাহমেদের সংস্কৃতির অংশ না। আলী মাহমেদের দরকার যে মাইয়া মানুষ জোব্বা পইড়া চোখ নামায়া গ্রীবা ভাইণ্ঘা কথা কইবো- যারা আলী মাহমেদ বললে বারা হাত শাড়ী কোমরের উপরে উঠাইয়া আলী মাহমেদের চিত্ত বিনোদন করব মাগার নিজের আনন্দের জন্য হালকা পোষাক পড়লে আলী মাহমেদ গো ইমান আকিদা দাড়াইয়া যাইবো আর নগরীর নারীরা নটী হইয়া যাইবো। নগর ফ্যাশনে তাই আমরা জোব্বা পোড়া, চোখ নামানো মাইয়া মানুষ চাই কিংবা চাইর হাতি কিশোরীর বারা হাত বাসন্তী শাড়ী পইরা পয়লা ফাল্গুনের গান। এনি থিং এলস উইল নট স্যুট দ্যা ডয়েচ বাল উইনার।
আসুন ইমান আকিদা আর বান্গালী সংস্কার বাচাই।
http://www.ali-mahmed.com/2010/08/blog-post_01.html
আপনি সম্ভবত লক্ষ করেননি, আমি আগেও বলেছিলাম, প্লিজ কেউ অন্য সাইটের লেখা আমার এখানে কপি-পেস্ট করবেন না।
যার যেখানে ভাল লাগে সেখানে তার মত প্রকাশ করুক না, সমস্যার তো কিছু নাই।
এই পোস্টে যে ভাষার প্রয়োগ করা হয়েছে এই বিষয়ে নতুন করে আমার বলার নাই। আমি এক সাক্ষাৎকারে যেটা বলেছিলাম এটাই এখানে শেয়ার করি, 'কেউ ছুঁরি দিয়ে আপেল কেটে কায়, কেউ চোখ উপড়ে ফেলে; নির্ভর করছে ছুঁরিটা কার হাতে'।
আমার মতের সঙ্গে সবাই একমত হবে এমনটা আমি যেমন আশা করি না তেমনি আমি কোথাও ভুল করব না এটাও। ভুলটা ধরিয়ে দিলেই হয়, সমস্যা কোথায়?
কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে ভুল স্বীকার করতে আমার কোন লাজ নাই। এই পোস্টে টাইপে একটা ভুল করেছিলাম:http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_11.html
একজন ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছিলেন:
"মারুফ হায়দার নিপু said...বেতমজিদের হবে নাকি বেতমিজদের। বানানটা কী ঠিক আছে"
আমি সলাজে আমার ভুলটা স্বীকার করে নিয়েছিলাম:
"আলী মাহমেদ। said...আমি লজ্জিত, টাইপে ভুল করেছি। বানানটা এখুনি ঠিক করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে, ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার কারণে। @মারুফ হায়দার নিপু"
কিন্তু আমাকে নিয়ে দেয়া এই পোস্টটার উদ্দেশ্য ভুল ধরিয়ে দেয়া ছিল না, সমস্যার উৎস অন্যখানে, অনেক গভীরে প্রোথিত।
ক্রোধ মানুষকে অন্ধ করে দেয়, এর প্রমাণ এই পোস্ট। ক্রোধে অন্ধ মানুষটা যে আমার পোস্টটা ভাল করে পড়েননি বা লেখার সুরটা ধরতে পারেননি এতে কোন সন্দেহ নাই।
আমার পোস্টটার মূল সুরটা ফ্যাশন শোতে কেমন কাপড় পরা উচিত অনুচিত এ নিয়ে ছিল না। ছিল প্রথম আলোর মিথ্যাচার নিয়ে- সাদাকে কালো বলার অপচেষ্টাকে নিয়ে। এরা ছবির সঙ্গে যে কথাটা জুড়ে দিয়েছে এটা নিয়ে, যা আমি আমার পোস্টে বিস্তারিত লিখেছি:
"এই গরমে নগরবাসীর গায়ে উঠছে পাতলা পোশাক। পোশাকের আকারও ছোট হয়ে আসছে। সম্প্রতি মাদকবিরোধী সংগঠন 'আলো' আয়োজিত এক ফ্যাশন শোতে দেখা গেল তা-ই।"
আপত্তি ছিল আরেকটা জায়গায়, মাদকবিরোধী অনুষ্ঠানে এমন ফ্যাশন শো করাটা নিয়ে। মাদকবিরোধী অনুষ্ঠানে এমন ফ্যাশন শো করাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? যেমন যুক্তিযুক্ত না, বাংলা একাডেমীর একটা অনুষ্ঠানে 'ধুম মাচা দে'গান লাগিয়ে দেয়া। প্রত্যেকটা জায়গার একটা নিজস্ব ভাষা থাকে।
কোন পাব-বারে গিয়ে দুধ চাওয়াটাকে কেবল হাস্যকরই ধরা হয় না, অশ্লীলতা ধরা হয়...।
আমি অনেকখানি হতাশ, এই জন্য কেবল না যে আমাকে নিয়ে উগ্র এই পোস্টটা দেয়া হয়েছে বলে। হতাশ হয়েছি এই কারণে, পোস্টদাতা,এই মানুষটার বেশ কিছু লেখা, ভাবনা আমাকে মুগ্ধ করেছিল অখচ এই মানুষটাই আমার লেখার মূল সুরটা ধরতে পারলেন না। আফসোস, বড়ই আফসোস...@শামীম
শুভ ভাই,এইগুলারে একদম পাত্তা দিবেন না।আইজু, চোর এরা হইল ব্লগ গুন্ডা এরাই বিভিন্ন নিকে বিভিন্ন ব্লগরে অশান্ত করে।আমারব্লগে যে চোর সে সচুতে বলাই সেই বইমেলায় টিটু।হালা হগল জার্মানী,এমরিকায় থাইকা দেশ নিয়া ভাইবা কুল পায় না। এদের কাছে দেশের লিগা একশ টাকা চাইয়া দেখেন একটারেও পাইবেন না।কমেন্টগুলা আপনি পড়ছেন? আমি পইরা হাসতে হাসতে শ্যাষ। অলৌকিক হাসান পোস্টে পাচ তারা দেয় এ নাকি আবার ফিলিম বানায়।
কমেন্টগুলা পারলে পইড়েন হেভি বিনোদন পাইবেন।এদের একেজনের অনেকগুলা কইরা নিক সবমিলায়া এরা সংখ্যায় কিনতু খুব বেশী মানুষ না।দেখেন না কয়েকজন গুন্ডা মিল্লা যেমন একটা এলাকা দখলে রাখে এরাও ব্লগগুলারে এদের দখলে রাখে দাদাগীরী দেখায়।হয় এদের দলে থাকতে হইব দলে না থাকলে রাজাকার বানায়া দিব, গালি খাইতে হইব
যে মাঠ এরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, মাঠগুলো আমার পরিচিত; পরিচিত এদের খেলার ভঙ্গিও। আমার কাছে এই সব খেলা নতুন কিছু না।
এটা চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায় ওই পোস্টের উদ্দেশ্য আমার ভুল ধরিয়ে দেয়া না। নাটকের সবটা বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে! বলার আগ্রহ, সময়ও আমার কাছে নাই।
আর আগে চেষ্টা করতাম, এখন আর করি না কারণ পূর্বে কাউকে কাউকে মনে হতো অসুস্থ, এর চিকিৎসা প্রয়োজন; এখন কাউকে কাউকে মনে হয় এ চিকিৎসার বাইরে।
এ নিয়ে আর বলতে ভাল লাগছে না। যা বলার পোস্টে বলেছি। মন্তব্যেও ব্যাখ্যা দিয়েছি। @তারিক
Post a Comment